উপকূলীয় দুর্যোগপ্রবণ কয়রা ও পাইকগাছা উপজেলা নিয়ে গঠিত খুলনা-৬ আসনে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী ছয়জন। তারা হলেন- জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সহসভাপতি আমিরুল ইসলাম কাগজী, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান মন্টু, বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) চেয়ারম্যান আনোয়ার আলদীন, জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মোমরেজুল ইসলাম, পাইকগাছা বিএনপির সম্মেলন প্রস্তুত কমিটির আহ্বায়ক আবদুল মজিদ ও ছাত্রদলের সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা রফিকুল ইসলাম। অন্যদিকে জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য মাওলানা আবুল কালাম আজাদ এবং ইসলামী আন্দোলনে প্রার্থী জেলা সেক্রেটারি হাফেজ আসাদুল্লাহ আল গালিব প্রচারণায় রয়েছেন।
সাংবাদিক আমিরুল ইসলাম কাগজী বলেন, ২০০১ সাল থেকে পাইকগাছা-কয়রার মানুষের সঙ্গে আমার ওঠাবসা রয়েছে। উন্নয়ন কর্মকা , স্কুল-কলেজ, মাদরাসাগুলোতে আমার সম্পৃক্ততা আছে। প্রচারণায় মাঠে বেশ সাড়া পাচ্ছি। বিএনপির জেলা আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান মন্টু বলেন, ধানের শীষের পক্ষে ভোট চাচ্ছি। সংগঠনকে সংগঠিত গতিশীল করতে কাজ করছি। দল আমাকে মনোনয়ন দিলে নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত আছি। এলাকার রাস্তা ঘাট, মসজিদ, স্কুল, মাদরাসা হেফজখানা স্বাস্থ্য কেন্দ্রসহ বহু প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার মাধ্যমে জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্যতা তৈরি করেছে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী আনোয়ার আলদীন। তাঁর প্রচেষ্টায় ২৫ বছর প্রভাবশালীদের দখলে থাকা ১০ কিলোমিটার দীর্ঘ নাছিরপুর খাল দখলমুক্ত হয়েছে।
জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মোমরেজুল ইসলাম বলেন, ৪০ বছর ধরে এলাকার নেতা-কর্মী ও জনগণের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে। আমাকে প্রার্থী করলে বিজয়ী হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকবে। জামায়াতের প্রার্থী মাওলানা আবুল কালাম আজাদ বলেন, সার্বিক বিবেচনায় জামায়াতের প্রতি জনগণের ব্যাপক আগ্রহ রয়েছে। প্রচারণায় ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি। ইসলামী আন্দোলনের হাফেজ আসাদুল্লাহ আল গালিব বলেন, দীর্ঘদিন ধরে মানুষের পাশে রয়েছি। নির্বাচনি প্রচারণায় ভালো সাড়া পাচ্ছি।