শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, শুক্রবার, ১৫ আগস্ট, ২০২৫

মরু দুস্তর পারাবার, কান্ডারি হুঁশিয়ার

ফাইজুস সালেহীন
প্রিন্ট ভার্সন
মরু দুস্তর পারাবার, কান্ডারি হুঁশিয়ার

নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী সাহেবের সোজা কথা, ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হবে না। ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন করতে হলে যারা শহীদ হয়েছেন তাদের ফিরিয়ে দিতে হবে। যারা হাত হারিয়েছেন, তাদের হাত ফিরিয়ে দিতে হবে। তাহলে কী দাঁড়াল? সাত মণ ঘি-ও জুটবে না, রাধাও নাচবে না। জীবন কিংবা হারানো হাত কোনোটাই ফিরিয়ে দেওয়া যাবে না, অতএব ইলেকশনও হবে না। কথা পরিষ্কার। এখনই ইলেকশনের দরকারটাইবা কী! এমন তো নয় যে ইলেকশন হচ্ছে না বলে মসনদ খালি পড়ে রয়েছে। খালি পড়ে থাকবেও না। ওটা খালি পড়ে থাকার জিনিসও নয়। ক্ষমতায় ভরা থাকে সব সময়। রাম না থাকলে রামের জুতো রাজ্য শাসন করে। জুতো পাহারা দেয় সতালো ভাই ভরত। দস্যু রত্নাকর বাল্মীকি নাম ধারণ করে রচনা করেন এ কাহিনি। হিন্দু পুরানের এ কাহিনির মধ্যে ধর্ম কতখানি আছে সেটা তারাই ভালো জানেন, যারা সেই ধর্মের চর্চা করেন। তবে চিন্তকগণের কাছে এ কাহিনির অর্থ হলো, মসনদ বা সিংহাসন কিংবা গদি কখনোই খালি পড়ে থাকে না। জুতো দিয়ে হলেও সেটা ভরা থাকে। জুতোর ওপর তখন ক্ষমতার ভর আরোপ করা হয়। তাহলে নির্বাচনের ঝামেলা করার দরকার কী? যেমন চলছে চলুক না।

মন্দ কী! চাঁদাবাজি হচ্ছে, খুনাখুনি হচ্ছে, স্ক্রিপ্টেড ড্রামা হচ্ছে, ষড়যন্ত্রের গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে, বিদেশি মিশনে সিটিং হচ্ছে, অনলাইনে গালিগালাজ হচ্ছে, ক্যাম্পাসে অশ্রাব্য সেøাগানে বাতাস ভারী হচ্ছে, চরিত্রহননের মহোৎসব চলছে ফেসবুকে, নেটিজেনদের বড় একটা অংশ সামাজিক মাধ্যমে মেয়েদের বিশ্রী ভাষায় ট্রল করছে, রাজনীতিকে অশ্লীলতার ভাগাড়ে চুবাতে চাইছে কেউ কেউ, বক্তা সম্পাদকদের চোখ রাঙাচ্ছে। পরিবেশ বাঁচাতে হাঁপিয়ে উঠেছেন এনভায়রনমেন্ট অ্যাডভাইজার, সফেদ পাগড়িওয়ালা যেই চিন্তাবিদ বলেছিলেন গণ অভ্যুত্থানই জনগণের ম্যান্ডেট, এ সরকারই নির্বাচিত সরকার; সেই তিনি-ই এখন বলছেন, এ সরকারের জুলাই সনদ ঘোষণার কোনো অধিকার নেই। অতঃপর আমরা সাধারণ মানুষ যাই কোথায়! এ পরিস্থিতিতে জনগণের জন্য কোনো স্পেস না থাকলেও ইলেকশনের প্রস্তুতি চলছে ঠিকই। রাজনীতি ও অপরাজনীতি মিলে বেশ একটা গরম হাওয়া বইছে বাংলাদেশের শ্যামল প্রান্তরে।

সে যা-ই হোক; নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী একই বক্তৃতায় আরও একটি কোটেবল কথা বলেছেন। সেটা হলো, ‘গণমাধ্যম আগে ছিল “হাসিনামাধ্যম”, এখন কী মাধ্যম হয়েছে সেটা বললে চাকরি থাকবে না। গণ অভ্যুত্থানের পরে সব মিডিয়ার সম্পাদকদের সঙ্গে বসেছিলাম, তাদেরকে একটা কথা বলেছিলাম, যারা আকাম করেছেন, ঘরের ভিতরে বসে থাকেন।’

ফাইজুস সালেহীন‘যদি লজ্জা থাকে, ঘরের ভিতর থেকে বের হবেন না। কিন্তু তাদের লজ্জা নাই। তারা বারবার বাংলাদেশের মানুষদের ধোঁকা দিয়ে যাচ্ছে।’

