গ্রামীণ শিশুর প্রারম্ভিক বিকাশ ও নিরাপত্তায় কাজ করছে শিশুযত্ন কেন্দ্র। নেত্রকোনার তিন উপজেলায় রয়েছে ৫০০টি শিশুযত্ন কেন্দ্র। প্রচারের অভাব ও সঠিক যত্নকারী লোক না থাকায় কিছু কেন্দ্র বন্ধ রয়েছে। বেশির ভাগ শিশুযত্ন কেন্দ্রের যত্নকারী শিক্ষার্থী হওয়ায় সেখানে শিশুরা আসছে স্বাচ্ছন্দ্যে। মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে সমাজভিত্তিক সমন্বিত যত্ন কেন্দ্রের মাধ্যমে শিশুর প্রারম্ভিক বিকাশ, সুরক্ষা ও সাঁতার সুবিধা প্রদান (আইসিবিসি) প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে আদিবাসী উন্নয়ন সংস্থা (আউস)। এর অধীনে মদন, মোহনগঞ্জ ও দুর্গাপুর উপজেলায় রয়েছে এসব শিশুযত্ন কেন্দ্র। এর মধ্যে দুর্গাপুরে ১৬৫, মোহনগঞ্জে ১৬৪ ও মদনে আছে ১৭১টি। এ ছাড়া এই তিন উপজেলায় আছে ৫০টি সাঁতার শিখন মাচা। এসব যত্ন কেন্দ্রে সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত শিশুদের নিরাপত্তায় একজন যত্নকারী ও একজন সহকারী যত্নকারী থাকেন।
দুর্গাপুর পৌর এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, আশপাশের বাড়ির লোকজন জানেন না শিশুযত্ন কেন্দ্র সম্পর্কে। কোথাও কোথাও কলেজ শিক্ষার্থীরা যত্নকারী হিসেবে ভালো সেবা দিচ্ছেন। এতে অভিভাবকরাও খুশি। মোহনগঞ্জের টেংগাপাড়াসহ কিছু এলাকায় গিয়ে খুঁজে পাওয়া যায়নি শিশুযত্ন কেন্দ্র। জানা গেছে, অনেক যত্নকারীর বিয়ে হয়ে যাওয়ায় সেবা বন্ধ আছে। সচেতন মহল মনে করেন গুরুত্বপূর্ণ এ কর্মসূচির ব্যাপক প্রচার ও প্রসার দরকার। আদিবাসী উন্নয়ন সংস্থার নেত্রকোনা কার্যক্রম সমন্বয়কারী মেহেদী হাসান জানান, অভিভাবক সমাবেশসহ স্থানীয়দের নিয়ে প্রতিনিয়ত সভা সমাবেশ হচ্ছে। কিছু কেন্দ্রের অনেক সেবাদানকারীর বিয়ে হয়ে গেছে। এ ছাড়া নানা কারণে ১৫টি বন্ধ আছে। ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রুবেল মিয়া জানান, এটি মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে। শিশু একাডেমি শুধু মনিটরিং করে।