শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, রবিবার, ১৭ আগস্ট, ২০২৫

মুজিব ও হাসিনার পতন : শোক বনাম মুক্তি দিবস!

আনোয়ার হোসেইন মঞ্জু
প্রিন্ট ভার্সন
মুজিব ও হাসিনার পতন : শোক বনাম মুক্তি দিবস!

শেখ মুজিবুর রহমান এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সংগ্রামে তার ভূমিকা ও অবদানকে যদি কোনো ব্যক্তি-পক্ষ বিতর্কিত করে থাকে, সেজন্য সবচেয়ে বেশি দায়ী তার কন্যা শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগ। শেখ মুজিব কোনো অবতার, এমনকি মহামানব ছিলেন না। একজন মানুষ ও রাজনীতিবিদ হিসেবে তিনি মানবিক ভুলত্রুটি’ সমালোচনার ঊর্ধ্বে ছিলেন না। তিনি অজাতশত্রুও ছিলেন না। তার অপঘাত মৃত্যুই বড় প্রমাণ যে তিনি নিজেকে সদ্য স্বাধীন রাষ্ট্রের সব ক্ষমতার উৎস এবং জনগণের ভাগ্যবিধাতা বিবেচনা করে প্রচুর শত্রু সৃষ্টি করেছিলেন। বাড়াবাড়ি, দুঃশাসন, রাষ্ট্র পরিচালনায় অদক্ষতা সত্ত্বেও দাম্ভিকতার কারণে কাছের লোকজনেরও বিরাগভাজন হয়েছিলেন তিনি। তারাই তার হাত থেকে দেশ ও জনগণকে বাঁচাতে তাকে পৃথিবী থেকে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট যারা ঢাকায় ছিলেন ওই দিনটির সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে তারা দলে দলে রাস্তায় নেমে আসেন। হত্যার প্রতিবাদ জানাতে নয়, আনন্দ প্রকাশ করতে। এত বিশাল একজন রাজনৈতিক নেতা, ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ ওই সময়ের রেসকোর্স ময়দানে তার ভাষণ শুনে যারা পাকিস্তানি দুঃশাসনের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করতে উজ্জীবিত হয়েছিল, তার অনুপস্থিতিতে যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছিল এবং পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি দেশে প্রত্যাবর্তন করলে তাকে যেভাবে বীরোচিত সংবর্ধনা দিয়ে বরণ করেছিল, তার প্রতি সেই শ্রদ্ধা-ভক্তি মাত্র সাড়ে তিন বছরের মধ্যে কতটা ঘৃণায় পর্যবসিত হলে তার হত্যাকাণ্ডকে আনন্দ উচ্ছ্বাসে উদযাপন করতে পারে সে দৃশ্য যারা দেখেননি তাদের কাছে তা হয়তো বিশ্বাসযোগ্য হবে না। তার অপশাসন, বিরুদ্ধবাদীদের নিপীড়ন গণতন্ত্র ও বাকস্বাধীনতা হরণকারী ‘বাকশালী’ স্বৈরশাসন চাপিয়ে দেওয়ায় তার বিরুদ্ধে পুঞ্জীভূত ঘৃণার বিস্ফোরণ ঘটেছিল। জনগণ তাদের একসময়ের পূজনীয় নেতার মৃত্যুতে শোকের অশ্রুপাত না করে নাজাত দিবস পালন করেছিল।

আনোয়ার হোসেইন মঞ্জু২০২৪ সালের ৫ আগস্ট নিজের জীবন বাঁচাতে শেখ হাসিনা ও তার প্রিয়ভাজনদের পলায়ন আওয়ামী লীগ নেতাদের প্রথম ও একমাত্র পলায়ন কাহিনি নয়। নিজেদের বিপদ আসন্ন দেখলেই তারা পালায় এবং যারা পালায় তারাই বাঁচে। শেখ মুজিবের মৃত্যু দিবসেও আওয়ামী লীগ এবং দলটির সব অঙ্গ-সংগঠনের নেতা-কর্মীরা পঁচাত্তরে ১৫ আগস্ট দলে দলে গা-ঢাকা দিয়েছিলেন। শেখ মুজিবকে তার যেসব রাজনৈতিক সঙ্গী সহ্য করতে পারেননি এবং তার জীবৎকালে মুখ পর্যন্ত খুলতে পারেননি ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বাড়ির সিঁড়িতে গড়িয়ে পড়া শেখ মুজিবের রক্ত জমাট বাঁধার আগেই মুজিবমুক্ত বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট ও মন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছিলেন। তা সত্ত্বে ব্যক্তিগতভাবে শেখ মুজিব যত ভুলই করে থাকুন সেজন্য তাকে হত্যা করা, হত্যার ঘটনায় আনন্দ-উচ্ছ্বাস প্রকাশ করার মতো ঘটনাগুলোকে আমি স্বাভাবিক বিবেচনা করতে বা মানতে পারি না। যদিও একটি হাদিসে আছে যে- কোনো মৃত মুসলিমের প্রতি যদি নিন্দাসূচক মন্তব্য করে তার মৃত্যুতে স্বস্তির প্রকাশ হিসেবে ‘আলহামদুলিল্লাহ’ উচ্চারণ করা হয়, তাহলে মৃতের জন্য জাহান্নাম ওয়াজিব হয়ে যায়। আর যার প্রতি প্রশংসাসূচক মন্তব্য করা হয়, সে মৃতের জন্য জান্নাত ওয়াজিব হয়ে যায়। (বুখারি ১৩৬৭)। যেহেতু শেখ মুজিবের নিন্দা ও প্রশংসা করার লোকজন এখনো রয়েছে সেজন্য তিনি জাহান্নামে বা জান্নাতে যাবেন সে সিদ্ধান্ত একান্তই মহান সৃষ্টিকর্তার। যদিও শেখ মুজিবের দুঃশাসন ও রক্ষীবাহিনীর নজিরবিহীন অত্যাচার দেখার ও ভালোভাবে বোঝার মতো বয়স আমার হয়েছিল এবং পিঠ বাঁচিয়ে তার সমালোচনাও করেছি, তবুও তার মৃত্যুতে উচ্ছ্বসিত না হয়ে আমি স্বভাবসুলভভাবে ‘ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন’ উচ্চারণ করেছি। 