পাটওয়ারী সাহেব গণমাধ্যমের এত বড় একজন অভিভাবক, সেটা জানতাম না। সম্পাদকদের সঙ্গে অতীতে কোনো নেতা এমন কড়া কথা বলেছেন বলেও শুনিনি। পাকিস্তানের লৌহমানব আইউব খান একবার সম্পাদকের পদমর্যাদা সম্পর্কে জানতে চেয়েছিলেন। জবাবে ডন পত্রিকার সম্পাদক আলতাফ গওহর বলেছিলেন, সম্পাদকের লিখিত কোনো পদমর্যাদা নেই। যদি কোনো পদমর্যাদা নির্দেশ করতে হয়, তাহলে সেটা হতে হবে (প্রেসিডেনশিয়াল সরকারের) প্রেসিডেন্টের সমান। এ কথা শোনার পর আইউব খান আর কোনো রা করেননি। আইউব খান চাইলে রেগেমেগে বলতে পারতেন, ‘গওহর তুমি এখন থেকে গৃহবন্দি।’ কিন্তু তিনি তা বলেননি। কেননা, একনায়ক হলেও তাঁর সেই শিক্ষা ছিল। গণমাধ্যম কাকে বলে সেটা তিনি জানতেন। দৈনিক বাংলায় নির্মল সেন লিখেছিলন ‘স্বাভাবিক মৃত্যুর গ্যারান্টি চাই।’ এটা পড়ে শেখ মুজিবুর রহমান নাকি ফোন করে নির্মল সেনকে বলেছিলেন, ‘আমি তোমার হাত কেটে দেব।’ পূর্বপরিচিত একজন সিনিয়র সাংবাদিককে বলা কথাটি আর যা-ই হোক গোটা সাংবাদিক কমিউনিটিকে হুমকি দেওয়ার উদ্দেশে তিনি বলেননি। মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী, প্রফেসর মোজাফফর আহমদ, মণি সিংহ, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান- তাঁদের কেউ কোনো দিন সাংবাদিক কমিউনিটিকে চোখ রাঙিয়ে কথা বলেননি। সম্পাদকদের তো নয়ই। পাটওয়ারী সাহেব ধমকালেন। সংবাদপত্রের স্বাধীনতা কী এবং কত প্রকার তা তিনি বেশ বুঝিয়ে দিলেন। এ কাজটি যে তিনি অভ্যুত্থানের প্রথম প্রহরেই করেছিলেন তা-ও জানিয়ে দিলেন সগৌরবে। সেজন্য তিনি করতালি পেতেই পারেন। এরকম পরিস্থিতির মধ্যেও ছাপোষা সাংবাদিক হিসেবে দুয়েকটি কথা বলার স্পর্ধা সংবরণ করা কঠিন। শেখ হাসিনার আমলে গণমাধ্যম হয়ে গিয়েছিল হাসিনামাধ্যম। কথা সত্য। সাংবাদিকরাও হাসিনামাধ্যমের কর্মী হয়ে গিয়েছিলেন। তারপরও, দিনের ভোট যে রাতে হয়েছিল, নৌকায় ভোট না দিলে ঠ্যাং ভেঙে দেওয়ার হুমকিধমকি, বিশ্বজিৎকে মারার খবর, আবরার হত্যার খবর- এমনই অজস্র অন্যায় অপরাধের অথেনটিক সংবাদ কে জাতিকে দিয়েছিল?

সাংবাদিকরা নয় কি? বিরোধী দলের কর্মসূচিতে পুলিশি নির্যাতন, সংবাদ সম্মেলনে দেওয়া বিরোধীদলীয় নেতাদের বক্তব্য, বিভিন্ন সমাবেশের বিস্তারিত নিউজ দেশবাসীর কাছে কারা পৌঁছে দিয়েছিল? এত বড় একটা অভ্যুত্থানের প্রতি মুহূর্তের খবর সংবাদপত্র ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া কি দেশবাসীর কাছে পৌঁছে দেয়নি? আন্দোলনের খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে রিপোর্টার ও ফটোসাংবাদিকরা কি পুলিশের মার খায়নি? সাংবাদিকদের কাউকে কাউকে কারাগারে পাঠানো কি হয়নি? আওয়ামী লীগের ধামাধরা গুটিকতক সাংবাদিক ও সম্পাদক হাত কচলেছেন বলে গোটা কমিউনিটিকে ধমকাবেন! মানলাম, সাংবাদিক ও সম্পাদকরা হাসিনার হয়ে গিয়েছিলেন। এখন যারা সমন্বয়ক, নবীন নেতা, ছাত্রশিবিরের নেতা; তখন কি তাদের অনেকে ছাত্রলীগের পোশাক পরে নিজেদের আড়াল করেননি? শেখ মুজিবকে মহামানব বানিয়ে অনেকে বক্তৃতা করেননি? সেসব বক্তৃতার ভিডিও সমাজমাধ্যমেও প্রচারিত হয়েছে। কেন করেছিলেন? জানি, জবাব তৈরিই আছে। বলা হবে, ভয়ে করেছি, বাধ্য হয়ে করেছি, ছাত্রলীগ না করলে হলে সিট পাওয়া যেত না; আরও কত অজুহাত! সাংবাদিকদের বেলায় যত দোষ। তাদের যেন ভয় থাকতে নেই। আমরা সবাই ভয়ে কাচুমাচু করব আর সাংবাদিকরা সব ভয়কে তুচ্ছ করে মাথা পেতে দেবেন। কেন দেবেন না? তাদের ঘাড়ে তো অনেকগুলো মাথা। একটা কাটা গেলে কী এমন ক্ষতি! খুবই যুক্তির কথা; আহ্লাদের কথাও বটে।

