রংপুর বিভাগীয় প্রশাসনের আয়োজনে বইমেলার সাংষ্কৃতিক অনুষ্ঠান বয়কট করেছে শিল্পীরা। প্রাপ্য মর্যাদা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত বিভাগীয় ও জেলাপ্রশাসনের সকল সাংষ্কৃতিক অনুষ্ঠান বর্জনের ঘোষণা দিয়ে মানববন্ধন সমাবেশ করেছে তারা।
সাংস্কৃতিক ঐক্য পরিষদের ব্যানারে বুধবার সকালে রংপুর প্রেসক্লাব প্রাঙ্গনে এই কর্মসূচি পালিত হয়। এ সময় বক্তব্য দেন, সংগঠনের সভাপতি চৌধুরী মাহমুদুন নবী ডলার, কাজী মো. জুন্নুন, কাইফুল ইসলাম, শাহ আলমসহ আরও অনেকে।
কর্মসূচিতে বক্তারা জানান, বিভাগীয় বইমেলা উপলক্ষে রংপুর বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে সাংস্কৃতিক উপ-কমিটির আলোচনায় বিভাগীয় শহরের অনুষ্ঠান জাঁক-জমককরতে শিল্পী সমাজের পক্ষ থেকে বড় স্টেজ, এলইডি, সাউন্ড, লাইটিং এবং শিল্পীদের সম্মানির ব্যবস্থা করার প্রস্তাবনা দেওয়া হয়। এতে বিভাগীয় প্রশাসন সম্মত হন।
এরপর বিভাগীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয় তাদের ইচ্ছে অনুযায়ী সাংষ্কৃতিক অনুষ্ঠান করতে হবে। এ নিয়ে সাংষ্কৃতিক উপ-কমিটির রেজুলেশনে আলোচনার কথা শিল্পীরা তুললে বিভাগীয় প্রশাসনের কর্মকর্তারা সেটি মানেন না বলে জানান।
এতে করে প্রশাসন ও শিল্পী একে অপরের মুখোমুখি অবস্থান করছে। পরে বাজেটের অযুহাতে শিল্পীদের ২০ টাকার নাস্তা এবং বিরিয়ানীর একটি প্যাকেট দেওয়ার কথা জানায় বিভাগীয় প্রশাসন। এতে শিল্পীরা বিক্ষুব্ধ হয়ে পড়েন। যতদিন পর্যন্ত শিল্পীদের প্রাপ্য মর্যাদা দেওয়া হবে না, ততদিন পর্যন্ত বিভাগীয় ও জেলা প্রশাসনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান বয়কটের ঘোষণা দেওয়া হয় মানববন্ধনে।
সেই সাথে শিল্পকলা ও শিশু একাডেমির শিল্পীদেরও বইমেলাসহ প্রশাসনের সকল সাংষ্কৃতিক অনুষ্ঠান বয়কটের আহবান জানানো হয়।
সাংস্কৃতিক ঐক্য পরিষদের সভাপতি চৌধুরী মাহমুদুন নবী ডলার বলেন, ‘২০ টাকার নাস্তা আর একটি বিরিয়ানীর প্যাকেট অফার করে শিল্পীদের অপমান করেছে বিভাগীয় প্রশাসন। অথচ সাংস্কৃতিক উপ-কমিটিতে প্রশাসন শিল্পীদের চাহিদা পূরণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। চব্বিশের গণঅভ্যূত্থানের পর শিল্পীদের প্রতি কোন বৈষম্যমূলক আচারণ মেনে নেওয়া হবে না। আজ থেকে আমরা প্রশাসনের সকল সাংষ্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ চলমান রংপুর বিভাগীয় বইমেলা বর্জন করলাম। সেই সাথে রংপুরবাসীকেও বইমেলা বর্জনের আহ্বান জানাচ্ছি।’
বিডি-প্রতিদিন/আশফাক