সরকার ঘোষিত ১ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত ৩৬ দিনব্যাপী ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস’ পালন উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় (বাউবি) বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
মঙ্গলবার সকালে এ কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের ঢাকার কার্যালয়ের কনফারেন্স হলে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস’ উদযাপন কমিটির এক সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ বি এম ওবায়দুল ইসলাম। সভার শুরুতেই জুলাই-আগস্ট ২০২৪ সালে সংঘটিত ছাত্র-জনতার গণ-আন্দোলনে শহীদ বীরদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
সভায় উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ বি এম ওবায়দুল ইসলাম বলেন, জুলাই-আগস্ট ২০২৪ সালের গণআন্দোলন এ দেশের ইতিহাসে একটি অনন্য গৌরবময় অধ্যায়। বৈষম্য, দুঃশাসন, স্বৈরাচার ও ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে সাধারণ ছাত্র-জনতা ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তোলে। তাদের আত্মত্যাগ, দৃঢ় মনোবল ও গণতান্ত্রিক চেতনার ফসল হিসেবে আমরা ফিরে পাই গণতন্ত্রের সুবাতাস, যা এক অর্থে জাতির পুনর্জাগরণ।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় একটি জাতীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে অতীত ঐতিহ্য ও গণতান্ত্রিক আন্দোলনের মূল্যবোধ ধারণ করে। তাই ৩৬ দিনব্যাপী এই কর্মসূচি আমরা যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করব।
সভায় উপস্থিত ছিলেন বাউবির প্রো-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. দিল রওশন জিন্নাত আরা নাজনীন, প্রো-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক সাঈদ ফেরদৌস, ট্রেজারার অধ্যাপক আবুল হাসনাত মোহা. শামীম, রেজিস্ট্রার ড. মো. শফিকুল আলম, বিভিন্ন অ্যাকাডেমিক স্কুলের ডিন, প্রশাসনিক ও অ্যাকাডেমিক বিভাগের পরিচালক, বিভাগীয় প্রধান এবং অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
বিডি প্রতিদিন/কেএ