বাগেরহাটে চারটি সংসদীয় আসন বহালের দাবিতে পঞ্চম দিনের মতো জেলা ও উপজেলার নির্বাচন অফিসগুলোর সামনে অবস্থান ধর্মঘট ও বিক্ষোভ করেছে সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটি। সোমবার সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত জেলা নির্বাচন অফিসসহ ৯টি উপজেলা নির্বাচন অফিসে এ কর্মসূচি পালিত হয়। এ সময় নির্বাচন অফিসগুলোতে কর্মকর্তারা প্রবেশ করতে না পারায় নাগরিক সেবাসহ দৈনন্দিন কার্যক্রম অচল হয়ে পড়ে।
কর্মসূচিতে বিএনপি, জামায়াতসহ সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির নেতাকর্মীরা অংশ নেন। দুপুরে জেলা নির্বাচন অফিসের সামনে কমিটির আহ্বায়ক ও জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এম এ সালাম নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেন। এর মধ্যে রয়েছে মঙ্গলবার থেকে জেলাব্যাপী গণস্বাক্ষর সংগ্রহ এবং বুধবার ও বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত ১০টি নির্বাচন অফিসের সামনে অবস্থান ধর্মঘট ও বিক্ষোভ। তিনি জানান, দাবি আদায় না হলে দুর্গাপূজার পর লাগাতার হরতাল ও মহাসড়ক অবরোধসহ কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে।
নির্বাচন কমিশন সম্প্রতি ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাগেরহাটের চারটি আসনের মধ্যে একটি কমিয়ে তিনটি করার প্রস্তাব চূড়ান্ত করে গেজেট প্রকাশ করেছে। এর পর থেকেই স্থানীয় রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনগুলো চারটি আসন বহালের দাবিতে লাগাতার আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে।
স্বাধীনতার পর থেকে বাগেরহাট-১ (মোল্লাহাট-ফকিরহাট-চিতলমারী), বাগেরহাট-২ (বাগেরহাট সদর-কচুয়া), বাগেরহাট-৩ (রামপাল-মোংলা) ও বাগেরহাট-৪ (মোরেলগঞ্জ-শরণখোলা) নামে চারটি আসন ছিল। নতুন গেজেটে তা পরিবর্তন করে বাগেরহাট-১ (বাগেরহাট সদর-চিতলমারী-মোল্লাহাট), বাগেরহাট-২ (ফকিরহাট-রামপাল-মোংলা) এবং বাগেরহাট-৩ (কচুয়া-মোরেলগঞ্জ-শরণখোলা) নামে তিনটি আসন করা হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল