ইসরায়েলি বাহিনী গাজা উপত্যকায় আবারও ব্যাপক হামলা চালিয়েছে। রবিবার (১৮ মে) একদিনেই ইসরায়েলি আগ্রাসনে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ১৫১ জন ফিলিস্তিনি। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাতে এ তথ্য জানা গেছে।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ইসরায়েলি সামরিক অভিযান এখন পর্যন্ত ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে। নিহতের সংখ্যা ৫৩ হাজার ছাড়িয়েছে আর আহত হয়েছেন ১ লাখ ২০ হাজারের বেশি মানুষ। প্রতিদিনই বাড়ছে এঈ সংখ্যা, যা পুরো বিশ্ববাসীর বিবেককে নাড়া দিচ্ছে।
একদিকে কাতারের রাজধানী দোহায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা চলছে হামাস ও ইসরায়েলের প্রতিনিধিদের মধ্যে, অন্যদিকে ইসরায়েল অব্যাহত রেখেছে নৃশংস হামলা। ইসরায়েলি বাহিনী গাজার উত্তরাঞ্চলের হাসপাতাল ঘিরে ফেলেছে। রোগী, চিকিৎসক এবং প্রয়োজনীয় সেবা সরঞ্জাম প্রবেশে বাধা দেওয়া হচ্ছে। হাসপাতালটির কাছেই অবকাঠামোগত হামলার কথা স্বীকার করেছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী।
উত্তর গাজার আরেকটি বেসরকারি হাসপাতাল আল-আওদার পরিচালক মোহাম্মদ সালহা সতর্ক করেছেন, হাসপাতাল বন্ধ হয়ে গেলে সংকট আরও গভীর হবে। কারণ অক্সিজেন এবং আইসিইউ-ভিত্তিক সেবার জন্য তার প্রতিষ্ঠান ওই হাসপাতালের ওপর নির্ভরশীল।
তবে শুধু উত্তর গাজাই নয়, দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসের নাসের মেডিকেল কমপ্লেক্স ও ইউরোপীয় হাসপাতালও ইসরায়েলি হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ইসরায়েল দাবি করেছে, ইউরোপীয় হাসপাতালের নিচে হামাসের একটি কমান্ড সেন্টার রয়েছে-যা হামলার কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
তথ্য সূত্র - আলজাজিরা।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