ভারতের কাশ্মীরে ভয়াবহ মেঘভাঙা বৃষ্টিতে অন্তত ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে, আর নিখোঁজ রয়েছেন দুই শতাধিক মানুষ। বৃহস্পতিবার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, জম্মু ও কাশ্মীরের কিশতওয়ার জেলার চাশোতি শহরে এই দুর্যোগ ঘটে। হিমালয়ের এই অঞ্চলটি তীর্থযাত্রার জন্য গুরুত্বপূর্ণ, যেখানে ঘটনাস্থলে সেনা, বিমানবাহিনী ও দুর্যোগ মোকাবিলা কর্মীরা উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছেন।
ক্লাউডবার্স্ট কী?
ক্লাউডবার্স্ট বা মেঘভাঙা বৃষ্টি বলতে এক ঘণ্টায় অন্তত ১০০ মিলিমিটার (প্রায় ৪ ইঞ্চি) বা তার বেশি বৃষ্টিপাতকে বোঝায়। এটি সাধারণত পাহাড়ি এলাকায় বর্ষাকালে ঘটে।
কিভাবে হয়?
পাহাড়ি এলাকায় উষ্ণ ও আর্দ্র বাতাস দ্রুত উপরে উঠে ঠান্ডা হয়ে যায়। ফলে মেঘে প্রচুর পানি জমে। কোনো কারণে মেঘের পানির ভারসাম্য ভেঙে গেলে অল্প সময়ে বিশাল পরিমাণ বৃষ্টি নেমে আসে—যেন মেঘ ফেটে গেছে।
হলে কী ক্ষতি হয়?
হঠাৎ নেমে আসা বিপুল বৃষ্টির পানিতে পাহাড়ি নদী-খাল উথলে ওঠে, স্রোতের গতি ভয়াবহ হয়। এতে হঠাৎ বন্যা, ভূমিধস, ঘরবাড়ি ধ্বংস, ফসল নষ্ট, সেতু ও রাস্তা ভেঙে পড়া, এমনকি প্রাণহানিও ঘটে।
কাশ্মীরের ঘটনা যেভাবে
চাশোতিতে মেঘভাঙা বৃষ্টির ফলে তীব্র বন্যা দেখা দেয়। এতে মাচাইল মাতা মন্দিরগামী তীর্থযাত্রীদের জন্য থাকা একটি কমিউনিটি কিচেন ও নিরাপত্তা চৌকি ভেসে যায়। দুপুরের খাবারের সময় অনেক যাত্রী সেখানে ছিলেন, যারা স্রোতে ভেসে যান। টেলিভিশন ফুটেজে দেখা গেছে, গ্রাম প্লাবিত হওয়ার সময় তীর্থযাত্রীরা আতঙ্কে কাঁদছেন।
শ্রীনগরের স্থানীয় আবহাওয়া অফিস ইতিমধ্যে কাশ্মীরের বেশ কিছু এলাকায় প্রবল বর্ষণ ও হঠাৎ বন্যার সতর্কতা দিয়েছে, বাসিন্দাদের বৈদ্যুতিক খুঁটি ও পুরনো গাছ থেকে দূরে থাকতে বলা হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/আশিক