বিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও অধ্যাপিকা ড. হোসনে আরা বেগমের ছেলে টিএম আলী হায়দার বলেছেন, প্রত্যেক নাগরিকের সাঁতার শেখা ও পানিতে নিয়মিত সাঁতার কাটার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। সাঁতারের মাধ্যমে একজন নাগরিক সহজেই সুস্থ থাকতে পারবেন। সাঁতার মানুষের শরীরের জন্য উত্তম ব্যায়াম। সাঁতার বা ব্যায়াম যারা নিয়মিত করেন তাদের হৃদরোগের ঝুঁকি অনেক কমে যায়।
বুধবার দুপুর ২টায় বগুড়া সদর উপজেলার টিএমএসএস বিনোদন জগতের বৈশাখি বিলে তিন দিনব্যাপী বর্ণাঢ্য সাঁতার প্রতিযোগিতার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। বিশ্ব হার্ট দিবস উপলক্ষ্যে টিএমএসএস হার্ট সেন্টারের উদ্যোগেই এই সাঁতার প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়।
টিএম আলী হায়দার বলেন, শরীরের বিভিন্ন অঙ্গের মধ্যে সাঁতারের মাধ্যমে হার্টকে সুস্থ রাখা যায়। বিভিন্ন অসুখ থেকে হার্টকে সুস্থ রাখতে নিয়মিত সাঁতারের বিকল্প নেই। শিশুদের নিয়ে এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করে প্রশংসার কাজটি করেছে টিএমএসএস হার্ট সেন্টার।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন টিএমএসএসের প্রতিষ্ঠাতা নির্বাহী পরিচালক ও টিএমএসএস মেডিকেল কলেজের চেয়ারম্যান অধ্যাপিকা ড. হোসনে আরা বেগম।
এ সময় আরো বক্তব্য রাখেন টিএমএসএসের উপ-নির্বাহী পরিচালক রোটা. ডা. মতিউর রহমান, টিএমএসএস মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মো. জাকির হোসেন প্রমুখ।
বগুড়া টিএমএসএস কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, তিনদিনের প্রতিযোগিতায় জাতীয় পর্যায়ের বয়সভিত্তিক প্রতিযোগিতায় গোল্ড মেডেল পাওয়া রাব্বি রহমানসহ বগুড়া, রাজশাহী, জয়পুরহাট, গাইবান্ধাসহ বিভিন্ন জেলা থেকে মোট ৫৪জন সাঁতারু অংশগ্রহণ করেন। উদ্বোধনী দিনে আটটি গ্রুপের প্রথম পর্বে ২৪ জন সাঁতারু কোয়ালিফাই করেছেন।
আগামীকাল বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় রাউন্ড এবং শুক্রবার একই স্থানে ফাইনাল রাউন্ড অনুষ্ঠিত হবে। ফাইনালে প্রথম পুরস্কার ৫০ হাজার টাকা, দ্বিতীয় পুরস্কার ৪০ হাজার টাকা, তৃতীয় পুরস্কার ৩০ হাজার টাকা, চতুর্থ পুরস্কার ২০ হাজার টাকা এবং পঞ্চম পুরস্কার ১৫ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। একই স্থানে সনাতনী ধর্মাবলম্বীদের প্রতিমা বিসর্জন উপলক্ষ্যে ঘাট সংলগ্ন স্থানে তিন দিনব্যাপী মেলা চলছে। এতে করে প্রতিযোগিতার আনন্দকে আরও বহুগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে।
টিএমএসএসের প্রতিষ্ঠাতা নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপিকা ড. হোসনে আরা বেগম জানান, বিশ্ব হার্ট দিবস উদযাপনে সাঁতার প্রতিযোগিতা করা হলেও মূলত শিক্ষার্থীদের সাঁতারে আগ্রহী করে তুলতে এই আয়োজন করা হয়। যাতে করে আজকের শিক্ষার্থীরা আগামী দিনে সাঁতারে দেশের সুনাম বয়ে আনেন।
তিনি বলেন, এখন তো জেলা পর্যায়ে নানা কারণে সাঁতার প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয় না। এই প্রতিযোগিতা নিয়মিত যেন হয় সেই বিষয়ে আমরা ভাবছি। অনুষ্ঠানে জাতীয় পর্যায়ের পাশাপাশি স্কুল পর্যায়ের শিক্ষার্থীরা সাঁতারের বিভিন্ন ইভেন্টে অংশগ্রহণ করে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছে।
অনুষ্ঠানে টিএমএসএসের প্রতিষ্ঠাতা নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপিকা ড. হোসনে আরা বেগমের দুই পুত্রবধূ উপস্থিত ছিলেন।
বিডি প্রতিদিন/কেএ