তৎকালীন রাশিয়ার কমরেড জোসেফ স্তালিন একদিন পার্টির বর্ধিত সভায় বক্তৃতা করছিলেন। হল ভর্তি কমরেডস। স্তালিন তাঁর বক্তৃতায় পূর্বসূরি নেতৃত্বের ভুলত্রুটির সমালোচনা করছিলেন। তখন পেছনের সারি থেকে একজন সাহসী ও স্পষ্টভাষী কমরেড দাঁড়িয়ে বললেন, কমরেড এসব আপনি সেই সময়ে বলেননি কেন? স্তালিন থমকে গেলেন। গর্জে উঠলেন, কে! কে প্রশ্ন করল? পুরো হলে নেমে এলো পিনপতন নীরবতা। কেউ আর উঠে দাঁড়িয়ে বললেন না, আমি প্রশ্ন করেছি। কিছুক্ষণ চুপ থেকে স্তালিন হেসে বললেন, আজকে যে কারণে আপনি নিজের পরিচয় দিতে পারছেন না, ঠিক একই কারণে আমিও সেদিন চুপ ছিলাম।

এটা জনশ্রুতি। তাহলেও শিক্ষণীয়। যে কারণে সমন্বয়ক ও ছাত্রশিবিরের অনেকে ছাত্রলীগের পোশাক পরেছিলেন, ঠিক একই কারণে গণমাধ্যমও সেদিন সব কথা বলতে পারেনি। এ কথাটি বোঝার জন্য অতি বড় তাত্ত্বিক হওয়ার প্রয়োজন নেই।

প্রসঙ্গান্তরে যাই, নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বা এনসিপি কিংবা ইলেকশন যারা চাইছেন না, তাদের যত পূর্বশর্তই থাকুক না কেন, ঘোষিত টাইমফ্রেমের মধ্যে নির্বাচন হওয়া দরকার। ইলেকশন ছাড়া বিরাজমান অরাজক পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসা কঠিন। যত দিন যাচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকারের শক্তি ততই ক্ষয় হয়ে যাচ্ছে। চাঁদাবাজরা ক্রমে আরও বেশি শক্তিশালী হচ্ছে। পরিস্থিতিদৃষ্টে মনে হচ্ছে এরা নিজেরাই আলাদা একটি দল। যেখানে চাঁদাবাজি ও লুটপাটের সুযোগ আছে সেখানে সব দলের লুটেরারা এক হয়ে যাচ্ছে।

সিলেটের ভোলাগঞ্জের সাদাপাথর লুটের চলমান প্রক্রিয়ার সঙ্গে নাকি সব দলের নেতারাই এককাট্টা। সারা দেশে কমবেশি একই পরিস্থিতি দৃশ্যমান। সব দলের খবরদারির চাপে পড়ে স্থানীয় প্রশাসন অনেক ক্ষেত্রে শক্ত অবস্থান গ্রহণ করতে পারছে না। এ পরিস্থিতিতে সরকারের ভিতরে আরও একটি সরকার আছে বলে যে কথা উঠেছে সেটা প্রবলতর হতে পারে। ছায়া সরকার ইলেকশন রহিত করার তৎপরতা বাড়িয়ে দিতে পারে। তখন পরিস্থিতি আরও ঘোলাটে হয়ে যাবে। সরকারের ভিতরে আরও একটি সরকার থাকার ধারণাটি যে অমূলক নয়, এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীর কথাতেও তার আভাস পাওয়া যায়। তা নাহলে সরকারের কেউ না হয়েও তিনি কী করে বলেন যে ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হবে না?

কিন্তু দেশ ও জাতির স্বার্থে ইলেকশন হতে হবে। এর কোনো বিকল্প নেই। নির্বাচনের জোর হাওয়া বইতে শুরু করলে পরিস্থিতি বদলাতে শুরু করবে। নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রশ্নে সরকার অনড় অবস্থান গ্রহণ করলে দলগুলোও নিজেদের স্বার্থেই কৌশল পরিবর্তন করবে। এবারের ইলেকশনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে মূলত বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর মধ্যে। ইলেকশন সামনে রেখে রাজনীতির নতুন মেরুকরণ শুরু হবে। বড় দুই দল ছোট দলগুলোকে সঙ্গে নিয়ে জোট বাঁধার জন্য যোগাযোগ করবে। আওয়ামী লীগ বিরোধী আন্দোলনে যারা বিএনপির সঙ্গে ছিল তারা সম্ভবত এ ইলেকশনেও বিএনপির সঙ্গেই থাকবে। আরও দুয়েকটি দল নতুন জুটতে পারে। সব কটি আসনে এককভাবে ভোট করার সক্ষমতা বিএনপির আছে। তাহলেও কৌশলগত কারণে বড় দলকে অ্যালায়েন্স করতে হয়। এতে ভোটের হিসাবে খুব একটা লাভ হওয়ার নয়। তবে নির্বাচনে জিতে দেশ চালানোর সুযোগ হলে ছোট দলগুলোকে সঙ্গে নিয়ে বিরোধী দল যাতে কোনো বিঘ্ন সৃষ্টি করতে না পারে, তার জন্য আগেভাগে জোটের শিকল দিয়ে ছোট দলগুলোকে বেঁধে ফেলাই অ্যালায়েন্স গঠনের আসল উদ্দেশ্য। জামায়াতে ইসলামীও ইসলামিক দলগুলোকে সঙ্গে নিয়ে জোট বাঁধার চেষ্টা করবে।

