দীর্ঘ ১০ সপ্তাহের অবরোধের পর অবশেষে গাজা উপত্যকায় সামান্য পরিমাণে খাদ্য প্রবেশের অনুমতি দিয়েছে ইসরায়েল। ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর গাজা জুড়ে নতুন করে বিস্তৃত স্থল অভিযান শুরুর কয়েক ঘণ্টা পরেই এ ঘোষণা আসে।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয় থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে জানানো হয়, ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)-এর সুপারিশ এবং হামাসের বিরুদ্ধে নবায়নকৃত সামরিক অভিযানকে সমর্থন করার প্রেক্ষিতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অবরোধ চলাকালে কোনো খাদ্য, জ্বালানি বা ওষুধ প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়নি, ফলে আন্তর্জাতিক চাপ বৃদ্ধি পায়।
গাজার প্রায় ২১ লাখ বাসিন্দা চরম খাদ্য সংকটে পড়েছে, এমন প্রেক্ষাপটে জাতিসংঘ ও অন্যান্য সাহায্য সংস্থাগুলো দুর্ভিক্ষের আশঙ্কা প্রকাশ করেছে।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় জানিয়েছে, গাজায় মানবিক সহায়তা সরবরাহে ইসরায়েল নিয়ন্ত্রণে থাকবে, এটি হামাসের হাতে ছেড়ে দেওয়া হবে না। এতে করে ক্ষুধা পরিস্থিতি মোকাবেলায় সীমিত পরিসরে খাদ্য প্রবেশের সুযোগ তৈরি হবে।
এদিকে, রবিবার গাজায় ব্যাপক স্থল অভিযানের ঘোষণা দিয়েছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। তারা জানায়, উত্তর ও দক্ষিণ গাজায় ডজনখানেক "সন্ত্রাসী"কে হত্যা ও গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো ধ্বংস করেছে। এরই মধ্যে ফিলিস্তিনি উদ্ধারকর্মীরা জানিয়েছেন, ইসরায়েলি হামলায় বহু সাধারণ মানুষ নিহত হয়েছে।
খান ইউনিস, বেইত লাহিয়া ও জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরসহ বিভিন্ন স্থানে ইসরায়েলি বোমা হামলার খবর পাওয়া গেছে। হামাস-নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় গাজায় কমপক্ষে ৬৭ জন নিহত এবং ৩৬১ জন আহত হয়েছে।
খান ইউনিসের এক নারী বিবিসিকে জানান, রাতভর বোমা বিস্ফোরণের শব্দে তাদের ঘুম ভেঙে যায়। পাশাপাশি খাদ্য, ময়দা ও গ্যাসের তীব্র সংকট তাদের জীবন দুর্বিষহ করে তুলেছে।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী রবিবার শুরু হওয়া এই অভিযানকে "চূড়ান্ত সতর্কতা" হিসেবে উল্লেখ করেছে।
সূত্র: বিবিসি
বিডি প্রতিদিন/আশিক