ফিলিস্তিনি বন্দিদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে চায় ইহুদিবাদী ইসরায়েল। সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিচারকের সিদ্ধান্তে ফিলিস্তিনি বন্দিদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার সুযোগ রাখা হয়েছে। এই সিদ্ধান্তকে ঘিরে দেশটির রাজনীতি, ন্যায়বিচার এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্ক নিয়ে তীব্র বিতর্ক শুরু হয়েছে।
বিল অনুযায়ী, যদি কোনও ফিলিস্তিনি ইসরায়েলি নাগরিককে হত্যার অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হন এবং জাতীয়তাবাদী উদ্দেশ্য প্রণোদিত হয়ে হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে বলে প্রমাণিত হয়, তবে বিচারকরা ওই বন্দির মৃত্যুদণ্ড দিতে পারবেন।
তবে একই ধরনের ঘটনায় ইসরায়েলি নাগরিকরা এ আইনের আওতায় থাকবে না।
এদিকে ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংকট নিরসনে ২০ দফার শান্তি প্রস্তাব দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ট্রাম্পের প্রস্তাবে ইসরায়েলের কারাগারে বন্দি ১৯৫০ জন ফিলিস্তিনিকে নিঃশর্ত মুক্তি দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। এদের মধ্যে ২৫০ জন বন্দি ইসরায়েলি নাগরিককে হত্যার অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন। ইসরায়েলের জাতীয় সংসদ নেসেটে এ বিল পাস হলে তাদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হবে।
দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা কমিটির বৈঠকে বিলটি চারজন আইনপ্রণেতার সমর্থন ও একজনের বিরোধিতায় পাস হয়। এর ফলে বিলটি এখন নেসেটে প্রথম দফার ভোটাভুটির জন্য প্রস্তুত। বিলটি আইনে পরিণত হতে হলে তিন দফায় ভোটে পাস হতে হবে।
মানবাধিকার সংগঠন ও বিরোধীদলগুলো বলছে, এ ধরনের আইন ইসরায়েলি বিচারব্যবস্থাকে দ্বিচারিতার প্রতীক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করবে। এই বিল কেবল ইসরায়েলি ও ফিলিস্তিনিদের মধ্যে বিদ্যমান সংকট আরও বৃদ্ধি করবে। সূত্র: মিডল ইস্ট আই
বিডি প্রতিদিন/একেএ