এবারের নির্বাচন বিএনপি বা জামায়াত কারও জন্য সহজ হবে না। অতীতে জনমত প্রধানত দুই ভাগে বিভক্ত ছিল। এক ভাগ আওয়ামী লীগ আরেক ভাগ বিএনপি। আরেক ভাগে ছিল সাইলেন্ট ভোটার্স। এখন সেই সাইলেন্ট ভোটারের আনুপাতিক হার ৪৮ শতাংশ। এ তথ্য পাওয়া গেছে সাম্প্রতিক এক জরিপ রিপোর্ট থেকে। এ ৪৮ শতাংশের অধিকাংশের ভোট যে দলের মার্কায় যাবে সেই দলই ভবিষ্যতে সরকার গঠন করবে।

হালফিল বৃহত্তম দল বিএনপির ক্ষমতায় যাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। এটাই লোকবিশ্বাস। কিন্তু বিএনপি যদি তার উচ্ছৃঙ্খল নেতা-কর্মীদের নিয়ন্ত্রণ করতে না পারে তাহলে ভিন্ন ফলও হতে পারে। আগেও বলেছি, বিএনপির ওপর মানুষের প্রত্যাশা অতীতের যে কোনো সময়ের তুলনায় অনেক বেশি। ওয়ান-ইলেভেনের সময় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে পরিকল্পিতভাবে অনেক বদনাম ছড়ানো হয়েছে। তার বেশির ভাগই ছিল অসত্য কিংবা অতিরঞ্জিত। তবু কিছু লোক যে সেসবে বিভ্রান্ত হননি এমন দাবি করা যাবে না। তাহলেও এ কথা মানতেই হবে যে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে যেভাবে পার্টির সর্বস্তরের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে অব্যাহত যোগাযোগ রেখে এবং প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দিয়ে প্রতিকূল পরিস্থিতি মোকাবিলার যে শক্তি ও সাহস তিনি জুগিয়েছেন তা সত্যিই প্রশংসার যোগ্য। আওয়ামী লীগ শাসনামলে দল ও নেতা-কর্মীদের ওপর দিয়ে যে ঝড় বয়ে গেছে, তার মধ্যে পূর্ণ শক্তি নিয়ে বিএনপির মতো উদার গণতান্ত্রিক একটি দলের টিকে থাকার সংগ্রাম মোটেও সহজ ছিল না। সেই বৈরী সময়ে বিএনপি শুধু টিকেই ছিল না, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় আন্দোলন-সংগ্রামের সম্ভাব্য যতগুলো পথ ছিল, তার সব পথে সক্রিয় ছিল দলটি। চব্বিশের গণ অভ্যুত্থানের পাটাতন বিএনপিই তৈরি করেছিল। হয়তো সে কারণেই বিএনপি এখনো জনসমর্থনের দিক থেকে এগিয়ে রয়েছে।

তারপরও সামনের ভোটে বিএনপিকে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখোমুখি হতে হবে বলে ওয়াকিবহাল মহলের অনেকে মনে করেন। ৫ আগস্টের পরে বিএনপির গ্রামগঞ্জের একশ্রেণির স্বার্থান্বেষী নেতা, পাতি নেতা ও কর্মীর চাঁদাবাজি, বালুমহাল, পাথরক্ষেত্র, বাজারঘাট এমনকি টিসিবির কার্ড বিতরণ, ইউনিয়ন পরিষদের বয়স্ক ভাতা, থানা-পুলিশ- সব জায়গায় তাদের বদনজর, কামিয়ে নেওয়ার ধান্দা দলটি সম্পর্কে জনমনে নেতিবাচক ধারণা তৈরি করে চলেছে। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও অন্য নেতাদের আদেশ-নিষেধ ও উপদেশে ওরা কর্ণপাত করছে না। এ শ্রেণির নেতা-কর্মীরা রাজনৈতিকভাবে যথেষ্ট সচেতনও নয়। দলীয় আদর্শ ও কমিটমেন্ট সম্পর্কে এদের বিশেষ কোনো ধারণা নেই। এরা অন্যান্য দলের স্থানীয় চান্দাবাজ ও মব মাস্টারদের সঙ্গে সিন্ডিকেট করে মানুষের ওপর জুলুম করছে। টহল পুলিশের দল এসব লোকের আড্ডাখানায় বসে চা খায়। কিন্তু বদনাম হচ্ছে বিএনপির সবচেয়ে বেশি।

 

এ কথাগুলো আগেও একাধিকবার বলেছি। আবার বললাম মনে করিয়ে দেওয়ার জন্য। জরিপ বলছে ৪৮ শতাংশ ভোটার কোন মার্কায় সমর্থন দেবেন, সিদ্ধান্ত নেননি। এ ৪৮ পার্সেন্ট কারা? অনুমান করি এদের বড় একটা অংশ বিএনপির সমর্থক ছিলেন। এখন কাজকারবার দেখে হয়তো চুপ হয়ে গেছেন। হয়তো সমর্থন বদলানোর কথাও ভাবছেন। মনে রাখতে হবে, এ দেশের মানুষ ঠকতে ঠকতে খুব সাবধান হয়ে গেছেন। সিঁদুরে মেঘ দেখে ভাবেন আগুন লাগল কি না! শেখ হাসিনা কী সাংঘাতিক ব্লাফই না দিয়েছেন এ দেশের মানুষকে। ১৯৯৬ সালে তিনি হিজাবপরা দরবেশ হয়ে গিয়েছিলেন। দিন বদলের ইশতেহার দিয়েছিলেন। মানুষের মৌলিক মানবিক অধিকার প্রতিষ্ঠার চমৎকার রূপরেখা দিয়েছিলেন। নৌকার মিছিলে তখন সেøাগান ছিল, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু, নৌকার মালিক তুই আল্লাহ। ভুলত্রুটি ক্ষমা চাই, নৌকায় ভোট চাই। সেই নৌকা ভোটের দরিয়া পার হয়ে গেলে আওয়ামী লীগ জনগণকে তার ধারালো দাঁত দেখাতে শুরু করল। ১৫ বছরের সেই ইতিহাস গুম, খুন ও লুণ্ঠনের ইতিহাস। ভোটের অধিকারটুকুও কেড়ে নেওয়া হয়েছিল। এদিকে বৈষম্য বিলোপের কথা বলে বৈষম্যবাদ কায়েম করার নকশাও তো মানুষ দেখছে। কাজেই সামনের ভোটে মানুষের মন জয় করতে হলে নিজেদের মন বদলাতে হবে। মন না বদলালে সুশাসন আসবে না। দেশ ও সমাজেরও কোনো উন্নতি হবে না।

