প্রাকৃতিক দুর্যোগ, সাগরে জোয়ারের প্রবল ঢেউ এবং জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটার সৈকত চরম হুমকির মুখে পড়েছে। সমুদ্রের করাল গ্রাসে ক্রমশই যেন অস্তিত্ব হারাতে বসেছে। বালু ক্ষয়ের কারণে ধুয়েমুছে যাচ্ছে দৃষ্টিনন্দন সব দর্শনীয় স্থান। একই সঙ্গে শ্রীহীন হয়ে পড়েছে সৈকত। প্রতি বছরই এর প্রশস্ততা কমে যাচ্ছে। সৈকতের ভাঙন একটি গুরুতর সমস্যা, যা পর্যটন এবং পরিবেশের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। তাই সৌন্দর্য হ্রাস পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পর্যটকদের আকর্ষণও কমে যাচ্ছে। জানা গেছে, সম্প্রতি নিম্নচাপের প্রভাবে সমুদ্রের উত্তাল ঢেউ দীর্ঘ সময় ধরে তাণ্ডব চালায়। এতে সৈকত লাগোয়া নির্মাণাধীন সড়কটি বিধ্বস্ত হয়ে যায়। জিরো পয়েন্টের দুই দিকেই এখন শুধু ধ্বংসের ছাপ পড়ে আছে। ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে পুলিশ বক্স, ট্যুরিজম পার্ক মসজিদ, মন্দিরসহ ছোট-বড় একাধিক স্থাপনা। স্থানীয়দের ভাষ্যমতে, প্রায় ২০ বছর আগেও সৈকতের প্রস্থ ছিল পাঁচ কিলোমিটার। মূল বেড়িবাঁধের পর বিশাল এলাকাজুড়ে ছিল নারকেলবাগান, তালবাগান, শালবন, ঝাউবন, জাতীয় উদ্যানসহ বহু স্থাপনা। কিন্তু বারবার প্রকৃতির বৈরী আচরণে সমুদ্রের উত্তাল ঢেউয়ের তাণ্ডবে প্রতিনিয়ত বালু ক্ষয়ে এসব বাগান বিলীন হয়ে গেছে। বর্তমানে বেড়িবাঁধের খুব কাছাকাছি সৈকত চলে এসেছে। পাউবো নির্বাহী প্রকৌশলী শাহ আলম জানান, ‘জরুরি প্রটেকশনের জন্য পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। বরাদ্দ পেলে স্থায়ীভাবে সৈকত সুরক্ষার কাজ করা হবে।’