জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের (ইউএনএসসি) সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেছে পাকিস্তান। মঙ্গলবার এই দায়িত্ব গ্রহণ করে দেশটি। এটি পরিষদের ১৫ সদস্যের মধ্যে পাকিস্তানের অষ্টম মেয়াদ এবং ২০১৩ সালের পর প্রথমবারের মতো সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণ।
জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের ১৫ সদস্যের মধ্যে মাসিক ভিত্তিতে বর্ণানুক্রমিকভাবে সভাপতিত্বের দায়িত্ব পরিবর্তিত হয়। জুলাই মাসের জন্য এ গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পড়েছে পাকিস্তানের ওপর।
২০২৪ সালের নির্বাচনে ১৯৩ সদস্য দেশের মধ্যে ১৮২ ভোট পেয়ে পাকিস্তান অস্থায়ী সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়। এবারের সভাপতিত্ব পাকিস্তানের জন্য এক গুরুত্বপূর্ণ কূটনৈতিক মুহূর্ত হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
নিরাপত্তা পরিষদের সভাপতি হিসেবে পাকিস্তান চলতি জুলাই মাসে পরিষদের সব কার্যক্রম পরিচালনা করবে এবং বৈশ্বিক নিরাপত্তা ইস্যুতে আলোচনার নেতৃত্ব দেবে।
যদিও এই মাসিক ঘূর্ণায়মান সভাপতিত্বের নির্বাহী ক্ষমতা নেই, তবু এটি সংশ্লিষ্ট দেশকে বৈশ্বিক ইস্যু—বিশেষ করে গাজা ও ইউক্রেন সংকটের মতো—নিয়ে আলোচনায় প্রভাব বিস্তার করার সুযোগ দেয়।
পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার এক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম পোস্টে বলেছেন, আমরা বিনম্রতা ও জাতিসংঘ সনদের মূলনীতির প্রতি দৃঢ় অঙ্গীকার নিয়ে সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণ করছি। বিশ্বজুড়ে এখন সংঘাত ও মানবিক সংকট আরও তীব্র হচ্ছে।
পাকিস্তানের সভাপতিত্বকালীন সময়ে দার দুটি উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে সভাপতিত্ব করবেন বলে জানা গেছে, যার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে ফিলিস্তিন পরিস্থিতি নিয়ে ত্রৈমাসিক উন্মুক্ত আলোচনা। গাজার চলমান মানবিক বিপর্যয়ের প্রেক্ষিতে এই অধিবেশন আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ব্যাপক মনোযোগ পাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
জাতিসংঘে পাকিস্তানের স্থায়ী প্রতিনিধি আসিম ইফতিখার আহমেদ এক বিবৃতিতে বলেন, বিশ্ব বর্তমানে এক অস্থির, সংঘাতময় ও জটিল কূটনৈতিক পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, যা বৈশ্বিক শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। সূত্র: ডন নিউজ, ডয়েচে ভেলে
বিডি প্রতিদিন/একেএ