দীর্ঘদিন আগে সারিসুয়া নদীর ওপর নির্মিত সেতুর মধ্যখানে পিলারসহ একাংশ দেবে যায়। এরপর থেকে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছেন মানুষ। যে কোনো সময় ভেঙে পড়ার আশঙ্কা করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলার বলরামপুর ম লপাড়ায় সারিসুয়া নদীর ওপর ২০১২ সালে সেতুটি নির্মাণ করা হয়েছিল। এক যুগ পার হতেই এটি পরিণত হয়েছে ‘মারণফাঁদে’।
পানি উন্নয়নের বোর্ডের (পাউবো) প্রকল্পের অধীনে নদী খননের সময় সেতুর কাছ থেকে মাটি তোলার কিছুদিন পরে এটি দেবে যায় দাবি স্থানীয়দের। প্রায় ৮০টি পরিবারের ৪ শতাধিক মানুষ প্রতিদিন এই সেতু ব্যবহার করে। এ ছাড়া এলাকার কৃষিপণ্য পরিবহনের একমাত্র মাধ্যম এই সেতু। স্থানীয়রা জানান, দেবে যাওয়া সেতু দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ছেলে-মেয়েরা স্কুলে যাওয়া-আসা করে। কৃষিপণ্য পরিবহন ও মুমূর্ষু রোগী হাসপাতালে নিতে ভোগান্তির শেষ নেই। দ্রুততম সময়ের মধ্যে সেতুটি পুনর্নির্মাণের দাবি জানাই।
স্থানীয় বাসিন্দা আবুল হুসেইন জানান, সেতু দেবে গেছে প্রায় ৫-৬ বছর হলো। তখন থেকে ঝুঁকি নিয়ে গ্রামের মানুষ পারাপার হচ্ছেন। সেতু দিয়ে অটো, ভ্যান কৃষিপণ্য আনা-নেওয়া করতে সমস্যা হয়। অনেকবার চেয়ারম্যান এবং মেম্বারকে জানিয়েছি। কোনো কাজে আসছে না। একই এলাকার মমতাজ আলী বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ড যখন নদী খনন করে এর কিছুদিন পরে বৃষ্টি হলে সেতুটি দেবে যায়। তাদের সেতুর কাছে নদী খনন না করার জন্য বললেও শোনেনি। সাইদুল ইসলাম জানান, যেতে কষ্ট আসতেও কষ্ট। সেতুটি দেবে আছে দীর্ঘদিন। সংস্কারের কোনো উদ্যোগ কেউ নেয়নি। কষ্টের শেষ নেই আমাদের।
স্থানীয় নিজপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনিসুর রহমান আনিস বলেন, এই সেতু এলজিইডির আওতাভুক্ত নয়। এটি ২০১২ সালে তৎকালীন চেয়ারম্যানের উদ্যোগে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে নির্মাণ করা হয়েছিল। এরপরও আমি এ বিষয়ে উপজেলা প্রশাসন এবং আইনশৃঙ্খলা সভায় একাধিকবার জানিয়েছি। বিষয়টি উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলীকে জানানো হলে সেতু সংস্কারে তারা প্রযুক্তিগত সহায়তা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। আমাদের উন্নয়ন প্রকল্পের অর্থ পেলেই এলজিইডির প্রযুক্তিগত সহযোগিতা নিয়ে সেতুটি সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হবে। এখন নিরাপত্তা ঝুঁকি এড়াতে সবাইকে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকার অনুরোধ করছি।