১৯৯৬ সালে প্রথমবার ক্ষমতায় গিয়ে স্বয়ং শেখ হাসিনা এবং তার দল আওয়ামী লীগ শেখ মুজিবকে যেভাবে মহামানবে পরিণত শুরু করেছিলেন, তার ষোলকলা পূর্ণ হয় ২০০৯ সালে দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় গিয়ে টানা সাড়ে পনেরো বছর ক্ষমতায় থেকে তার পিতাকে পূর্ণ দেবতার রূপ দিতে। শেখ মুজিবকে তিনি দেশবাসীর সব সমালোচনার ঊর্ধ্বে আরাধ্যের পাত্রে পরিণত করেন। মুহূর্তের জন্যও তিনি বিবেচনা করেননি যে, তার ফ্যাসিবাদী শাসনে জনগণকে অতিষ্ঠ করে তোলা ছাড়াও সব কাজে, সব কথায় কারণে-অকারণে প্রয়োজনে-অপ্রয়োজনে তার মরহুম পিতাকে টেনে এনে অর্থহীনভাবে মৃত পিতাকে গ্লোরিফাই বা মহিমান্বিত করার চেষ্টা চালিয়ে তিনি নিজের ও কবরবাসী পিতার সর্বনাশ করেছেন। শেখ হাসিনা প্রতিনিয়ত দাবি করতেন যে, তিনি প্রতিদিন ফজরের নামাজ আদায়ের পর কোরআন তেলাওয়াত করতেন। কিন্তু দৃশ্যত নামাজ ও   তেলাওয়াত তাকে হেদায়েতের পথে আনতে পারেনি। হেদায়েত দান করা একান্ত আল্লাহর ইচ্ছা। কোরআনে বলা হয়েছে- ‘আল্লাহ যাকে ইচ্ছা পথভ্রষ্ট করেন এবং যাকে ইচ্ছা হেদায়েত দান করেন।’ (সুরা মুদ্দাসসির : ৩১)। আল্লাহ যেহেতু তাকে  হেদায়েতের পথে আনতে পারেননি, আল্লাহর ইচ্ছায় জনগণ তাকে দেশ পরিচালনায় ব্যর্থ ও ক্ষতিকর বিবেচনা করে নিজেদের মৃত্যু ও রক্তক্ষয়ের মধ্য দিয়ে ক্ষমতার মসনদ থেকে তাকে পলায়নে বাধ্য করে। ১৯৭৫-এর ১৫ আগস্ট তার পিতার মৃত্যু-পরবর্তী আনন্দ-উচ্ছ্বাসের চেয়ে বহুগুণ বেশি উচ্ছ্বাসে ৫ আগস্ট উদযাপন করেছে।

শেখ হাসিনার জন্য আমার দুঃখ হয়। তিনি যদি পঁচাত্তরের আগস্টের হত্যাকাণ্ডের বিচার সম্পন্ন করে দোষীদের শাস্তি বিধান করার মধ্যেই তার প্রতিশোধস্পৃহা চরিতার্থ করা সীমিত রাখতেন তাহলে তার ভাগ্যে এতটা দুর্দশা না-ও আসতে পারত। কিন্তু শাসক হিসেবে শেখ হাসিনা আগ্রাসি হয়ে উঠেছিলেন। তিনি তার পিতৃহত্যার দায় চাপিয়েছেন সমগ্র জাতির ওপর এবং পিতার ঘাতকদের মতো জাতিকেও দুর্ভোগের শিকারে পরিণত করেছেন। পুরো বাংলাদেশকে তিনি প্রাচীরবিহীন এক কারাগারে রূপান্তরিত করেছিলেন। নামাজ ও কোরআন তাকে কোনো শিক্ষা দিতে না পারলেও তার পিতার মৃত্যু নিয়ে বিদগ্ধজনেরা কী লিখেছেন, সেগুলো পাঠ করলেও তিনি উপলব্ধি করতে পারতেন যে তার করণীয় কী হওয়া উচিত ছিল। আমি তাদের লেখা থেকে কিছু অংশ উদ্ধৃত করতে চাই। শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ডের পর খ্যাতিমান সাংবাদিক এবং পরবর্তীতে রাষ্ট্রদূত ও মন্ত্রী এনায়েতুল্লাহ খানের একটি দীর্ঘ নিবন্ধ সাপ্তাহিক বিচিত্রায় প্রকাশিত হয়েছিল, যেটি পরে একাধিক গ্রন্থে স্থান পেয়েছে। ‘শেখ মুজিব : পুতুলনাচের ইতিকথা’ শিরোমের নিবন্ধে তিনি বলেন, “শেখ মুজিবুর রহমানের রাজনীতি, রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় তার অধিষ্ঠান এবং পরিশেষে ‘স্বর্গ হতে বিদায়’-এ অবশ্যম্ভাবিতারই বিয়োগান্ত আলেখ্য। শেখ মুজিবুর রহমানের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড একদিকে নাটকীয়তায় চমকপ্রদ, অন্যদিকে দ্বৈততায় খণ্ডিত। অগণিত আত্মদান এবং এক ঝুড়ি রূপকথা মিলিয়ে তৈরি হয়েছিল তার স্বর্গের সিঁড়ি। ব্যক্তিত্বের অপরিমিত শৌর্য ও অনুকূল ইতিহাসের সমন্বয়ে গড়ে উঠেছিল তার রাজকাহিনি। তিনি ছিলেন রূপকের রাজা। সত্যিকারের মুকুটের ভার তাই তিনি বইতে পারেননি বরং মুকুটের ভারে তিনি ন্যুব্জ হয়েছেন। যারা প্রাণ দিল, অস্ত্র তুলে নিল, যারা দেশপ্রেমের সুমহান অঙ্গীকারের রক্ত দিয়ে মাতৃভূমির ঋণ শোধ করল, তাদেরই রক্ত-মাংস-হাড়ের বিনিময়ে তিনি গড়তে চেয়েছিলেন এক অলৌকিক ক্ষমতার দেউল। সেখানে দেবতা একক, কিন্তু পূজারি নেই। মানুষকে বাদ দিয়ে শুরু হলো বিগ্রহের রাজনীতির পুতুলের খেলা। পরদেশী পটুয়ার হাতে সৃষ্টি হলো পুতুলের রাজা শেখ মুজিবুর রহমান। কিন্তু ইতিহাস আরও বেশি নির্মম এবং তার প্রত্যক্ষ প্রমাণ ১৫ আগস্ট। একঝাঁক আগ্নেয় সিসা লক্ষ কোটি মানুষের সীমাহীন রোষের আকস্মিক বিস্ফোরণের মতো নিপাত করল পুতুলের রাজত্ব।”