 

                লেখক : সিনিয়র সাংবাদিক ও কথাসাহিত্যিক

এই বিভাগের আরও খবর
বিদেশি বিনিয়োগ
বিদেশি বিনিয়োগ
ট্রাম্পের শান্তি প্রস্তাব
ট্রাম্পের শান্তি প্রস্তাব
শিশু অধিকার এবং ডিজিটাল শিশু
শিশু অধিকার এবং ডিজিটাল শিশু
বড়পীর আবদুুল কাদের জিলানী (রহ.)
বড়পীর আবদুুল কাদের জিলানী (রহ.)
বেঁচে থাকাই জিন্দাবাদ
বেঁচে থাকাই জিন্দাবাদ
ভাসানী মুজিব জিয়ার চোখে চীন
ভাসানী মুজিব জিয়ার চোখে চীন
আলেমদের কঠিন পরীক্ষা
আলেমদের কঠিন পরীক্ষা
হজ রোডম্যাপ
হজ রোডম্যাপ
খাগড়াছড়িতে হানাহানি
খাগড়াছড়িতে হানাহানি
বৃদ্ধাশ্রম ও আমরা
বৃদ্ধাশ্রম ও আমরা
পাহাড়ে শান্তি ফেরাতে হবে
পাহাড়ে শান্তি ফেরাতে হবে
নারী সংগঠন, দলছুট হওয়া কেন!
নারী সংগঠন, দলছুট হওয়া কেন!
সর্বশেষ খবর
এমবাপ্পের দুর্দান্ত হ্যাটট্রিকে কাইরাতকে উড়িয়ে দিল রিয়াল মাদ্রিদ
এমবাপ্পের দুর্দান্ত হ্যাটট্রিকে কাইরাতকে উড়িয়ে দিল রিয়াল মাদ্রিদ

৫১ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

জুবিন গর্গের মৃত্যু: সিঙ্গাপুরে যাচ্ছেন আসামের বিশেষ তদন্তকারী দল
জুবিন গর্গের মৃত্যু: সিঙ্গাপুরে যাচ্ছেন আসামের বিশেষ তদন্তকারী দল

১ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

সোনারগাঁয়ে অভিযান, ৫২৬ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ
সোনারগাঁয়ে অভিযান, ৫২৬ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ব্রিটেনে স্থায়ীভাবে বসবাসের যোগ্যতাগুলো বলে দিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
ব্রিটেনে স্থায়ীভাবে বসবাসের যোগ্যতাগুলো বলে দিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দুর্গোৎসবকে কেন্দ্র করে ফ্যাসিবাদের দোসররা ষড়যন্ত্র করতে পারে : শামা ওবায়েদ
দুর্গোৎসবকে কেন্দ্র করে ফ্যাসিবাদের দোসররা ষড়যন্ত্র করতে পারে : শামা ওবায়েদ

৪ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

রোহিঙ্গা গ্রাম ধ্বংস করে সামরিক ঘাঁটি বানাল মিয়ানমার সেনারা
রোহিঙ্গা গ্রাম ধ্বংস করে সামরিক ঘাঁটি বানাল মিয়ানমার সেনারা

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১ অক্টোবর)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১ অক্টোবর)

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভারতে নদীতে মিলল দুর্নীতি নিয়ে প্রতিবেদন করা সাংবাদিকের লাশ
ভারতে নদীতে মিলল দুর্নীতি নিয়ে প্রতিবেদন করা সাংবাদিকের লাশ

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চরফ্যাশন জামায়াতের ৪৫ নেতাকর্মী যোগ দিলেন বিএনপিতে
চরফ্যাশন জামায়াতের ৪৫ নেতাকর্মী যোগ দিলেন বিএনপিতে

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

শ্রমিক কল্যাণ তহবিলে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের অনুদান
শ্রমিক কল্যাণ তহবিলে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের অনুদান

৫ ঘণ্টা আগে | কর্পোরেট কর্নার

আফগানিস্তানে ইন্টারনেট বন্ধে ফ্লাইট, হাসপাতাল, অফিস অচল
আফগানিস্তানে ইন্টারনেট বন্ধে ফ্লাইট, হাসপাতাল, অফিস অচল

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘ফাঁসির আসামিদের কক্ষে’ ইমরান খান: পরিবার-সমর্থকদের শঙ্কা
‘ফাঁসির আসামিদের কক্ষে’ ইমরান খান: পরিবার-সমর্থকদের শঙ্কা

