তরুণ সংগীতশিল্পী-অভিনেতা এঞ্জেল নূর। যার কাভার ও স্বরচিত বিভিন্ন গান নিমেষে ভাইরাল হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। সম্প্রতি নূরের গায়কির প্রশংসা করে তার গান টুইটারে শেয়ার করেন সংগীততারকা অরিজিৎ সিং। তার সঙ্গে কথোপকথনে- পান্থ আফজাল
মাইল্ড স্ট্রোক করেছিলেন। এখন কি সুস্থ?
পুরোপুরি না, তবে সম্পূর্ণ সুস্থ হতে আরও কিছুদিন সময় লাগবে। মুখের বাঁ-পাশ সেন্সলেস হয়ে গিয়েছিল। এখন ভালোভাবেই মুখ নাড়াতে পারছি। ভালো আছি।
এত কম বয়সে স্ট্রোক...
আমি দীর্ঘদিন ধরে হাইপার টেনশনে ভুগছিলাম। এর মধ্যে অত্যধিক কাজের চাপসহ কিছু কারণে এমনটা হয়েছে আর কি।
নতুন একটি গান আসবে শুনেছিলাম, সেটির খবর কী?
‘যদি আবার’ এর পর নতুন আরেকটি গান। গানের নাম ‘তিল’। ঈদের দুই সপ্তাহ পরে প্রকাশ পাবে।
নাটকের গানও তো করেছেন?
বেশ কিছু গান করেছি। এর মধ্যে ‘ভরসা দিলে’, ‘মরীচিকার প্রতীক্ষা’, ‘দূর থেকে’, ‘আমার হয়ে যা’, ‘ফেরারি মন’সহ আরও কিছু গান রয়েছে। এক এক করে সামনে আসবে। আর সাতটি গান নিয়ে একটা অ্যালবামও প্রকাশ করার পরিকল্পনা ছিল, সেটি আপতত হচ্ছে না। তবে এখন মৌলিক গান নিয়ে কাজের চাপটা একটু বেশি। নাটকের গান, সিনেমার গান, ছাড়াও আমার লেখা, সুর করা প্রায় ৩৬টা গান রয়েছে। যেগুলো ধীরে ধীরে রেকর্ড করে দর্শকের সামনে হাজির করা হবে।
অভিনয়ও করছেন। নতুন কাজ আসবে?
বেশ কিছু কাজ করছি। কলকাতার একটি সিনেমা ও একটি তামিল ছবির কাজ করব। আর বাংলাদেশের দুটি সিনেমার কাজ করার কথা। কিছু চমক ভক্তদের জন্য অপেক্ষা করছে।
জীবনের টার্নিং পয়েন্ট?
জনপ্রিয় ব্যান্ড মাইলসের ৪০ বছর পূর্তি উপলক্ষে ভক্তদের জন্য একটা প্রতিযোগিতা আয়োজন করেছিল। সে সময় মাইলসের ‘নীলা’ গানটি গেয়ে ভিডিও পাঠাই। এরপর তো প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হয়ে মাইলসের সঙ্গে গান গাওয়ার সুযোগ হয়। সেটাই ছিল টার্নিং পয়েন্ট। আসলে মাইলসের সঙ্গে সুযোগটা আসার আগে কখনোই ভাবিনি যে এত বড় পরিসরে গান করব। সবকিছু হঠাৎ করে হয়ে গেছে। এরপর তো বিজ্ঞাপন, নাটক, ওয়েবের কাজ শুরু।
গানে আসার পেছনে মূল অনুপ্রেরণা কে ছিলেন?
অরিজিৎ সিং-এর গান আমি খুবই পছন্দ করতাম। গুনগুন করে গাওয়ার চেষ্টা করতাম। লতা মঙ্গেশকর, অনুপম রায়ের গান কাভার করে ফেসবুকে পোস্ট করতাম। সেই গান শুনে সবাই প্রশংসাও করত।
অরিজিতের প্রোফাইলে আপনার গান...
তার মতো এত বিখ্যাত একজন মানুষ আমার গানের প্রশংসা করবেন, এটা অবিশ্বাস্য! তিনি এমন একজন মানুষ, যার গান দিয়ে আমার গাওয়া শুরু। সেই জায়গা থেকে আমাদের গানের সুর তার কাছে পৌঁছানো। বাংলাদেশে তো অনেক শিল্পী আছে, কিন্তু এত কিছু ছাপিয়ে ওই জায়গায় গিয়ে গানটা পৌঁছানো এটা অদ্ভুত একটা বিষয়।
‘রিদম অব ইয়ুথ’-এ ‘এঞ্জেল নূর অ্যান্ড ব্যান্ড’-এর পারফর্ম...
এত বড় এরিয়া, এত দর্শকের সামনে পারফর্ম করা এটা অন্যরকম এক অনুভূতি ছিল। চেষ্টা করেছি ভালো ইনপুট দেওয়ার। পারফরম্যান্সে দর্শক খুশি হয়েছে।
গান-অভিনয়টাই কি চালিয়ে যাবেন?
আমি অভিনয় বা গানকে পেশা হিসেবে নিতে চাই না। চাই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হতে। পাশাপাশি গান ও অভিনয়টা চলবে।
আপনি দেখতে নাকি মাইকেল জ্যাকসনের মতো?
সেটা বলে কেউ কেউ। আবার অনেকেই বলে আমি দেখতে সালমান মুক্তাদির বা কুনাল খেমুর মতো। আমি তো বলব, আমি শুধুই আমার মতো।