উপকূলীয় জেলা বাগেরহাটের চিংড়ি খামারের বেড়িবাঁধে ৬৮ হেক্টর জমিতে এ বছর অফসিজনে উৎপাদন হয়েছে ২ হাজার ৩৮০ টন তরমুজ। সুস্বাদু এসব তরমুজের বাজারমূল্য ১১ কোটি ৯৫ লাখ টাকা। জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাতে লবণাক্ত হয়ে পড়া জমিতে যখন অনেকে ফসল ফলাতে হিমশিম খাচ্ছিলেন, তখন এ শুষ্ক অফসিজন তরমুজ চাষিদের জন্য হয়ে উঠেছে নতুন আশার আলো।
তীব্র লবণাক্ত এলাকা বাগেরহাটের মানুষের চিংড়ি চাষ দীর্ঘদিনের পেশা। নদী ও খালের নোনা পানি ব্যবহার করে চিংড়ি চাষে সফল হলেও অনেক কৃষক জমির পাড় বা উঁচু জায়গা ফাঁকা ফেলে রাখতেন। কৃষি বিভাগের পরামর্শে অফসিজনে এখন সেসব জায়গায় মাচায় ঝুলছে বিভিন্ন জাতের তরমুজ। বাঁশ ও নাইলনের সুতায় তৈরি মাচায় তরমুজ রাখা হয় নেট ও পলিথিন ব্যাগে। ওপরে সবুজ লতা, নিচে পানিতে মাছ-একই জমিতে একসঙ্গে দুই রকম আয় করছেন কৃষক। একদিকে মাছ বিক্রি হচ্ছে, অন্যদিকে তরমুজ বিক্রি থেকে আসছে বাড়তি অর্থ। বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলার কাঁঠালিয়া গ্রামের কৃষক ওমর শিকদার বলেন, ‘আমি দীর্ঘদিন ধরে চিংড়ি ও সবজি চাষের সঙ্গে যুক্ত। কৃষি বিভাগের সহায়তায় দুই বছর ধরে ঘেরের পাড়ে অফসিজন তরমুজ চাষ করছি। এ বছর ৩৩ শতক জমিতে ইয়েলো বার্ড, তৃপ্তি ও ব্ল্যাক বেবি জাতের তরমুজ লাগিয়েছি। এসব তরমুজ পাকলে ভিতরে লাল ও হলুদ রং হয়ে যায়। ইতোমধ্যে ৮০ হাজার টাকার তরমুজ বিক্রিও করেছি।’ উপপরিচালক মোতাহার হোসেন বলেন, ‘অফসিজন তরমুজ কৃষিতে নতুন সম্ভাবনা সৃষ্টি করেছে। এ বছর জেলায় চিংড়ি ঘেরের বেড়িবাঁধের ৬৮ হেক্টর জমিতে চাষ হয়েছে অফসিজন তরমুজ। বাজারমূল্য ধরা হয়েছে ১১ কোটি ৯৫ লাখ টাকা।