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বঙ্গোপসাগরে ফের জেলে অপহরণ, ১৪ জনকে নিয়ে গেল আরাকান আর্মি
বঙ্গোপসাগরে ফের জেলে অপহরণ, ১৪ জনকে নিয়ে গেল আরাকান আর্মি

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

রোহিঙ্গা সংকটের স্থায়ী সমাধানে ড. ইউনূসের ৭ দফা সুপারিশ
রোহিঙ্গা সংকটের স্থায়ী সমাধানে ড. ইউনূসের ৭ দফা সুপারিশ

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হত্যার পর বেবি টেক্সি ছিনতাই: ১৯ বছর পর তিন আসামির যাবজ্জীবন
হত্যার পর বেবি টেক্সি ছিনতাই: ১৯ বছর পর তিন আসামির যাবজ্জীবন

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

এআইভিত্তিক ও আরও উন্নত শিংহে ইন্টেলিজেন্ট নেটওয়ার্ক উন্মোচন করল হুয়াওয়ে
এআইভিত্তিক ও আরও উন্নত শিংহে ইন্টেলিজেন্ট নেটওয়ার্ক উন্মোচন করল হুয়াওয়ে

৬ ঘণ্টা আগে | কর্পোরেট কর্নার

চট্টগ্রামে ট্রেনে কাটা পড়ে যুবকের মৃত্যু
চট্টগ্রামে ট্রেনে কাটা পড়ে যুবকের মৃত্যু

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

চট্টগ্রামে পূজামণ্ডপ পরিদর্শনে মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা
চট্টগ্রামে পূজামণ্ডপ পরিদর্শনে মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা

৬ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

রেকর্ড জয়ে হোয়াইটওয়াশ এড়াল ওয়েস্ট ইন্ডিজ
রেকর্ড জয়ে হোয়াইটওয়াশ এড়াল ওয়েস্ট ইন্ডিজ

৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ফিলিপাইনে শক্তিশালী ভূমিকম্প, সুনামির শঙ্কা
ফিলিপাইনে শক্তিশালী ভূমিকম্প, সুনামির শঙ্কা

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শ্রীপুরে দুর্গাপূজায় তারেক রহমানের পক্ষে উপহার বিতরণ
শ্রীপুরে দুর্গাপূজায় তারেক রহমানের পক্ষে উপহার বিতরণ

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

দলে ফিরলেন ৪২ বছর বয়সি স্কটিশ গোলকিপার
দলে ফিরলেন ৪২ বছর বয়সি স্কটিশ গোলকিপার

৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ট্রাম্পের পরিকল্পনার প্রেক্ষিতে গাজায় সহায়তা বাড়াতে প্রস্তুত জাতিসংঘ
ট্রাম্পের পরিকল্পনার প্রেক্ষিতে গাজায় সহায়তা বাড়াতে প্রস্তুত জাতিসংঘ

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আপনার আশপাশ থেকে আওয়ামী লীগের লোক সরান, সারজিসকে যুবদল নেতা
আপনার আশপাশ থেকে আওয়ামী লীগের লোক সরান, সারজিসকে যুবদল নেতা

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

নোয়াখালীতে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ফ্রিজ মিস্ত্রির মৃত্যু
নোয়াখালীতে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ফ্রিজ মিস্ত্রির মৃত্যু

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বরুণ ধাওয়ানের গাড়ি ধাক্কায় পথচারী আহত
বরুণ ধাওয়ানের গাড়ি ধাক্কায় পথচারী আহত

৮ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

খালেদা জিয়ার সঙ্গে ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
খালেদা জিয়ার সঙ্গে ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ

৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ক্যালসিয়ামের অভাব পূরণ করবে যে খাবার
ক্যালসিয়ামের অভাব পূরণ করবে যে খাবার

৮ ঘণ্টা আগে | জীবন ধারা

বগুড়ায় পিকআপের ধাক্কায় প্রাণ গেল মা-মেয়ের
বগুড়ায় পিকআপের ধাক্কায় প্রাণ গেল মা-মেয়ের

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

টানা ছুটিতে চলছে ‘বিশেষ ট্রেন’
টানা ছুটিতে চলছে ‘বিশেষ ট্রেন’

৯ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

সর্বাধিক পঠিত
কাতারের প্রধানমন্ত্রীর কাছে ক্ষমা চাইলেন নেতানিয়াহু
কাতারের প্রধানমন্ত্রীর কাছে ক্ষমা চাইলেন নেতানিয়াহু

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

টেলিযোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছে আফগানিস্তান
টেলিযোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছে আফগানিস্তান

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গাজার অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হতে চাইছেন ট্রাম্প!
গাজার অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হতে চাইছেন ট্রাম্প!

