যশোরে ব্যবসায়ীকে গলা পর্যন্ত বালিতে পুঁতে ৪ কোটি টাকা চাঁদা আদায়ের মূল অভিযুক্ত আসাদুজ্জামান জনিকে গ্রেপ্তার করেছে যশোর ডিবি পুলিশ। গত বছরের ২ সেপ্টেম্বর অভয়নগর উপজেলার নওয়াপাড়ায় চাঁদাবাজির এ ঘটনা ঘটে। তবে এ ব্যাপারে মামলা হয় এই আগস্টে। তখন বিষয়টি ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি করে। জানা যায়, চাঁদাবাজির হোতা জনি নওয়াপাড়া পৌর বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক। গত বছর ৫ আগস্ট ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের পতনের পর দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ, চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অপকর্মে জড়িয়ে পড়ায় জনির পদ স্থগিত করে বিএনপি।
গতকাল সকাল সাড়ে ৯টার দিকে খুলনা শহরের রোজ গার্ডেন হোটেল থেকে জনিকে গ্রেপ্তারের পর যৌথ বাহিনী তাঁকে নিয়ে তাঁর মালিকানাধীন নওয়াপাড়ার কণা ইকো পার্কসহ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালায়। অভয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুল আলীম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জানা যায়, গত বছর ২ সেপ্টেম্বর নওয়াপাড়ার জাফ্রিদী এন্টারপ্রাইজের মালিক শাহনেওয়াজ কবীর টিপুকে আসাদুজ্জামান জনি কণা ইকো পার্কে নিয়ে গলা পর্যন্ত বালিতে পুঁতে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে কয়েক দফায় ৪ কোটি টাকা আদায় করেন। টিপুর স্ত্রী আসমা খাতুন ঘটনার ১১ মাস পর এ ব্যাপারে অভয়নগর সেনাক্যাম্পে অভিযোগ করেন। গত ২ আগস্ট তিনি অভয়নগর থানায় একটি মামলাও করেন। এরপর বিষয়টি সারা দেশে আলোচিত হয়। মামলার পর পুলিশ এজাহারভুক্ত আসামি নওয়াপাড়ার কেবল টিভি ব্যবসায়ী মিঠু ও মূল অভিযুক্ত জনির বাবা কামরুজ্জামানকে গ্রেপ্তার করেছিল। অন্য আসামি নওয়াপাড়া পৌর বিএনপির ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সাংগঠনিক সম্পাদক সম্রাট হোসেন, নওয়াপাড়া প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান দপ্তরী ও হাটখোলা এলাকার সৈকত হোসেন হিরা পলাতক।