আগামী ১২ অক্টোবর থেকে দেশজুড়ে শুরু হবে ৯ মাস থেকে ১৫ বছর বয়সী শিশু কিশোর-কিশোরীদের টাইফয়েড টিকাদান কর্মসূচি। বরিশালে ৬ লাখ ১ হাজার ৭১৬ জন শিশুকে টিকাদানের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) জেলা পর্যায়ের স্কাউটস ও গার্লস গাইড স্বেচ্ছাসেবকদের জন্য টাইফয়েড টিকাদান বিষয়ক দিনব্যাপী অবহিতকরণ কর্মশালায় এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এদিকে ৬ দফা দাবিতে সকল ধরনের টিকাদান কর্মসূচি বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে স্বাস্থ্য সহকারীরা। সোমবার সংবাদ সম্মেলন ও স্মারকলিপি প্রদানের মাধ্যমে এ বিষয়টি জানানো হয়।
অবহিতকরণ সভায় জানানো হয়, বরিশাল জেলার লক্ষ্যমাত্রার মধ্যে প্রায় ৪ লাখ টিকা প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এবং ২ লাখ টিকা কমিউনিটি পর্যায়ে প্রদান করা হবে। টাইফয়েড টিকা গ্রহণে ভ্যাকসিনেশন অ্যাপের মাধ্যমে নিবন্ধন করতে হবে। এক্ষেত্রে টিকা পাওয়ার জন্য ১৭ ডিজিটের জন্ম নিবন্ধন নম্বর দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে।
সভায় আরও জানানো হয়, টাইফয়েড টিকা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা দ্বারা সুপারিশকৃত যা নিরাপদ ও কার্যকর। টাইফয়েড টিকায় কোনো ধরনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। টিকা নেওয়ার পরে বমি ভাব, টিকা গ্রহণের স্থানে লালচে রং ধারণ ও জ্বর হতে পারে। এটি কোন স্বাস্থ্য ঝুঁকির কারণ নয়। তবে যেকোন ধরনের অসুস্থতা, গর্ভবতী ও দুগ্ধদানকারী মা টাইফয়েড টিকা গ্রহণ করতে পারবেন না।
অপরদিকে বাংলাদেশ হেলথ এসিস্ট্যান্ট এসোসিয়েশনের বরিশাল জেলা শাখা সংবাদ সম্মেলন করে ৬ দফা দাবিতে বরিশাল জেলা সিভিল সার্জনের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছে। স্মারকলিপিতে তারা জানিয়েছে, আগামী ১ অক্টোবর থেকে ইপিআইসহ সকল ধরনের টিকাদান কর্মসূচি বর্জন করে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি শুরু করবে সংগঠনটি।
বিডি প্রতিদিন/জামশেদ