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘বাংলাদেশের জার্সিতে আর নয়’—সাকিবকে নিয়ে কড়া অবস্থান ক্রীড়া উপদেষ্টার
‘বাংলাদেশের জার্সিতে আর নয়’—সাকিবকে নিয়ে কড়া অবস্থান ক্রীড়া উপদেষ্টার

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জেন-জি বিক্ষোভের মুখে আরেক দেশের সরকার পতন
জেন-জি বিক্ষোভের মুখে আরেক দেশের সরকার পতন

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে দেওয়া হবে না, ঘোষণা নেতানিয়াহুর
ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে দেওয়া হবে না, ঘোষণা নেতানিয়াহুর

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পাসপোর্ট ফেরত পাচ্ছেন না মেঘনা আলম
পাসপোর্ট ফেরত পাচ্ছেন না মেঘনা আলম

১৫ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

দেশীয় প্রযুক্তির ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা চালাল পাকিস্তান
দেশীয় প্রযুক্তির ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা চালাল পাকিস্তান

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রবিবার আবারও মুখোমুখি হচ্ছে ভারত-পাকিস্তান
রবিবার আবারও মুখোমুখি হচ্ছে ভারত-পাকিস্তান

১৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

প্রধান ও সহকারী প্রধান শিক্ষক পদেও নিয়োগের ক্ষমতা হারাচ্ছে ম্যানেজিং কমিটি
প্রধান ও সহকারী প্রধান শিক্ষক পদেও নিয়োগের ক্ষমতা হারাচ্ছে ম্যানেজিং কমিটি

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সাগরে লঘুচাপের আভাস, দেশজুড়ে বৃষ্টির সম্ভাবনা
সাগরে লঘুচাপের আভাস, দেশজুড়ে বৃষ্টির সম্ভাবনা

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মার্কিন হামলা হলে জরুরি অবস্থা জারি করতে প্রস্তুত মাদুরো : ভেনেজুয়েলা
মার্কিন হামলা হলে জরুরি অবস্থা জারি করতে প্রস্তুত মাদুরো : ভেনেজুয়েলা

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মেধাভিত্তিক সমাজ চাইলে মতিউর ও বেনজীরদের সংখ্যা বাড়বে : জাবি উপাচার্য
মেধাভিত্তিক সমাজ চাইলে মতিউর ও বেনজীরদের সংখ্যা বাড়বে : জাবি উপাচার্য

১২ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

উইন্ডিজকে গুঁড়িয়ে নেপালের ঐতিহাসিক সিরিজ জয়
উইন্ডিজকে গুঁড়িয়ে নেপালের ঐতিহাসিক সিরিজ জয়

২১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ক্ষমা চেয়ে বিপদে নেতানিয়াহু
ক্ষমা চেয়ে বিপদে নেতানিয়াহু

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

অত্যাধুনিক রুশ ‘অ্যাটাক হেলিকপ্টার’ ভূপাতিত করার দাবি ইউক্রেনের
অত্যাধুনিক রুশ ‘অ্যাটাক হেলিকপ্টার’ ভূপাতিত করার দাবি ইউক্রেনের

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আপনার আশপাশ থেকে আওয়ামী লীগের লোক সরান, সারজিসকে যুবদল নেতা
আপনার আশপাশ থেকে আওয়ামী লীগের লোক সরান, সারজিসকে যুবদল নেতা

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ধর্মের ভিত্তিতে রাজনীতিতে বিভাজন চায় না বিএনপি : সালাহউদ্দিন
ধর্মের ভিত্তিতে রাজনীতিতে বিভাজন চায় না বিএনপি : সালাহউদ্দিন

১৯ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ প্যাকেজ ঘোষণা
বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ প্যাকেজ ঘোষণা

১৮ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

পাঁচ ব্যাংকের একীভূত ‘ইউনাইটেড ইসলামী’ ব্যাংকের অফিসের অনুমোদন
পাঁচ ব্যাংকের একীভূত ‘ইউনাইটেড ইসলামী’ ব্যাংকের অফিসের অনুমোদন

৯ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

জামায়াতের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা
জামায়াতের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা

১৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

বুধবার থেকে চারদিনের ছুটিতে ব্যাংক ও পুঁজিবাজার
বুধবার থেকে চারদিনের ছুটিতে ব্যাংক ও পুঁজিবাজার

২০ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

যেসব কারণে ভেস্তে যেতে পারে ট্রাম্পের ‘গাজা শান্তি প্রস্তাব’
যেসব কারণে ভেস্তে যেতে পারে ট্রাম্পের ‘গাজা শান্তি প্রস্তাব’

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মালয়েশিয়ায় ভয়াবহ মানবপাচার
মালয়েশিয়ায় ভয়াবহ মানবপাচার

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মার্কিন ‘আগ্রাসনের’ হুমকি, জরুরি অবস্থা জারি করতে প্রস্তুত ভেনেজুয়েলা
মার্কিন ‘আগ্রাসনের’ হুমকি, জরুরি অবস্থা জারি করতে প্রস্তুত ভেনেজুয়েলা

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিএনপির বিরুদ্ধে অদৃশ্য ফ্যাসিবাদ চক্র ষড়যন্ত্র করছে : টুকু
বিএনপির বিরুদ্ধে অদৃশ্য ফ্যাসিবাদ চক্র ষড়যন্ত্র করছে : টুকু

১৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

গাজা যুদ্ধ বন্ধে ট্রাম্প ঘোষিত ২০ দফা পরিকল্পনায় যা আছে
গাজা যুদ্ধ বন্ধে ট্রাম্প ঘোষিত ২০ দফা পরিকল্পনায় যা আছে

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ফিলিস্তিনি বন্দিদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে চায় ইসরায়েল
ফিলিস্তিনি বন্দিদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে চায় ইসরায়েল

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যুদ্ধ শেষ হওয়ার এক বছরের মধ্যে গাজায় নির্বাচন: মাহমুদ আব্বাস
যুদ্ধ শেষ হওয়ার এক বছরের মধ্যে গাজায় নির্বাচন: মাহমুদ আব্বাস

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (৩০ সেপ্টেম্বর)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (৩০ সেপ্টেম্বর)

