বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের জন্মভূমি বগুড়া-৭ (গাবতলী-শাজাহানপুর) আসনে রাজনৈতিক জীবনের প্রথমে প্রার্থী হয়েছিলেন দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। নানা কারণে সেই ভোটে তিনি অংশগ্রহণ করেননি। তাই শহীদ জিয়ার এ আসনে তারেক রহমান প্রার্থী হবেন- এমন কথা ভোটারদের মুখে মুখে। এর আগে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া এ আসনে কয়েকবার নির্বাচনে অংশ নিয়ে বিপুল ভোটে জয়লাভ করেন। বিএনপি এবং অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের সব নেতাই চান তাদের আপসহীন নেত্রী বিগত দিনের মতো এখানে প্রার্থী হোন। কোনো কারণে তিনি প্রার্থী না হলে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান যেন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। তারা বলছেন, বেগম খালেজা জিয়া অথবা তারেক রহমান এ আসনে বিপুল ভোটে জয় লাভ করবেন। এদিকে এ আসনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী কেন্দ্রীয় জামায়াতের মজলিসে শুরা সদস্য ও বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সহসভাপতি গোলাম রব্বানী। তিনি নেতা-কর্মীদের নিয়ে ভোটের মাঠে নেমে পড়েছেন পুরোদমে। মিছিল, মিটিং, পথসভা ও গণসংযোগসহ উঠান বৈঠক করে যাচ্ছেন। জানা যায়, বগুড়া-৭ আসনের রাজনৈতিক দৃশ্যপট সবসময়ই উত্তপ্ত থাকে। আসনটি গাবতলী-শাজাহানপুর দুই উপজেলা নিয়ে গঠিত। আসনটিতে এ পর্যন্ত ১২টি জাতীয় সংসদ ও তিনটি উপনির্বাচন হয়েছে। এর মধ্যে ১০ বারই জয়ী হয়েছেন বিএনপির প্রার্থীরা। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের বাড়ি বগুড়ার গাবতলী উপজেলায়। ১৯৭৮ সালে তিনি বিএনপি প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৯১ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে খালেদা জিয়া প্রথমবারের মতো এ আসনে বিজয়ী হন। ১৯৯৬ ও ২০০১ সালেও এ আসনে বেগম খালেদা জিয়া বিজয়ী হন। ২০০৮ সালের নির্বাচনে তিনি ২ লাখ ৩২ হাজার ৭৬১ ভোট পান। এ আসনে তিনটি উপনির্বাচনে বিজয়ী হন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা হেলালুজ্জামান তালুকদার লালু। ২০০৮ সালের উপনির্বাচনে দলের স্থায়ী কমিটির প্রয়াত সদস্য মওদুদ আহমদ এমপি নির্বাচিত হন। আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির সবাই চান বেগম খালেদা জিয়া বিগত নির্বাচনের মতো এবারও প্রার্থী হোন। কোনো কারণে তিনি প্রার্থী না হলে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান প্রার্থী হবেন। তাই কোনো নেতা এখানে প্রার্থী হওয়ার ব্যাপারে কিছু বলতে চান না। এরপরও জিয়া পরিবারের বাইরে কাউকে প্রার্থী করা হলে যারা টিকিট চাইবেন তাদের মধ্যে এখন পর্যন্ত একজনের নাম শোনা যাচ্ছে। তিনি হলেন চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক এমপি হেলালুজ্জামান তালুকদার লালু।