তিন বছরের কারাদণ্ডের বিরুদ্ধে আপিলের জন্য বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সহধর্মিণী জুবাইদা রহমানকে ৫৮৭ দিনের বিলম্ব মার্জনা করেছেন হাই কোর্ট। জুবাইদা রহমানের আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি মো. খসরুজ্জামানের হাই কোর্ট বেঞ্চ গতকাল এ আদেশ দেন। এখন জুবাইদা রহমান দণ্ডের বিরুদ্ধে আপিল করতে পারবেন বলে জানিয়েছেন আইনজীবী। আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আসিফ হাসান। পরে আইনজীবী কায়সার কামাল জানান, আপিল করার জন্য ৫৮৭ দিন বিলম্ব ছিল। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত তা মার্জনা করেছেন। এখন জুবাইদা রহমান বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবেন।
সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর তারেক রহমান, জুবাইদা রহমান ও তাঁর মা সৈয়দা ইকবাল মান্দ বানুর বিরুদ্ধে রাজধানীর কাফরুল থানায় মামলা করে দুদক। এ মামলার বিচার শেষে ২০২৩ সালের ২ আগস্ট জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় তারেক রহমানকে দুই অভিযোগে নয় বছর ও জুবাইদা রহমানকে তিন বছরের কারাদ দেন ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালতের তৎকালীন বিচারক মো. আছাদুজ্জামান।
রায়ে দুদক আইন, ২০০৪-এর ২৬(২) ধারায় তারেক রহমানকে তিন বছর এবং ২৭(১) ধারায় ছয় বছরের কারাদ দেওয়া হয়। এ ছাড়া তাঁকে ৩ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়েছে। অন্যদিকে জুবাইদা রহমানকে ২৭(১) ধারায় তিন বছর কারাদ ও জরিমানা করা হয় ৩৫ লাখ টাকা। পরে গত বছরের শেষের দিকে এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তাঁর সাজা এক বছরের জন্য স্থগিত করে সরকার। স্বামী তারেক রহমানের সঙ্গে লন্ডনের উদ্দেশে ২০০৮ সালের ১১ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ ছাড়েন জুবাইদা রহমান। ১৭ বছর পর গত ৬ মে শাশুড়ি খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেশে ফেরেন তিনি।