এনায়েতুল্লাহ খান আরও লিখেছেন : “ত্রিশ লক্ষ প্রাণ ও আকাক্সিক্ষত জাতীয় মুক্তির পরিবর্তে দেশবাসী পেল এক পুতুল সরকার এবং সংক্ষেপে এটাই হচ্ছে পুতুলনাচের ইতিকথা। শেখ মুজিবুর রহমান এই ইতিকথার নেপথ্য নায়ক।... তিনি ছিলেন দক্ষ নট। অভিনয়ের চাতুর্যে প্রতিটি নাটকীয় মুহূর্তে দর্শকবৃন্দের তুমুল করতালি কুড়িয়েছেন, বাগ্মিতার সম্মোহন ও বিভ্রমের মায়াজাল রচনা করেছেন। জাতীয় স্বাধীনতার মহানায়কের শিরোপা পরিধান করেছেন। কিন্তু বারবার মুক্তিকামী মানুষের প্রতি বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন। সেখানেই তার ট্র্যাজেডি। গণচেতনাকে পায়ে মাড়িয়ে, সার্বভৌমত্ব বিসর্জন দিয়ে শুরু হয়েছিল পরিকল্পনার দ্বিতীয় অধ্যায়। এরই ফলশ্রুতি একদল, একনেতা, একদেশ। শেখ মুজিবুর রহমান এ নাটকের নিরুপায় ক্রীড়নক। তিনি ছিলেন কিংবদন্তির নায়ক। তার রাজনীতির প্রক্রিয়া দ্বিচারণে অতুল্য। শেখ মুজিবুর রহমানের উত্থান এবং পতন এই ঘটনাপ্রবাহের মধ্যে নিহিত ছিল। শেখ মুজিবুর রহমান জুডাসের সিংহ নন অথবা দেব বংশোদ্ভব কূলনায়ক নন। তিনি বাংলাদেশের সমাজ বিন্যাস ও পরিমণ্ডলে লালিত একজন নশ্বর মানুষ। গণতন্ত্র হরণ, নির্মম নিপীড়ন, কণ্ঠরোধ এবং হত্যা এ প্রক্রিয়ারই অন্যতম পর্যায়। শেখ মুজিবুর রহমানের তিন বছরের দুঃশাসন সহস্র জননীর বুক ভেঙে দিয়েছে, শত শত বীর দেশপ্রেমিকের রক্ত রঞ্জিত হয়েছে। দেশকে ভালোবাসতে গিয়েও তিনি দেশের প্রতি বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন। জীবন দিয়ে তাকে সেই মূল্য শোধ করতে হয়েছে।” (তথ্যসূত্র : ফ্যাক্টস অ্যান্ড ডকুমেন্টস : বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ড/অধ্যাপক আবু সাইয়িদ,  চারুলিপি-জুলাই, ২০১০)।

শেখ মুজিবকে শেখ হাসিনা ও আওয়ামী নেতৃত্ব মহিমান্বিত করতে শতচেষ্টা করলে ইতিহাস তার প্রতিবন্ধক হয়ে দাঁড়ায়। স্বয়ং তিনিও যে লুণ্ঠনের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন সে সম্পর্কিত তথ্য পাওয়া যায়, প্রথমা প্রকাশিত ‘মুক্তিযুদ্ধের পূর্বাপর কথোপকথন’ বইয়ে প্রবাসী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী মঈদুল হাসানের স্মৃতিচারণমূলক অংশে। তিনি বলেছেন, “বাংলাদেশের দায়িত্ব থেকে ডি পি ধরকে ফেব্রুয়ারি (১৯৭২) মাসের প্রথম দিকেই শেখ মুজিবুর রহমানের জোরালো দাবির কারণে সরিয়ে নিয়েছিলেন ইন্দিরা গান্ধী (স্থলাভিষিক্ত করেছিলেন পি এন হাকসারকে)। পি এন হাকসার ভেবেছিলেন নিশ্চয়ই ডি পি ধর এমন কিছু ভুল করেছেন, যার জন্য তাকে সরিয়ে দেওয়ার দাবি করা হয়েছে। তারপর ঢাকায় আসেন পি এন হাকসার। ঢাকায় এসে শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে অনেক বিষয়ে আলোচনার পর হাকসার বলেন, বাংলাদেশ সরকারের বেশ কয়েক কোটি টাকা- যতদূর মনে পড়ে ১৭ কোটি টাকা রয়েছে ভারতে। যে টাকাটা পূর্ব পাকিস্তান থেকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সেই টাকা বদলানো হয়েছিল ভারতীয় মুদ্রায়। সেই টাকা প্রবাসী সরকার কিছু খরচ করেছে, অবশিষ্ট টাকা রয়েছে ভারতীয় ব্যাংকে। তিনি তাকে বলেন, ‘ভারত সরকার এ টাকাটা ফেরত দিতে চায়। কিন্তু কীভাবে আমরা ফেরত পাঠাব। ব্যাংক ড্রাফট করে পাঠাব নাকি তোমরা জিনিসপত্র কিনবে- জিনিসপত্র কিনলে তার বিপরীতে আমরা ব্লক হিসেবে সেই টাকা দেব। তবে আমরা বৈদেশিক মুদ্রায় দিতে পারব না, ভারতীয় মুদ্রায় দেব।’