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রিন্ট সর্বাধিক
ঘটনা এক স্থানে মামলা আরেক স্থানে
ঘটনা এক স্থানে মামলা আরেক স্থানে

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

দেড় শ বছরের সম্প্রীতির বন্ধন ফেনীতে
দেড় শ বছরের সম্প্রীতির বন্ধন ফেনীতে

পেছনের পৃষ্ঠা

ইলিশের দাম কেন লাগামহীন
ইলিশের দাম কেন লাগামহীন

পেছনের পৃষ্ঠা

ভোটের মাঠে বিএনপি জামায়াত এনসিপি
ভোটের মাঠে বিএনপি জামায়াত এনসিপি

নগর জীবন

কাউনিয়ার তেজপাতা যাচ্ছে ২১ দেশে
কাউনিয়ার তেজপাতা যাচ্ছে ২১ দেশে

পেছনের পৃষ্ঠা

ট্রলারের নিচে ঝুলে শট দেন
ট্রলারের নিচে ঝুলে শট দেন

শোবিজ

জিটুজির আওতায় চাল আমদানি করবে সরকার
জিটুজির আওতায় চাল আমদানি করবে সরকার

পেছনের পৃষ্ঠা

বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী ছয়জন, মাঠে জামায়াত প্রার্থী
বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী ছয়জন, মাঠে জামায়াত প্রার্থী

নগর জীবন

শেষ দিনগুলো কাটছে আতঙ্ক-অবহেলায়
শেষ দিনগুলো কাটছে আতঙ্ক-অবহেলায়

পেছনের পৃষ্ঠা

পাকিস্তান শ্রীলঙ্কাকে হারানোর স্বপ্ন নিগারদের
পাকিস্তান শ্রীলঙ্কাকে হারানোর স্বপ্ন নিগারদের

মাঠে ময়দানে

ভিন্ন লুকে নোরা...
ভিন্ন লুকে নোরা...

শোবিজ

নেপালের সিরিজ জয়ের ইতিহাস
নেপালের সিরিজ জয়ের ইতিহাস

মাঠে ময়দানে

জয়ে শুরু ভারতের
জয়ে শুরু ভারতের

মাঠে ময়দানে

ঢালাওভাবে ব্যাংক হিসাব ফ্রিজ করা ঠিক হবে না
ঢালাওভাবে ব্যাংক হিসাব ফ্রিজ করা ঠিক হবে না

প্রথম পৃষ্ঠা

ভাসানী মুজিব জিয়ার চোখে চীন
ভাসানী মুজিব জিয়ার চোখে চীন

সম্পাদকীয়

বেঁচে থাকাই জিন্দাবাদ
বেঁচে থাকাই জিন্দাবাদ

সম্পাদকীয়

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির আরও অবনতি
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির আরও অবনতি

পেছনের পৃষ্ঠা

জামায়াতসহ পাঁচ দলের নতুন কর্মসূচি
জামায়াতসহ পাঁচ দলের নতুন কর্মসূচি

প্রথম পৃষ্ঠা

কিছু আন্তর্জাতিক মহল নির্বাচন চায় না : প্রধান উপদেষ্টা
কিছু আন্তর্জাতিক মহল নির্বাচন চায় না : প্রধান উপদেষ্টা

প্রথম পৃষ্ঠা

এনসিপিসহ দুই দল নিবন্ধন পাচ্ছে
এনসিপিসহ দুই দল নিবন্ধন পাচ্ছে

প্রথম পৃষ্ঠা

পিআর নিয়ে দেশ অস্থিতিশীল
পিআর নিয়ে দেশ অস্থিতিশীল

প্রথম পৃষ্ঠা

গাজায় শান্তি ফেরাতে ট্রাম্পের রূপরেখা
গাজায় শান্তি ফেরাতে ট্রাম্পের রূপরেখা

প্রথম পৃষ্ঠা

হত্যাকাণ্ড ৪১ জেলার ৪৩৮ স্থানে
হত্যাকাণ্ড ৪১ জেলার ৪৩৮ স্থানে

পেছনের পৃষ্ঠা

চীনই থামাতে পারে ইউক্রেন যুদ্ধ
চীনই থামাতে পারে ইউক্রেন যুদ্ধ

পূর্ব-পশ্চিম

জামায়াত আমির-আর্জেন্টিনা রাষ্ট্রদূত সাক্ষাৎ
জামায়াত আমির-আর্জেন্টিনা রাষ্ট্রদূত সাক্ষাৎ

প্রথম পৃষ্ঠা

স্বাভাবিক হচ্ছে খাগড়াছড়ি, তদন্ত কমিটি গঠন
স্বাভাবিক হচ্ছে খাগড়াছড়ি, তদন্ত কমিটি গঠন

প্রথম পৃষ্ঠা

রোহিঙ্গাসংকট নিয়ে সাত প্রস্তাব ড. ইউনূসের
রোহিঙ্গাসংকট নিয়ে সাত প্রস্তাব ড. ইউনূসের

প্রথম পৃষ্ঠা

মিথ্যা তথ্য দিয়ে পূর্বাচলে প্লট নেন হাসিনা পুতুল জয়
মিথ্যা তথ্য দিয়ে পূর্বাচলে প্লট নেন হাসিনা পুতুল জয়

পেছনের পৃষ্ঠা

পাকিস্তানে আত্মঘাতী হামলায় নিহত ১০
পাকিস্তানে আত্মঘাতী হামলায় নিহত ১০

পূর্ব-পশ্চিম