গাজীপুরের কোনাবাড়ীতে চুরির অপবাদে এক শ্রমিককে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় আরও দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন-শফিকুল ইসলাম (৩০) ও বেল্লাল হোসেন ওরফে বেলাল (৪৩)। এ নিয়ে ওই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে তিনজনকে গ্রেফতার করা হলো।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (জিএমপি) কোনাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সালাহ উদ্দিন জানান, গোপন সংবাদে পেয়ে সোমবার দিবাগত রাতে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের কোনাবাড়ীর হরিণাচালা এলাকায় ভাড়া বাসা থেকে মো. শফিকুল ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি রাজশাহী জেলার বাগমারা এলাকার হাটমাদনগর গ্রামের মৃত রফিকুল ইসলামের ছেলে ও গ্রিনল্যান্ড লিমিটেড নামের কারখানাটির নিরাপত্তাকর্মী। ভিডিও ফুটেজ দেখে তার জড়িত থাকার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে।
এদিকে র্যাব-১ এর স্পেশালাইজড কোম্পানী গাজীপুরের পোড়াবাড়ী ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার কে এম এ মামুন খান চিশতী জানান, মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গাজীপুর করপোরেশনের বাসন থানাধীন চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় অভিযান চালিয়ে ওই মামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে বেল্লাল হোসেন ওরফে বেলালকে গ্রেফতার করা হয়। বেলাল সিরাজগঞ্জ জেলার কাজীপুর থানার পাটাগ্রাম এলাকার মো. লোকমান হোসেনের ছেলে। তিনি গ্রিনল্যান্ড লিমিটেড ফ্যাক্টরীর সিকিউরিটি গার্ড বলে তিনি জানান।
এর আগে শনিবার (২৮ জুন) ভোরে গ্রিনল্যান্ড লিমিটেড গার্মেন্ট ফ্যাক্টরীতে হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি ঘটে। নিহত হৃদয় টাঙ্গাইল জেলার ঘাটাইল থানার শুকতারবাইদ এলাকার মৃত কাজীমদ্দীনের ছেলে। এ ঘটনায় হৃদয়ের বড় ভাই মো. লিটন মিয়া বাদী হয়ে কোনাবাড়ী থানায় গত শনিবার রাতে একটি হত্যা মামলা করেন। তবে এতে জড়িত কারও নাম উল্লেখ করা হয়নি। ওই মামলায় রবিবার হাসান মাহমুদ মিঠুন নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তিনি ওই কারখানার শ্রমিক।
জিএমপির কোনাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: সালাহ উদ্দিন আহমেদ জানান, কী কারণে তাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে তা এখন পর্যন্ত জানা যায়নি। ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
বিডি প্রতিদিন/নাজিম