“তখন শেখ মুজিব বললেন, টাকাগুলো ট্রাকে করে পাঠিয়ে দিতে। বিস্মিত পি এন হাকসার শেখ মুজিবকে বললেন, ‘ট্রাকে করে টাকা কীভাবে দেব? আমাদের তো সরকারি হিসাব-পদ্ধতি আছে, ব্যাংকিং পদ্ধতি আছে।’ তারপর নাকি শেখ মুজিব বলেছিলেন, ‘সামনে আমার নির্বাচন, এই টাকা সেজন্য আমার দরকার হবে।’ পি এন হাকসার অত্যন্ত নিয়মতান্ত্রিক, ন্যায়নিষ্ঠ মানুষ ছিলেন। শেখ মুজিবুর রহমানের ওই কথায় তিনি খুবই আহত হয়েছিলেন। পরে হাকসার ভারতে ফিরে গিয়ে মিসেস গান্ধী ও তাঁর সহকর্মীদের এ কথা বলেন। ডি পি ধর, যিনি তখন  ভারতের পরিকল্পনামন্ত্রী- আমাকে ১৯৭২ সালের জুন মাসে এ খবরটা দেন। ১৯৮১ সালে  হাকসার নিজেও আমার কাছে এই ঘটনাটা নিশ্চিত করেন।”

আলোচিত বুদ্ধিজীবী ও লেখক আহমদ ছফা তার ‘শেখ মুজিবুর রহমান ও অন্যান্য প্রবন্ধ’ গ্রন্থের এক প্রবন্ধে উল্লেখ করেছেন, “কী ছিলেন শেখ মুজিব- বীর? প্রতারক? অনমনীয় একগুঁয়ে, উচ্চাকাক্সক্ষী, চরম ক্ষমতালোভী একজন একনায়ক? নাকি শেখ মুজিব ইতিহাসের সেসব ঘৃণিত ভিলেনের একজন, যারা জনগণকে মুক্তি এবং স্বাধীনতার নামে জাগায় বটে, কিন্তু সামনে যাওয়ার নাম করে পেছন দিকে চালনা করে। একটা সময় পর্যন্ত জনগণ ভিলেনদের কথা শোনে, তাদের নির্দেশ শিরোধার্য করে মেনে নেয়।

কিন্তু যখন তারা বুঝতে পারে শয়তানের প্রলোভনে মুগ্ধ হয়ে ফুল-ফসলেঘেরা সবুজ উপকূলের আশায় পা বাড়িয়ে ভ্রান্ত স্বপ্নের ছলনায় ভ্রান্ত গন্তব্যে এসে উপনীত হয়েছে; তাদের আশা করার, বাসা করার, ভরসা করার কিছুই নেই; আছে শুধু পথচলার ক্লান্তি, অনিশ্চয়তার হতাশা এবং প্রখর মরুভূমিতে মরীচিকার নিত্যনতুন ছলনা, তখন তারা তাদের ভাগ্যকে ধিক্কার দেয়, অভিসম্পাতের বাণী উচ্চারণ করে সেই বহুরূপী সঙ-নেতার নামে, যার ব্যক্তিগত প্রতিষ্ঠা এবং উচ্চাকাক্সক্ষার পতাকাকে নিরীহ, শান্তিপ্রিয়, খেটে-খাওয়া জনগণ তাদের মুক্তিসনদ বলে ভুল করেছিল। শেখ মুজিবও কি একজন তেমন মানুষ? ১৫ আগস্ট পার হয়ে গেল। গত বছরের মতো এবারও মুজিবভক্তরা দিনটিকে তাদের প্রচলিত ধারায় ‘শোক দিবস’ হিসেবে পালন করতে পারেননি। তবে স্থিরচিত্র ও ভিডিওচিত্রে দেখেছি এখানে-সেখানে বিক্ষিপ্তভাবে জড়ো হওয়া শোকার্তদের। আশুরা উপলক্ষে ইমাম হোসাইন (রা.)-এর স্মরণে শিয়া সম্প্রদায়ভুক্তরা যেমন কালো বস্ত্র ধারণ করে, শেখ মুজিবের স্মরণে তারাও কালো জামা পরেছে। টুঙ্গিপাড়ায় তার মাজার ও ৩২ নম্বরের প্রতিকৃতিতে রাষ্ট্রীয় সম্মান জানানোর কর্মসূচি গতবারের মতো এবারও ছিল না। ইতিহাসে ‘যার যা প্রাপ্য তাকে তা দেওয়ার’ ধারাবাহিকতা বজায় রাখার পরিবর্তে ঘৃণা পুষে রাখার কারণ তৈরি করে গেছেন তারই কন্যা শেখ হাসিনা। মহিমান্বিত করার বাড়াবাড়ি করে তিনি তার পিতাকে ঘৃণার সমুদ্রে ডুবিয়ে দিয়েছেন। এ প্রসঙ্গে খ্যাতিমান কবি ও প্রাবন্ধিক কাজী জহিরুল ইসলাম তার “কেন বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করা যাবে না!” শীর্ষক প্রবন্ধে লিখেছেন- “তিনি অবৈধভাবে রাষ্ট্রক্ষমতায় দীর্ঘদিন থেকেছেন বঙ্গবন্ধুকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে। তার অবৈধ ক্ষমতার দেহে আঘাত করার জন্য দেশের ছাত্র-জনতা সেই ঢাল ভেঙে দিয়েছে। এটা ছাড়া তো গণমানুষের সামনে অন্য কোনো পথ খোলা ছিল না। যখন নির্বাচনের পথ বন্ধ, আলোচনার পথ বন্ধ, আঘাতই একমাত্র সমাধান। আর সেই আঘাত ঠেকানোর ঢাল যদি হয় বঙ্গবন্ধু সবার আগে তো সেই ঢালই নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে। ঠিক এই ঘটনাই ঘটেছে ২০২৪ সালের জুলাই মাসে।”

