পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ খাইবার পাখতুনখোয়ায় ত্রাণসামগ্রী বহনকারী একটি হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়েছে। এ ঘটনায় দুই পাইলটসহ পাঁচজন নিহত হয়েছেন। খবর ডনের।
জানা গেছে, নতুন বৃষ্টিপাত এবং আকস্মিক বন্যায় ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্যে পড়ে দেশব্যাপী ১৮৯ জন পাকিস্তানি নাগরিক নিহত হয়েছেন। এখনও অনেক মানুষ নিখোঁজ থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রাদেশিক সরকারের এমআই-১৭ হেলিকপ্টারটি খারাপ আবহাওয়ার কারণে সৃষ্ট ভারী বৃষ্টিপাতের কবলে পড়া এলাকায় ত্রাণসামগ্রী বহন করছিল। এমন পরিস্থিতিতে বিধ্বস্ত হয় হেলিকপ্টারটি।
প্রদেশটির মুখ্যমন্ত্রী আলী আমিন গন্ডাপুর বলেছেন, খারাপ আবহাওয়ার কারণে মোহমান্দ জেলার পান্ডিয়ালি এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। বিধ্বস্ত হেলিকপ্টারটি বাজাউর এলাকায় ত্রাণ সরবরাহ করছিল।
পাকিস্তানের জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের (এনডিএমএ) প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, বৃষ্টিপাত এবং আকস্মিক বন্যায় খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশেই নিহত হয়েছেন ১৫০ জন। প্রদেশটিতে এখনও নিখোঁজ রয়েছেন অনেকে।
পিডিএমএ’র তথ্য অনুযায়ী, পাকিস্তানের মোট নিহত ১৮৯ জনের মধ্যে ১৬৩ জন পুরুষ, ১৪ জন নারী এবং ১২ জন শিশু রয়েছে। শুধু বুনের জেলাতেই মারা গেছে ৯১ জন। প্রদেশজুড়ে ৪৫টি বাড়ি, তিনটি স্কুল এবং আরও আটটি স্থাপনা ধ্বংস হয়েছে। এর মধ্যে শুধুমাত্র সোয়াত জেলায় ২৬টি বাড়ি সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়েছে।
এদিকে, শুক্রবার থেকে ১০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আরও এক দফা বৃষ্টিপাতের সতর্কতা জারি করেছে এনডিএমএ। জুন থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রায়শই পাকিস্তানসহ দক্ষিণ এশিয়ায় ধ্বংসযজ্ঞ চালায় স্থায়ী মৌসুমি বৃষ্টিপাত। তবে, জলবায়ু পরিবর্তন সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বেড়ে যাওয়ায় আবহাওয়া তার তীব্রতা আরও বাড়িয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/শআ