নাটোরের সিংড়ার হাট বাজারে শীতকালীন সবজির সরবরাহ বাড়লেও একমাত্র আলু ছাড়া প্রায় সব সবজি চড়া দামেই বিক্রি হচ্ছে। এতে সবজির ভরা মৌসুমেও বাজারে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন নিম্ন আয়ের সাধারণ মানুষ। তবে সবজি ব্যবসায়িকরা বলছেন, কৃষকের কাছ থেকে আগাম জাতের সবজি চড়া দামেই কিনতে হচ্ছে তাদের।
উপজেলার কালিগঞ্জের হাট, বিলদহর ও বিয়াশ হাটসহ সিংড়া পৌরহাটে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, শীতকালীন সবজি প্রতি কেজি ফুলকপি ৭০ টাকা থেকে ৮০ টাকা, পাতাকপি ৫০ থেকে ৬০ টাকা, শিম ১২০ টাকা থেকে ১৪০ টাকা, মুলা ৪০ টাকা, কাঁচা মরিচ ১২০ টাকা থেকে ১৪০ টাকা, শসা ৫০টাকা থেকে ৬০ টাকা, টমেটো কাঁচা ৮০ টাকা, ভারত ও চায়না থেকে আসা লাল টমেটো ১২০ টাকা, ভারতের গাজর ১২০ টাকা থেকে ১৪০ টাকা, লাউ প্রতি পিস ৪০ থেকে ৫০ টাকা, বরবটি ৪০টাকা থেকে ৫০ টাকা, ধনিয়া পাতা ১৫০ টাকা থেকে ১৬০ টাকা, করলা ৭০টাকা থেকে ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। তাছাড়া জাত ভেদে বেগুন ৮০ টাকা থেকে ১২০ টাকা, পেঁয়াজ ১০০ টাকা ও আলু ২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
সিংড়া বাসস্ট্যান্ডের সকালের বাজারে সবজি বিক্রেতা মো. আকবর আলী বলেন, ‘কিছু দিন আগে টানা বৃষ্টির কারণে আগাম জাতের অনেক সবজির খেত ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এ কারণে কৃষকদের কাছ থেকে চড়া দামেই কিনতে হচ্ছে আমাদের।’
সিংড়া হাটে সবজি কিনতে আসা নুরুল ইসলাম নামের এক স্কুল শিক্ষক বলেন, ‘এ বছর সবজির দাম অস্বাভাবিক ভাবে উঠা নামা করছে। গত সপ্তাহের হাটে সিম ৬০ টাকা কেজি কিনেছি আজ কিনলাম ১২০ টাকা কেজি। পেয়াঁজ ছিল ৬০ টাকা এখন ১০০ টাকা কেজি। একমাত্র আলুর দাম ছাড়া সব সবজির দাম চড়া। এমন অবস্থায় মাছ মাংস বাদে ৫০০ টাকার শুধু সবজি কিনেই ব্যাগ ভরাতে পারছি না।’
এদিকে, সবজির পাশাপাশি চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে শীতকালীন শাক। মুলা শাক, পালং শাক, লাল শাক, সরিষা শাক, সবুজ শাক সহ বিভিন্ন রকম শাকের আমদানি বেড়েছে বাজারে। সাধারণত এসব শাক ২০ থেকে ৩০ টাকা আটিঁতে বিক্রি হচ্ছে। যা গত বছর ছিল ১০ থেকে ২০ টাকা আঁটি।
বিডি-প্রতিদিন/আশফাক