তিনি আরও বলেছেন, “এ দেশে বঙ্গবন্ধুর কি কোনো অবদান নেই? এই প্রশ্ন অনেকেই করেন। হ্যাঁ, অবশ্যই বঙ্গবন্ধুর অবদান আছে। কিন্তু ঠিক এই মুহূর্তে, যখন বঙ্গবন্ধুই হয়ে উঠেছেন ফ্যাসিবাদী শক্তির প্রধান প্রতীক, তখন তার প্রতি ভালোবাসা বা শ্রদ্ধা প্রদর্শন দেশ গড়ার জটিল যাত্রাপথে এক বিরাট প্রতিবন্ধকতা হয়ে দেখা দেবে। এ মুহূর্তে তার প্রতি শ্রদ্ধা, ভালোবাসা প্রদর্শন করার অর্থ হলো হাসিনার খুন, গুম, অবৈধ ক্ষমতার বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতার যে পবিত্র বিপ্লব তাকে অসম্মান করা এবং ফ্যাসিবাদের প্রতি নমনীয় হওয়া। যারা আবেগের জায়গা থেকে বঙ্গবন্ধুর প্রতি ভালোবাসা দেখাতে চান তাদের মনে রাখতে হবে- দেশের চেয়ে বঙ্গবন্ধু বড় নয়। ইতিহাস কাউকে মুছে দেয় না। এক দিন সময় আসবে যখন এ দেশের মানুষ বঙ্গবন্ধুর অবদান স্বীকার করবে, তাকে তার প্রাপ্য সম্মান দেবে। কিন্তু এ মুহূর্তে তার প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন জাতির জন্য বিপজ্জনক। এখন তিনি যে ফ্যাসিবাদের সিম্বল হয়ে উঠেছেন, তা মাড়িয়েই এ জাতি বিনির্মাণ করছে নতুন গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ।”

লেখক : যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী সিনিয়র সাংবাদিক ও অনুবাদক

এই বিভাগের আরও খবর
বিদেশি বিনিয়োগ
বিদেশি বিনিয়োগ
ট্রাম্পের শান্তি প্রস্তাব
ট্রাম্পের শান্তি প্রস্তাব
শিশু অধিকার এবং ডিজিটাল শিশু
শিশু অধিকার এবং ডিজিটাল শিশু
বড়পীর আবদুুল কাদের জিলানী (রহ.)
বড়পীর আবদুুল কাদের জিলানী (রহ.)
বেঁচে থাকাই জিন্দাবাদ
বেঁচে থাকাই জিন্দাবাদ
ভাসানী মুজিব জিয়ার চোখে চীন
ভাসানী মুজিব জিয়ার চোখে চীন
আলেমদের কঠিন পরীক্ষা
আলেমদের কঠিন পরীক্ষা
হজ রোডম্যাপ
হজ রোডম্যাপ
খাগড়াছড়িতে হানাহানি
খাগড়াছড়িতে হানাহানি
বৃদ্ধাশ্রম ও আমরা
বৃদ্ধাশ্রম ও আমরা
পাহাড়ে শান্তি ফেরাতে হবে
পাহাড়ে শান্তি ফেরাতে হবে
নারী সংগঠন, দলছুট হওয়া কেন!
নারী সংগঠন, দলছুট হওয়া কেন!
সর্বশেষ খবর
এমবাপ্পের দুর্দান্ত হ্যাটট্রিকে কাইরাতকে উড়িয়ে দিল রিয়াল মাদ্রিদ
এমবাপ্পের দুর্দান্ত হ্যাটট্রিকে কাইরাতকে উড়িয়ে দিল রিয়াল মাদ্রিদ

৪৩ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

জুবিন গর্গের মৃত্যু: সিঙ্গাপুরে যাচ্ছেন আসামের বিশেষ তদন্তকারী দল
জুবিন গর্গের মৃত্যু: সিঙ্গাপুরে যাচ্ছেন আসামের বিশেষ তদন্তকারী দল

১ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

সোনারগাঁয়ে অভিযান, ৫২৬ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ
সোনারগাঁয়ে অভিযান, ৫২৬ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ব্রিটেনে স্থায়ীভাবে বসবাসের যোগ্যতাগুলো বলে দিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
ব্রিটেনে স্থায়ীভাবে বসবাসের যোগ্যতাগুলো বলে দিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দুর্গোৎসবকে কেন্দ্র করে ফ্যাসিবাদের দোসররা ষড়যন্ত্র করতে পারে : শামা ওবায়েদ
দুর্গোৎসবকে কেন্দ্র করে ফ্যাসিবাদের দোসররা ষড়যন্ত্র করতে পারে : শামা ওবায়েদ

৪ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

রোহিঙ্গা গ্রাম ধ্বংস করে সামরিক ঘাঁটি বানাল মিয়ানমার সেনারা
রোহিঙ্গা গ্রাম ধ্বংস করে সামরিক ঘাঁটি বানাল মিয়ানমার সেনারা

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১ অক্টোবর)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১ অক্টোবর)

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভারতে নদীতে মিলল দুর্নীতি নিয়ে প্রতিবেদন করা সাংবাদিকের লাশ
ভারতে নদীতে মিলল দুর্নীতি নিয়ে প্রতিবেদন করা সাংবাদিকের লাশ

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চরফ্যাশন জামায়াতের ৪৫ নেতাকর্মী যোগ দিলেন বিএনপিতে
চরফ্যাশন জামায়াতের ৪৫ নেতাকর্মী যোগ দিলেন বিএনপিতে

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

শ্রমিক কল্যাণ তহবিলে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের অনুদান
শ্রমিক কল্যাণ তহবিলে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের অনুদান

৫ ঘণ্টা আগে | কর্পোরেট কর্নার

আফগানিস্তানে ইন্টারনেট বন্ধে ফ্লাইট, হাসপাতাল, অফিস অচল
আফগানিস্তানে ইন্টারনেট বন্ধে ফ্লাইট, হাসপাতাল, অফিস অচল

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘ফাঁসির আসামিদের কক্ষে’ ইমরান খান: পরিবার-সমর্থকদের শঙ্কা
‘ফাঁসির আসামিদের কক্ষে’ ইমরান খান: পরিবার-সমর্থকদের শঙ্কা

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বঙ্গোপসাগরে ফের জেলে অপহরণ, ১৪ জনকে নিয়ে গেল আরাকান আর্মি
বঙ্গোপসাগরে ফের জেলে অপহরণ, ১৪ জনকে নিয়ে গেল আরাকান আর্মি

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

রোহিঙ্গা সংকটের স্থায়ী সমাধানে ড. ইউনূসের ৭ দফা সুপারিশ
রোহিঙ্গা সংকটের স্থায়ী সমাধানে ড. ইউনূসের ৭ দফা সুপারিশ

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হত্যার পর বেবি টেক্সি ছিনতাই: ১৯ বছর পর তিন আসামির যাবজ্জীবন
হত্যার পর বেবি টেক্সি ছিনতাই: ১৯ বছর পর তিন আসামির যাবজ্জীবন

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

এআইভিত্তিক ও আরও উন্নত শিংহে ইন্টেলিজেন্ট নেটওয়ার্ক উন্মোচন করল হুয়াওয়ে
এআইভিত্তিক ও আরও উন্নত শিংহে ইন্টেলিজেন্ট নেটওয়ার্ক উন্মোচন করল হুয়াওয়ে

৬ ঘণ্টা আগে | কর্পোরেট কর্নার

চট্টগ্রামে ট্রেনে কাটা পড়ে যুবকের মৃত্যু
চট্টগ্রামে ট্রেনে কাটা পড়ে যুবকের মৃত্যু

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

চট্টগ্রামে পূজামণ্ডপ পরিদর্শনে মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা
চট্টগ্রামে পূজামণ্ডপ পরিদর্শনে মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা

৬ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

রেকর্ড জয়ে হোয়াইটওয়াশ এড়াল ওয়েস্ট ইন্ডিজ
রেকর্ড জয়ে হোয়াইটওয়াশ এড়াল ওয়েস্ট ইন্ডিজ

৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ফিলিপাইনে শক্তিশালী ভূমিকম্প, সুনামির শঙ্কা
ফিলিপাইনে শক্তিশালী ভূমিকম্প, সুনামির শঙ্কা

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শ্রীপুরে দুর্গাপূজায় তারেক রহমানের পক্ষে উপহার বিতরণ
শ্রীপুরে দুর্গাপূজায় তারেক রহমানের পক্ষে উপহার বিতরণ

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

দলে ফিরলেন ৪২ বছর বয়সি স্কটিশ গোলকিপার
দলে ফিরলেন ৪২ বছর বয়সি স্কটিশ গোলকিপার

৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ট্রাম্পের পরিকল্পনার প্রেক্ষিতে গাজায় সহায়তা বাড়াতে প্রস্তুত জাতিসংঘ
ট্রাম্পের পরিকল্পনার প্রেক্ষিতে গাজায় সহায়তা বাড়াতে প্রস্তুত জাতিসংঘ

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আপনার আশপাশ থেকে আওয়ামী লীগের লোক সরান, সারজিসকে যুবদল নেতা
আপনার আশপাশ থেকে আওয়ামী লীগের লোক সরান, সারজিসকে যুবদল নেতা

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

নোয়াখালীতে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ফ্রিজ মিস্ত্রির মৃত্যু
নোয়াখালীতে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ফ্রিজ মিস্ত্রির মৃত্যু

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বরুণ ধাওয়ানের গাড়ি ধাক্কায় পথচারী আহত
বরুণ ধাওয়ানের গাড়ি ধাক্কায় পথচারী আহত

৮ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

খালেদা জিয়ার সঙ্গে ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
খালেদা জিয়ার সঙ্গে ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ

৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ক্যালসিয়ামের অভাব পূরণ করবে যে খাবার
ক্যালসিয়ামের অভাব পূরণ করবে যে খাবার

৮ ঘণ্টা আগে | জীবন ধারা

বগুড়ায় পিকআপের ধাক্কায় প্রাণ গেল মা-মেয়ের
বগুড়ায় পিকআপের ধাক্কায় প্রাণ গেল মা-মেয়ের

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

টানা ছুটিতে চলছে ‘বিশেষ ট্রেন’
টানা ছুটিতে চলছে ‘বিশেষ ট্রেন’

৮ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

সর্বাধিক পঠিত
কাতারের প্রধানমন্ত্রীর কাছে ক্ষমা চাইলেন নেতানিয়াহু
কাতারের প্রধানমন্ত্রীর কাছে ক্ষমা চাইলেন নেতানিয়াহু

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

টেলিযোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছে আফগানিস্তান
টেলিযোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছে আফগানিস্তান

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গাজার অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হতে চাইছেন ট্রাম্প!
গাজার অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হতে চাইছেন ট্রাম্প!

