অপহরণ ও নির্যাতনের ঘটনায় ৭ দিন লাইফ সাপোর্টে থাকার পর মারা গেছেন তুহিন নামের এক কলেজ ছাত্র। ঘটনাটি ঘটেছে কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলায়।
আহত তুহিন ঢাকায় একটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে থাকার পর সোমবার মারা যান। তুহিন উপজেলার পীরযাত্রাপুর ইউনিয়ন এর বাহেরচর গ্রামের মোসলেম উদ্দিনের ছেলে। মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন বুড়িচং থানার ওসি মোহাম্মদ আজিজুল হক।
নিহতের মা ফেরদৌসী আক্তার জানান, তার ছেলে তুহিন (১৯) বুড়িচং এরশাদ ডিগ্রি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র। পূর্ব বিরোধের জেরে অভিযুক্তরা দীর্ঘদিন ধরে তার ছেলেকে হত্যার হুমকি দিয়ে আসছিল। গত ২০ অক্টোবর রাত সাড়ে ৮ টায় উপজেলার পীরযাত্রাপুর ইউনিয়নের শ্রীপুর গ্রামের কামাল মিয়ার বাড়ির সামনে থেকে তুহিনকে একটি গাড়িতে তুলে নিয়ে যান অভিযুক্তরা। এরপর প্রথম অভিযুক্ত সাইফুল ইসলাম বাবুর গোবিন্দপুর পূর্ব পাশের বিল্ডিং ঘরে নিয়ে গিয়ে তুহিনকে লোহার রড ও এসএস পাইপ দিয়ে মারধর করেন।
স্থানীয়রা উদ্ধার করে তুহিনকে প্রথমে বুড়িচং উপজেলা হাসপাতালে পরে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। ওই রাতে অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকার একটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে গত ৭ দিন লাইফ লাইফ সাপোর্টে থাকা অবস্থায় তুহিনের মৃত্যু হয়।
এঘটনায় গত ২০ অক্টোবর তুহিনের মা ফেরদৌসী আক্তার বাদী হয়ে ৪ জনের নাম উল্লেখ করে ৩-৪ জনকে অজ্ঞাত নামা আসামি করে বুড়িচং থানায় অভিযোগ করেন। অভিযুক্তরা হলেন উপজেলার গোবিন্দপুর গ্রামের মোঃ সাইফুল ইসলাম বাবু (৪৫), মোঃ নাফিজ উদ্দিন (১৯), শ্রীপুর গ্রামের মোঃ জহির (৪২), আবদুল আলিমসহ (৪৫), অজ্ঞাতনামা আরও ৪ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
বুড়িচং থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আজিজুল হক জানান, অভিযোগ দায়েরের সাথে সাথে মামলাটি রুজু করা হয়। আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল