কুষ্টিয়া সিভিল সার্জন কার্যালয়ে জনবল নিয়োগ পরীক্ষায় অনিয়মের অভিযোগ তদন্তে নেমেছে দুদক ও স্বাস্থ্য বিভাগ। গতকাল দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের একটি টিম সিভিল সার্জন অফিসে যায়। এর পরে স্বাস্থ্য বিভাগের একটি উচ্চপর্যায়ের টিম অভিযোগ তদন্তে ওই কার্যালয়ে যান। দুদকের টিমের নেতৃত্বে ছিলেন জেলা কার্যালয় কুষ্টিয়ার উপ-পরিচালক মইনুল আহসান রওশনী। স্বাস্থ্য বিভাগের টিমে নেতৃত্ব দেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক প্রশাসন অধ্যাপক ডাক্তার খায়ের আহমেদ চৌধুরী। উভয় টিমের সদস্যরা সিভিল সার্জন ডা. শেখ মো. কামাল হোসেন, কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের আরএমও হোসেন ইমাম, তার ভাই স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মী নান্নুসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলেন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডাক্তার খায়ের আহমেদ চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, ঘটনার ব্যাপারে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিও বিশ্লেষণ করছেন তারা। পাশাপাশি আরএমও ডাক্তার হোসেন ইমাম ও তার ভাই নান্নুর সংশ্লিষ্টতাসহ সবকিছু খতিয়ে দেখা হচ্ছে। দুদকের উপপরিচালক মইনুল আহসান রওশনী বলেন, নিয়োগ পরীক্ষার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট দুজনের মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়েছে। এ ছাড়া বিভিন্ন নথিপত্র যাচাইবাছাই করছেন।
এদিকে তদন্ত কমিটির কাছে নিজের অবস্থান জানানোর পর হোসেন ইমাম সিভিল সার্জন কার্যালয় ত্যাগ করার চেষ্টা করলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা তাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে। তাকে লক্ষ্য করে ডিম ছুড়ে মারতে দেখা যায়। পরে পুলিশ প্রহরায় তিনি সিভিল সার্জনের কার্যালয় ত্যাগ করেন। আরএমও ডাক্তার হোসান ইমাম সাংবাদিকদের জানান, ডিউটিরত অবস্থায় পুলিশের উপস্থিতিতে তার ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার কুষ্টিয়া সিভিল সার্জন কার্যালয়ের ১১৫টি শূন্য পদে নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ নেন ১৬ হাজার ৭৮৯ জন চাকরিপ্রার্থী। পরীক্ষা চলাকালীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিও ক্লিপে কুষ্টিয়া শহরের একটি বাড়ি থেকে কয়েকজন ব্যক্তিকে বের হতে দেখা যায়। ভিডিওতে উল্লেখ করা হয়, বাড়িটি কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. হোসেন ইমামের পৈতৃক বাড়ি। ভিডিও ক্লিপটি সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপকভাবে প্রচারিত হওয়ায় নিয়োগ কার্যক্রম সম্পর্কে জনমনে নেতিবাচক ধারণা তৈরি হয়।