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘বাংলাদেশের জার্সিতে আর নয়’—সাকিবকে নিয়ে কড়া অবস্থান ক্রীড়া উপদেষ্টার
‘বাংলাদেশের জার্সিতে আর নয়’—সাকিবকে নিয়ে কড়া অবস্থান ক্রীড়া উপদেষ্টার

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জেন-জি বিক্ষোভের মুখে আরেক দেশের সরকার পতন
জেন-জি বিক্ষোভের মুখে আরেক দেশের সরকার পতন

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে দেওয়া হবে না, ঘোষণা নেতানিয়াহুর
ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে দেওয়া হবে না, ঘোষণা নেতানিয়াহুর

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পাসপোর্ট ফেরত পাচ্ছেন না মেঘনা আলম
পাসপোর্ট ফেরত পাচ্ছেন না মেঘনা আলম

১৫ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

দেশীয় প্রযুক্তির ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা চালাল পাকিস্তান
দেশীয় প্রযুক্তির ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা চালাল পাকিস্তান

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রবিবার আবারও মুখোমুখি হচ্ছে ভারত-পাকিস্তান
রবিবার আবারও মুখোমুখি হচ্ছে ভারত-পাকিস্তান

১৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

প্রধান ও সহকারী প্রধান শিক্ষক পদেও নিয়োগের ক্ষমতা হারাচ্ছে ম্যানেজিং কমিটি
প্রধান ও সহকারী প্রধান শিক্ষক পদেও নিয়োগের ক্ষমতা হারাচ্ছে ম্যানেজিং কমিটি

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সাগরে লঘুচাপের আভাস, দেশজুড়ে বৃষ্টির সম্ভাবনা
সাগরে লঘুচাপের আভাস, দেশজুড়ে বৃষ্টির সম্ভাবনা

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মার্কিন হামলা হলে জরুরি অবস্থা জারি করতে প্রস্তুত মাদুরো : ভেনেজুয়েলা
মার্কিন হামলা হলে জরুরি অবস্থা জারি করতে প্রস্তুত মাদুরো : ভেনেজুয়েলা

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মেধাভিত্তিক সমাজ চাইলে মতিউর ও বেনজীরদের সংখ্যা বাড়বে : জাবি উপাচার্য
মেধাভিত্তিক সমাজ চাইলে মতিউর ও বেনজীরদের সংখ্যা বাড়বে : জাবি উপাচার্য

১২ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

উইন্ডিজকে গুঁড়িয়ে নেপালের ঐতিহাসিক সিরিজ জয়
উইন্ডিজকে গুঁড়িয়ে নেপালের ঐতিহাসিক সিরিজ জয়

২১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ক্ষমা চেয়ে বিপদে নেতানিয়াহু
ক্ষমা চেয়ে বিপদে নেতানিয়াহু

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

অত্যাধুনিক রুশ ‘অ্যাটাক হেলিকপ্টার’ ভূপাতিত করার দাবি ইউক্রেনের
অত্যাধুনিক রুশ ‘অ্যাটাক হেলিকপ্টার’ ভূপাতিত করার দাবি ইউক্রেনের

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আপনার আশপাশ থেকে আওয়ামী লীগের লোক সরান, সারজিসকে যুবদল নেতা
আপনার আশপাশ থেকে আওয়ামী লীগের লোক সরান, সারজিসকে যুবদল নেতা

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ধর্মের ভিত্তিতে রাজনীতিতে বিভাজন চায় না বিএনপি : সালাহউদ্দিন
ধর্মের ভিত্তিতে রাজনীতিতে বিভাজন চায় না বিএনপি : সালাহউদ্দিন

১৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ প্যাকেজ ঘোষণা
বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ প্যাকেজ ঘোষণা

১৮ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

জামায়াতের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা
জামায়াতের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা

১৬ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

বুধবার থেকে চারদিনের ছুটিতে ব্যাংক ও পুঁজিবাজার
বুধবার থেকে চারদিনের ছুটিতে ব্যাংক ও পুঁজিবাজার

২০ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

পাঁচ ব্যাংকের একীভূত ‘ইউনাইটেড ইসলামী’ ব্যাংকের অফিসের অনুমোদন
পাঁচ ব্যাংকের একীভূত ‘ইউনাইটেড ইসলামী’ ব্যাংকের অফিসের অনুমোদন

৯ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

যেসব কারণে ভেস্তে যেতে পারে ট্রাম্পের ‘গাজা শান্তি প্রস্তাব’
যেসব কারণে ভেস্তে যেতে পারে ট্রাম্পের ‘গাজা শান্তি প্রস্তাব’

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মালয়েশিয়ায় ভয়াবহ মানবপাচার
মালয়েশিয়ায় ভয়াবহ মানবপাচার

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মার্কিন ‘আগ্রাসনের’ হুমকি, জরুরি অবস্থা জারি করতে প্রস্তুত ভেনেজুয়েলা
মার্কিন ‘আগ্রাসনের’ হুমকি, জরুরি অবস্থা জারি করতে প্রস্তুত ভেনেজুয়েলা

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিএনপির বিরুদ্ধে অদৃশ্য ফ্যাসিবাদ চক্র ষড়যন্ত্র করছে : টুকু
বিএনপির বিরুদ্ধে অদৃশ্য ফ্যাসিবাদ চক্র ষড়যন্ত্র করছে : টুকু

১৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

গাজা যুদ্ধ বন্ধে ট্রাম্প ঘোষিত ২০ দফা পরিকল্পনায় যা আছে
গাজা যুদ্ধ বন্ধে ট্রাম্প ঘোষিত ২০ দফা পরিকল্পনায় যা আছে

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ফিলিস্তিনি বন্দিদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে চায় ইসরায়েল
ফিলিস্তিনি বন্দিদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে চায় ইসরায়েল

