ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে মুরগি নিয়ে ঝগড়ার জেরে রৌশনারা বেগম (৫০) নামে এক নারীকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় দুই ছেলেসহ বাবাকে আটক করেছে পুলিশ। শুক্রবার (৩ অক্টোবর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে উপজেলার সদর ইউনিয়নের খৈরাটি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত রৌশনারা বেগম খৈরাটি গ্রামের মৃত আব্দুল জলিলের স্ত্রী। আটকৃতরা হলেন- একই গ্রামের সাখাওয়াত (২১), তার বড় ভাই সাজ্জাদ হোসেন (২৪) ও তাদের বাবা মোস্তুফা (৪৮)।
নিহতের পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নিহত রৌশনারার পরিবারের সঙ্গে বাড়ির সীমানা নিয়ে পূর্ব বিরোধ ছিল প্রতিবেশী মোস্তুফা মিয়ার পরিবারের। শুক্রবার সন্ধ্যায় রৌশনারা বেগমের একটি মুরগি মোস্তুফাদের বাড়িতে যায়। এরপর মুরগি আনতে গেলে মোস্তুফা ও তার মা সালেমা বেগমসহ পরিবারের অন্য সদস্যরা তাদের বাড়িতে মুরগি কেন গেল, এ নিয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করেন। একপর্যায়ে মোস্তুফার ছোট ছেলে সাখাওয়াত হোসেন দা হাতে দৌঁড়ে এসে রৌশনারা বেগমের ঘাড়ে কোপ দেয়। এসময় চিৎকার দিয়েই মাটিতে লুটিয়ে পড়ে রৌশনারা বেগম।
এরপর স্থানীয়রা আশঙ্কাজনক অবস্থায় ওই নারীকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের পুত্রবধূ হাফসা আক্তার অভিযোগ করে বলেন, সন্ধ্যা হয়ে গেলে আমাদের একটি মুরগি ঘরে উঠেনি। পরে আমার শাশুড়ি এদিক-সেদিক খুঁজতে থাকলে প্রতিবেশী এক চাচি এসে জানায় মোস্তুফাদের ঘরের পেছনে কলাগাছের পাশে মুরগি বসে আছে। সেই মুরগি আনতে গেলে মোস্তফার ছেলে সাখাওয়াত আমার শাশুড়িকে দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে। এ ঘটনায় জড়িতদের ফাঁসি চাই।
ঈশ্বরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ওবায়দুর রহমান বলেন, মরদেহের সুরতহাল সম্পন্ন করা হয়েছে। এ ঘটনায় অভিযান চালিয়ে প্রধান অভিযুক্তসহ তিনজনকে আটক করা হয়েছে। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত রক্তমাখা দা ও লাঠি আলামত হিসেবে জব্দ করা হয়। এ নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
বিডি প্রতিদিন/নাজিম