পার্কভিউ হসপিটাল লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ডা. এ টি এম রেজাউল করিম বলেছেন, পার্কভিউ হসপিটাল এখন চট্টগ্রামে বেসরকারি পর্যায়ে একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ ও শীর্ষস্থানীয় স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রতিষ্ঠিত। এখানে দিনরাত ২৪ ঘণ্টা জরুরি সেবা অব্যাহত রয়েছে। রোগীর যে কোনো জটিল পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা সব সময় প্রস্তুত থাকেন, ফলে চিকিৎসা পেতে রোগীদের অপেক্ষা করতে হয় না।
বাংলাদেশ প্রতিদিনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ডা. রেজাউল করিম বলেন, পার্কভিউ হসপিটালে হৃদরোগের সমন্বিত চিকিৎসা ২৪ ঘণ্টাই পাওয়া যায়। এখানে রয়েছে আধুনিক ক্যাথল্যাব, সিপিআর, রিং পড়ানোর সুবিধা এবং সার্বক্ষণিক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দল। রোগীকে কোথাও রেফার না করেই পূর্ণাঙ্গ হৃদরোগ চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব। তিনি আরও বলেন, বর্তমানে গ্যাস্ট্রো এন্টেরোলজির রোগী দিনদিন বাড়ছে। তাই দ্রুত সেবা দিতে আমরা এনেছি ইআরসিপি (এন্ডোস্কোপিক রেট্রোগ্রেড কোল্যাঞ্জিওপ্যানক্রিয়াটোগ্রাফি) টেস্টের ব্যবস্থা। এটি লিভার, পিত্তথলি ও অগ্ন্যাশয়ের নালির সমস্যা নির্ণয় ও চিকিৎসার আধুনিক পদ্ধতি, যেখানে এন্ডোস্কোপি ও ফ্লুরোস্কোপি একত্রে ব্যবহার করা হয়। পাশাপাশি আর্গন প্লাজমা কোয়াগুলেশন (এপিসি) পদ্ধতিও চালু আছে, যা শরীরের নির্দিষ্ট টিস্যুকে প্লাজমার তাপে বাষ্পীভূত করে চিকিৎসা দেয়।
অর্থোপেডিক সার্জন ডা. রেজাউল করিম জানান, কিডনি চিকিৎসায়ও পার্কভিউ হসপিটালে রয়েছে বিশেষায়িত ব্যবস্থা। ‘আমাদের রয়েছে ইএসডব্লিউএল (এক্সট্রা কর্পোরিয়াল শক ওয়েভ লিথোট্রিপসি) মেশিন, যার মাধ্যমে শরীরের বাইরে থেকে শক ওয়েভ ব্যবহার করে কিডনি বা পিত্তথলির পাথর ভেঙে দেওয়া হয়। এতে অস্ত্রোপচার ছাড়াই পাথর শরীর থেকে বেরিয়ে যায়। পাশাপাশি নিয়মিত কিডনি ডায়ালাইসিস সেবাও চালু রয়েছে।’
তিনি বলেন, পার্কভিউ হসপিটালে রয়েছে উন্নতমানের ও জীবাণুমুক্ত আইসিইউ, সিসিইউ, এনআইসিইউ, এইচডিইউ এবং আধুনিক অপারেশন থিয়েটার। অর্থোপেডিক, স্নায়ু রোগ ও স্নায়ু সার্জারির জন্যও আলাদা বিশেষজ্ঞ দল রয়েছে। চট্টগ্রামের স্বাস্থ্যসেবায় বেসরকারি হাসপাতালগুলোর অবদানের প্রসঙ্গে ডা. রেজাউল করিম বলেন, সরকারি হাসপাতালের পাশাপাশি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো এখন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। পার্কভিউ হসপিটাল তার মধ্যে সবচেয়ে বড় ও সক্ষম প্রতিষ্ঠান হিসেবে মানবিক ভূমিকা রাখছে। বড় কোনো দুর্যোগ বা বিপর্যয়ের সময় সরকারি হাসপাতালে শয্যা সংকট দেখা দিলে আমরা দরজা খোলা রাখি, ভুক্তভোগীদের সেবা দিতে সব সময় প্রস্তুত থাকি। অতীতেও এর বহু উদাহরণ আছে।’