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যুদ্ধ শেষ হওয়ার এক বছরের মধ্যে গাজায় নির্বাচন: মাহমুদ আব্বাস
যুদ্ধ শেষ হওয়ার এক বছরের মধ্যে গাজায় নির্বাচন: মাহমুদ আব্বাস

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (৩০ সেপ্টেম্বর)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (৩০ সেপ্টেম্বর)

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রিন্ট সর্বাধিক
ঘটনা এক স্থানে মামলা আরেক স্থানে
ঘটনা এক স্থানে মামলা আরেক স্থানে

প্রথম পৃষ্ঠা

দেড় শ বছরের সম্প্রীতির বন্ধন ফেনীতে
দেড় শ বছরের সম্প্রীতির বন্ধন ফেনীতে

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

ইলিশের দাম কেন লাগামহীন
ইলিশের দাম কেন লাগামহীন

পেছনের পৃষ্ঠা

ভোটের মাঠে বিএনপি জামায়াত এনসিপি
ভোটের মাঠে বিএনপি জামায়াত এনসিপি

নগর জীবন

কাউনিয়ার তেজপাতা যাচ্ছে ২১ দেশে
কাউনিয়ার তেজপাতা যাচ্ছে ২১ দেশে

পেছনের পৃষ্ঠা

ট্রলারের নিচে ঝুলে শট দেন
ট্রলারের নিচে ঝুলে শট দেন

শোবিজ

জিটুজির আওতায় চাল আমদানি করবে সরকার
জিটুজির আওতায় চাল আমদানি করবে সরকার

পেছনের পৃষ্ঠা

বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী ছয়জন, মাঠে জামায়াত প্রার্থী
বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী ছয়জন, মাঠে জামায়াত প্রার্থী

নগর জীবন

শেষ দিনগুলো কাটছে আতঙ্ক-অবহেলায়
শেষ দিনগুলো কাটছে আতঙ্ক-অবহেলায়

পেছনের পৃষ্ঠা

পাকিস্তান শ্রীলঙ্কাকে হারানোর স্বপ্ন নিগারদের
পাকিস্তান শ্রীলঙ্কাকে হারানোর স্বপ্ন নিগারদের

মাঠে ময়দানে

ভিন্ন লুকে নোরা...
ভিন্ন লুকে নোরা...

শোবিজ

নেপালের সিরিজ জয়ের ইতিহাস
নেপালের সিরিজ জয়ের ইতিহাস

মাঠে ময়দানে

জয়ে শুরু ভারতের
জয়ে শুরু ভারতের

মাঠে ময়দানে

ঢালাওভাবে ব্যাংক হিসাব ফ্রিজ করা ঠিক হবে না
ঢালাওভাবে ব্যাংক হিসাব ফ্রিজ করা ঠিক হবে না

প্রথম পৃষ্ঠা

ভাসানী মুজিব জিয়ার চোখে চীন
ভাসানী মুজিব জিয়ার চোখে চীন

সম্পাদকীয়

বেঁচে থাকাই জিন্দাবাদ
বেঁচে থাকাই জিন্দাবাদ

সম্পাদকীয়

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির আরও অবনতি
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির আরও অবনতি

পেছনের পৃষ্ঠা

জামায়াতসহ পাঁচ দলের নতুন কর্মসূচি
জামায়াতসহ পাঁচ দলের নতুন কর্মসূচি

প্রথম পৃষ্ঠা

কিছু আন্তর্জাতিক মহল নির্বাচন চায় না : প্রধান উপদেষ্টা
কিছু আন্তর্জাতিক মহল নির্বাচন চায় না : প্রধান উপদেষ্টা

প্রথম পৃষ্ঠা

এনসিপিসহ দুই দল নিবন্ধন পাচ্ছে
এনসিপিসহ দুই দল নিবন্ধন পাচ্ছে

প্রথম পৃষ্ঠা

পিআর নিয়ে দেশ অস্থিতিশীল
পিআর নিয়ে দেশ অস্থিতিশীল

প্রথম পৃষ্ঠা

গাজায় শান্তি ফেরাতে ট্রাম্পের রূপরেখা
গাজায় শান্তি ফেরাতে ট্রাম্পের রূপরেখা

প্রথম পৃষ্ঠা

হত্যাকাণ্ড ৪১ জেলার ৪৩৮ স্থানে
হত্যাকাণ্ড ৪১ জেলার ৪৩৮ স্থানে

পেছনের পৃষ্ঠা

চীনই থামাতে পারে ইউক্রেন যুদ্ধ
চীনই থামাতে পারে ইউক্রেন যুদ্ধ

পূর্ব-পশ্চিম

জামায়াত আমির-আর্জেন্টিনা রাষ্ট্রদূত সাক্ষাৎ
জামায়াত আমির-আর্জেন্টিনা রাষ্ট্রদূত সাক্ষাৎ

প্রথম পৃষ্ঠা

স্বাভাবিক হচ্ছে খাগড়াছড়ি, তদন্ত কমিটি গঠন
স্বাভাবিক হচ্ছে খাগড়াছড়ি, তদন্ত কমিটি গঠন

প্রথম পৃষ্ঠা

রোহিঙ্গাসংকট নিয়ে সাত প্রস্তাব ড. ইউনূসের
রোহিঙ্গাসংকট নিয়ে সাত প্রস্তাব ড. ইউনূসের

প্রথম পৃষ্ঠা

মিথ্যা তথ্য দিয়ে পূর্বাচলে প্লট নেন হাসিনা পুতুল জয়
মিথ্যা তথ্য দিয়ে পূর্বাচলে প্লট নেন হাসিনা পুতুল জয়

পেছনের পৃষ্ঠা

পাকিস্তানে আত্মঘাতী হামলায় নিহত ১০
পাকিস্তানে আত্মঘাতী হামলায় নিহত ১০

পূর্ব-পশ্চিম