প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, মালয়েশিয়ায় শ্রমিকরা যেসব সামাজিক সুরক্ষা সুবিধা পান, বাংলাদেশি শ্রমিকরা এখন থেকে একই সুবিধা সে দেশ থেকে পাবেন। এ ছাড়া মালয়েশিয়ায় যারা যান, তাদের ইংরেজি ভাষায় দুর্বলতা আছে বা অনেকে মালয় ভাষা খুব সহজে রপ্ত করতে পারেন না। তাদের জন্য বাংলা ভাষায় অভিযোগ দাখিলের সুবিধা প্রাপ্তির কথা মিটিংয়ে বলা হয়েছে।
গতকাল রাজধানীর ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমিতে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক নিয়ে আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান প্রেস সচিব শফিকুল আলম। তিনি বলেন, আমরা খুব দ্রুত মালয়েশিয়ার সঙ্গে ফ্রি ট্রেড অ্যাগ্রিমেন্ট করব। মালয়েশিয়া থেকে আমরা ৩ বিলিয়ন ডলারের খাদ্য ও অন্যান্য পণ্য আমদানি করি। আমাদের মধ্যে যাতে বাণিজ্য আরও ত্বরান্বিত হয়, এফটিএ নিয়ে আলোচনা খুব দ্রুত করব। ইতোমধ্যে আমাদের সঙ্গে জাপান, সিঙ্গাপুরের এফটিএ নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। শফিকুল আলম আরও বলেন, মালয়েশিয়ায় খুবই ফলপ্রসূ সফর ছিল। আমরা বলব, এটা একটা ল্যান্ডমার্ক ট্যুর ছিল। এর ফলে বাংলাদেশের সঙ্গে মালয়েশিয়ার যে সুসম্পর্ক ছিল, সেটি আরও শক্তিশালী হয়েছে। মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে শ্রমিককল্যাণ নিয়ে কথা হয়েছে। এটা নিয়ে আমাদের কিছু অগ্রগতি ছিল। মালয়েশিয়ায় যারা অবৈধ বা কাগজপত্রবিহীন শ্রমিক আছেন, তাদের বৈধ করার বিষয়ে প্রবাসীকল্যাণ উপদেষ্টা বৈঠকে জানিয়েছেন। এ ছাড়া আমাদের পক্ষ থেকে মালয়েশিয়ায় নিরাপত্তারক্ষী এবং কেয়ারগিভার নিয়োগের কথা বলা হয়েছে। আমরা আশা করছি, এ বিষয়ে সামনে অগ্রগতি দেখব। একই সঙ্গে মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের কাজের সুযোগ দিতে ‘গ্র্যাজুয়েট প্লাস’ প্রোগ্রামের কথা বলা হয়েছে। তারা বলেছেন এটা নিয়ে কাজ করবেন।
এদিকে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে শুল্কসংক্রান্ত খসড়া চুক্তি প্রকাশ না করার বিষয়ে ‘ভুলভাবে কথা বলেছেন’ বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। তিনি বলেন, দ্বিপক্ষীয় চুক্তির খসড়া প্রকাশ না করা কূটনৈতিকভাবে একটি প্রতিষ্ঠিত প্রক্রিয়া। অন্তর্বর্তী সরকার স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে সম্পূর্ণভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং শুল্কসংক্রান্ত চুক্তি সম্পূর্ণ হলে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে গোপনীয়তার শর্ত তুলে নেওয়ার অনুরোধ জানানো হবে বলেও জানান তিনি।
অপর এক প্রশ্নে তিনি বলেন, পুলিশের জন্য কীভাবে মারণাস্ত্র কেনা হয়েছিল এটা নিয়েও রিপোর্ট হয়েছে। এ বিষয়ে তদন্ত হচ্ছে। কীভাবে এগুলো কেনা হয়, কীভাবে ব্যবহার করা হয় তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।