সোমালিয়ার রাজধানী মোগাদিশুর একটি সেনা নিয়োগ কেন্দ্রে আত্মঘাতী বোমা হামলায় কমপক্ষে ১৩ জন নিহত হয়েছেন।
রবিবার ডামান্যো সেনা ঘাঁটির বাইরে তরুণ নিয়োগপ্রত্যাশীরা সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে থাকার সময় হামলাটি ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে (এপি) জানিয়েছেন, হঠাৎ একটি বিকট বিস্ফোরণের শব্দ হয় এবং সঙ্গে সঙ্গে লোকজন চারদিকে ছুটতে শুরু করে। ঘটনাস্থলে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে মরদেহ।
একজন টুকটুক চালক আবদুলকাদির হাসান মোহাম্মদ বলেন, "একটি বিশাল বিস্ফোরণ হয় এবং সঙ্গে সঙ্গে লোকজন দিকবিদিক ছুটতে শুরু করে। চারদিকে মরদেহ পড়ে ছিল।"
ঘটনার সময় বহু কিশোর ঘাঁটির ফটকে লাইন ধরে দাঁড়িয়ে ছিল। তখনই আত্মঘাতী হামলাকারী বিস্ফোরণ ঘটায় বলে জানিয়েছেন রয়টার্সকে প্রত্যক্ষদর্শীরা।
একজন যাত্রী, আবদিসালান মোহাম্মদ জানান, "আমরা বাসে করে যাওয়ার সময় ঘাঁটির ফটকে শত শত কিশোরকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখেছি। হঠাৎ একটি বিকট বিস্ফোরণ হয় এবং ঘন ধোঁয়ায় চারদিক ঢেকে যায়। তখন আর কিছু বোঝা যাচ্ছিল না।"
সেনাবাহিনীর একজন কর্মকর্তা, ক্যাপ্টেন সুলেইমান ঘটনাটি প্রত্যক্ষ করেছেন। ঘটনাস্থলে আত্মঘাতী হামলাকারীর দেহাবশেষ এবং বহু জোড়া পরিত্যক্ত জুতা পড়ে থাকতে দেখা গেছে।
সামরিক হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তারা ঘটনাস্থল থেকে ৩০ জন আহতকে পেয়েছেন, যাদের মধ্যে ছয়জন সঙ্গে সঙ্গেই মারা গেছেন।
আলাদা এক সূত্রে আনাদোলু সংবাদ সংস্থা জানায়, হামলায় অন্তত ১১ জন নিহত হয়েছেন।
সরকার ইতিমধ্যে ঘটনাস্থল ঘিরে ফেলেছে। এই হামলাটি ২০২৩ সালের এক আত্মঘাতী হামলার পুনরাবৃত্তি ঘটায়, যেখানে ডামান্যো ঘাঁটির বিপরীতে জালে সিয়াদ ঘাঁটিতে ২৫ জন সেনা নিহত হয়েছিলেন।
এই হামলার আগের দিন শনিবার, হিরান অঞ্চলে ব্যাটালিয়ন ২৬-এর কমান্ডার কর্নেল আবদিরাহমান হুজালে-কে হত্যা করা হয়। ওই অঞ্চলে আল-শাবাব গোষ্ঠীর সরকারি ও নিরাপত্তা বাহিনীতে অনুপ্রবেশ নিয়ে স্থানীয়ভাবে উদ্বেগ রয়েছে।
প্রসঙ্গত, প্রায় দুই দশক ধরে আল-শাবাব গোষ্ঠী সোমালিয়া সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই করছে এবং নিয়মিতভাবে সরকারি কর্মকর্তাদের ও সামরিক স্থাপনাগুলোকে লক্ষ্যবস্তু করে। সূত্র: রয়টার্স
বিডি প্রতিদিন/নাজিম