বোয়ালমারী, আলফাডাঙ্গা ও মধুখালী- এ তিনটি উপজেলা নিয়ে ফরিদপুর-১ আসন গঠিত। এ আসনে এবার বিএনপি থেকে মনোনয়নের জন্য লড়ছেন সাবেক এমপি খন্দকার নাসিরুল ইসলাম, শামসুদ্দিন মিয়া ঝুনু ও মনিরুজ্জামান মনির। পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামী থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন প্রফেসর ড. মো. ইলিয়াস মোল্লা, খেলাফত মজলিস থেকে মুফতি শারাফাত হোসাইন ও ইসলামী আন্দোলনের মো. ওয়ালিউর রহমান রাসেল।
এ আসনের তিনটি উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে সম্ভাব্য প্রার্থীদের ব্যানার-ফেস্টুন, পোস্টার আর বিলবোর্ডে ছেয়ে গেছে। এ আসনটিতে এবার বিএনপির প্রার্থীর সঙ্গে জামায়াত ও খেলাফত মজলিস প্রার্থীর ত্রিমুখী লড়াইয়ের আভাস মিলছে। বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশীদের মধ্যে আলোচনায় রয়েছেন জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি ও সাবেক এমপি খন্দকার নাসিরুল ইসলাম ও বোয়ালমারী উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক শামসুদ্দিন মিয়া ঝুনু। এদের মধ্যে প্রচার-প্রচারণা ও গণসংযোগে বেশ এগিয়ে রয়েছেন খন্দকার নাসিরুল ইসলাম। প্রতিদিনই তিনি তার কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে উঠান বৈঠক, সভা-সমাবেশ ও গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন। এ ছাড়া বিএনপি থেকে মনোনয়ন চাইবেন যুবদল কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সহসভাপতি মনিরুজ্জামান মনির। জামায়াত থেকে এবারের প্রার্থী প্রফেসর ড. মো. ইলিয়াস মোল্লা, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের দলটির কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব, বাংলাদেশ খেলাফত শ্রমিক মজলিসের কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক মুফতি শারাফাত হোসাইন। খন্দকার নাসিরুল ইসলাম বলেন, ‘আমি তিনটি উপজেলার মানুষের উন্নয়নের ব্যাপক কাজ করেছি। স্কুল, কলেজ, মসজিদ, মাদরাসা, মন্দিরসহ সামাজিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে আমার সাহায্য-সহযোগিতা রয়েছে।’ আরেক সম্ভাব্য প্রার্থী শামসুদ্দিন মিয়া ঝুনু বলেন, ‘দলের দুঃসময়ে আমি মাঠে থেকে জুলুম নির্যাতনের শিকার হয়েছি। এলাকার জনগণের ভাগ্যোন্নয়নে আমি সব সময় তাদের পাশে ছিলাম এবং আছি।’ মনিরুজ্জামান মনির বলেন, ‘এলাকার মানুষের মাঝে আমাকে নিয়ে ব্যাপক সাড়া আছে।
আমি মনোনয়ন পেলে আমার নির্বাচনি এলাকার জনগণের জন্য সাধ্যমতো কাজ করব।’ জামায়াতের প্রার্থী প্রফেসর ড. মো. ইলিয়াস মোল্লা বলেন, ‘আমি আশা করছি এ অঞ্চলের জনগণ তাদের যোগ্য প্রার্থী হিসেবে আমাকেই বেছে নেবেন।’ বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের প্রার্থী মুফতি শারাফাত হোসাইন বলেন, ‘জনগণের ইচ্ছা পূরণে আমার প্রতিশ্রুতি রয়েছে। আমি জনগণকে সঙ্গে নিয়েই ইনশাআল্লাহ ভোটযুদ্ধে জয়ী হব।’
এ আসনে এনসিপির প্রার্থী হিসেবে নাম শোনা যাচ্ছে মো. হাসিবুর রহমান অপুর। তিনি এনসিপির সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে বিভিন্নভাবে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। এ ছাড়া ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী হিসেবে মাঠে রয়েছেন দলটির ফরিদপুর জেলা শাখার উপদেষ্টা সদস্য মো. ওয়ালিউর রহমান রাসেল।