বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালের মেডিসিন ইউনিট পুরাতন ভবনে স্থানান্তরের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ সোমবার সকাল ১১টায় ‘সচেতন বরিশালবাসী’ ব্যানারে হাসপাতালের প্রধান ফটকের সামনে এই মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়। এতে ভর্তি রোগীদের স্বজনরাও অংশ নেন।
প্রায় ঘণ্টাব্যাপী চলা এ মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, দক্ষিণাঞ্চলের একমাত্র বৃহত্তর চিকিৎসা কেন্দ্র শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগ এখন রোগ তৈরীর কারখানায় পরিণত হয়েছে। শুধু রোগীরাই নন, এখানে চিকিৎসা দিতে আসা ডাক্তারও আক্রান্ত হচ্ছেন নানা অসুবিধায়। মেডিসিন ইউনিটের বারান্দার মেঝেতেই শত শত রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন। কক্ষগুলোতে ধারণক্ষমতার অতিরিক্ত রোগী, নেই পর্যাপ্ত টয়লেট ও আলো-বাতাসের ব্যবস্থা। পোকামাকড় ও দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ রোগী ও তাদের স্বজনরা।
তাঁরা আরও বলেন, ছোট ছোট কক্ষে গাদাগাদি করে রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। অধিকাংশ এসি নষ্ট, ফ্যান চললেও তা যথেষ্ট নয়। বাতি বন্ধ থাকলে ঘর অন্ধকারে ডুবে যায়। প্রচণ্ড গরমে, আলো-বাতাসের অভাবে রোগীদের সঙ্গে স্বজনরাও অসুস্থ হয়ে পড়ছেন।
বক্তারা আরও বলেন, বর্তমানে যে ভবনে মেডিসিন ইউনিট অবস্থিত, সেটি মূলত অপারেশন থিয়েটার (ওটি) কমপ্লেক্স হিসেবে নির্ধারিত ছিল। এখানে বিভিন্ন ইউনিটের ওটি ও প্রশাসনিক কার্যালয় হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু হাসপাতালের সাবেক পরিচালক ও কয়েকজন চিকিৎসকের একতরফা সিদ্ধান্তে পুরাতন ভবন থেকে এখানে মেডিসিন ইউনিট স্থানান্তর করা হয়। এখন গোডাউনের মতো এই ভবনটি মেডিসিন ইউনিট হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে, যা রোগী ও চিকিৎসকদের জন্য চরম অস্বস্তিকর।
বক্তারা দাবি করেন, গাদাগাদি করে হলেও পুরাতন ভবনের মেডিসিন ইউনিটে পর্যাপ্ত আলো-বাতাস ছিল এবং চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব ছিল। তাই চিকিৎসার স্বার্থে মেডিসিন ইউনিট অবিলম্বে পুরাতন ভবনে পুনঃস্থাপন করতে হবে। অন্যথায় বরিশালবাসী বৃহত্তর আন্দোলনে যেতে বাধ্য হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন তারা।
বিডি প্রতিদিন/জামশেদ