গত রবিবার বিকালে একটি মর্মান্তিক দুর্ঘটনায়, ১৪তলা বিশিষ্ট ডিসনি ড্রিম প্রমোদতরীর ৪ তলা থেকে একটি মেয়ে পড়ে যায়। তাকে বাঁচাতে তার বাবা সমুদ্রে ঝাঁপিয়ে পড়েন, এমনটি জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, বাবা-মেয়ে উদ্ধার হওয়ার পর, জাহাজে উপস্থিত যাত্রীরা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন। প্রায় ১০ মিনিট পানিতে ভাসার পর, তাদের উদ্ধার করা হয়। প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, মেয়ে তখন তার বাবার কাছ থেকে রেলিংয়ের কাছে ছবি তুলছিল, হঠাৎ সেখানে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
প্যাসেঞ্জার লরা আমাদর বলেন, "জাহাজ এত দ্রুত চলছিল যে, খুব দ্রুতই তারা ভাসতে ভাসতে জাহাজের দূরে চলে যায়, এবং তারপর তাদের আর দেখা যাচ্ছিল না।" দুর্ঘটনার পর, জাহাজের ক্যাপ্টেন দ্রুত গতি কমিয়ে দেয় এবং তারা তাদের উদ্ধার করার জন্য একটি উদ্ধারকারী শিপ পাঠায়।
"জাহাজের গতি খুব দ্রুত ছিল, এরপর তারা দূরত্বে গিয়ে অদৃশ্য হয়ে গিয়েছিল," বলেন আরেক যাত্রী গার ফ্রান্টজ। তিনি বলেন, "এটি ছিল অত্যন্ত ভয়াবহ।"
ডিসনি ড্রিম, যা ৪ হাজার যাত্রী ধারণক্ষমতা সম্পন্ন, বাহামাস দ্বীপপুঞ্জের চারদিনের ভ্রমণ শেষে ফ্লোরিডার ফর্ট লডারডেলে ফিরে আসছিল। এ ঘটনায় ডিসনি কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তারা দুই যাত্রীকে উদ্ধার করেছে। তবে বিস্তারিত কোনো তথ্য প্রদান করা হয়নি।
ডিসনি ক্রুজ লাইন-এর এক মুখপাত্র বলেন, "ডিসনি ড্রিম-এর ক্রু খুব দ্রুত দুই যাত্রীকে উদ্ধার করেছে। আমরা আমাদের ক্রু সদস্যদের তাদের অসাধারণ দক্ষতা এবং ত্বরিত পদক্ষেপের জন্য প্রশংসা করি, যার ফলে দুজন যাত্রীকে দ্রুত এবং নিরাপদে জাহাজে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে।"
উল্লেখ্য, ক্রুজ শিপ থেকে যাত্রী পড়ে যাওয়ার ঘটনা যদিও বিরল, তবে এ ধরনের দুর্ঘটনায় উদ্ধার অনেক সময় সফল হয় না। ২০১৯ সালে ক্রুজ লাইনস ইন্টারন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ওই বছর ২৫ জন যাত্রী ক্রুজ শিপ থেকে পড়ে যান, তবে তাদের মধ্যে মাত্র ৯ জনই উদ্ধার হতে পেরেছিলেন।
সূত্র : বিবিসি।
বিডি-প্রতিদিন/শআ