রাজশাহী অঞ্চলের বিভিন্ন বাজারে হঠাৎ করে বেড়েছে সব ধরনের চালের দাম। এতে অস্বস্তি বাড়ছে ক্রেতা পর্যায়ে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে প্রতি কেজি চালের দাম বেড়েছে আড়াই থেকে তিন টাকার বেশি। সর্বশেষ গত বুধবার অনুষ্ঠিত রাজশাহী বিভাগীয় উন্নয়ন সভায় চালের দাম বৃদ্ধি নিয়ে আলোচনা করা হয়। সেখানে খাদ্য বিভাগের পক্ষ থেকে জানানো হয়, রাজশাহীতে সব ধরনের চালের দাম ২-৩ টাকা বেড়েছে। তবে ঢাকার বাজার থেকে রাজশাহী অঞ্চলের মূল্য চার থেকে পাঁচ টাকা কম আছে। ওই সভা থেকে চালের মজুতবিরোধী বিশেষ অভিযান শুরুর কথাও জানানো হয়। তবে গতকাল পর্যন্ত চালের বাজার নিয়ন্ত্রণে কোনো তদারকির খবর মেলেনি। বাজার পর্যায়ে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এক সপ্তাহের ব্যবধানে ধরন ভেদে প্রতি কেজি চালের দাম বেড়েছে আড়াই থেকে তিন টাকা পর্যন্ত। চাল ব্যবসায়ীরা বলছেন, মোকাম ও আড়তগুলোতে চালের দাম বেড়েছে। চালকল মালিকরাও চালের দাম বাড়িয়েছেন। নগরীর উপশহর এলাকার পাইকারি চাল বিক্রেতা মতিউর রহমান মতি জানান, সপ্তাহের ব্যবধানে মোটা-চিকন সব ধরনের চালের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। তিনি বলেন, বোরো ধানের দাম হঠাৎ বৃদ্ধি পাওয়ায় বেড়েছে চালের দাম। বাজারে মোটা চালের দামও কেজিতে বেড়েছে সপ্তাহের ব্যবধানে ২ টাকা।
বাজারের ক্রেতারা বলছেন, এক সপ্তাহ আগের চেয়ে রবিবার প্রতি কেজি চাল ২-৫ টাকা বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে। এখন খুচরায় প্রতি কেজি মোটা চাল (বিআর-২৮/পারিজা) মানভেদে বিক্রি হচ্ছে ৫৮-৬৪ টাকা দরে। সরু চালের মধ্যে জিরাশাইলের কেজি ৭৬-৭৮ টাকা এবং মিনিকেট ৭৬-৮০ টাকা। কাটারিভোগ বিক্রি হচ্ছে ৭০-৭৫ টাকা কেজিতে। এ ছাড়া স্বর্ণা মোটা ও চিকন, পারিজা, পাইজাম, বাশমতি, নাজিরশাইল চালের দামও পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে বৃদ্ধি পেয়েছে। কনজুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ ক্যাবের রাজশাহীর সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা মামুন উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, চালের বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারের দৃশ্যমান পদক্ষেপ নেই। শৃঙ্খলা না থাকায় চালের দাম বাড়ছে। তিনি বলেন, সরকার সিন্ডিকেট ভাঙতে ব্যর্থ। কোনো একটি অপশক্তি চালের সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণে নিয়ে বাজারে দাম বাড়াচ্ছে। তিনি বাজারে চাল সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান।