রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার ৫ কিলোমিটার কাঁচা রাস্তার জন্য ৫০ হাজারেরও বেশি মানুষের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের গণপত্যা থেকে ভেল্লাবাড়িয়া; এ রাস্তা দিয়ে হাজার হাজার কৃষক, শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন পেশার মানুষ চলাচল করেন। দুই যুগ ধরে রাস্তাটি এ অবস্থায় পড়ে আছে।
স্থানীয়রা বলছেন, গণপত্যা থেকে ভেল্লাবাড়িয়া সড়ক দিয়ে বালিয়াকান্দি, কালুখালী ও রাজবাড়ী সদর উপজেলার হাজার হাজার মানুষ যাতায়াত করেন। এর মধ্যে বালিয়াকান্দি উপজেলার গণপত্যা, হিরন্নকান্দি, মোহাম্মদপুর, বড় ভেল্লাবাড়িয়া, দত্তপাড়া, ধুবাড়িয়া, ঘোরপালন, চন্দনী গ্রামের মানুষ সব সময় এ রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করেন। রাজবাড়ী-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক সড়কে যাওয়ার মূল মাধ্যম এটি। প্রায় দুই যুগ ধরে রাস্তাটি এ অবস্থায় রয়েছে। অনেকবার বালিয়াকান্দি উপজেলা প্রকৌশলীর কাছে যাওয়া হয়েছে। কাঁদামাটির রাস্তায় ধানের চারা রোপণ করে প্রতিবাদ করা হয়েছে। কিন্তু রাস্তাটি পাকা করা হয়নি। সম্প্রতি রাস্তায় দেখা যায়, এর বিভিন্ন স্থানে কাঁদাপানি জমে রয়েছে। বেশির ভাগ মানুষ হেঁটে যাতায়াত করতে বাধ্য হচ্ছেন। স্থানীয় কৃষক মনোয়ার মোল্লা, আতিয়ার শেখ, বিনয় পাল বলেন, এ রাস্তা ছাড়া ছয় গ্রামের মানুষের যাতায়াতের বিকল্প কোনো পথ নেই। এর কারণে হাজার হাজার কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। বিশেষ করে কৃষিপণ্য পরিবহনে ভোগান্তির শেষ নেই। বর্ষা মৌসুমে কৃষি পণ্য কোনো যানবাহনে পরিবহন করা যায় না। অন্য সময়ও ভাড়া বেশি দিতে হয়।
কয়েকজন নারী বলেন, কেউ অসুস্থ হলে ভ্যান ছাড়া বিকল্প কোনো গাড়ি চলে না এ রাস্তা দিয়ে। বিশেষ করে গর্ভবতী নারীদের কত কষ্ট করে রাস্তা দিয়ে যেতে হয় শুধু তারাই জানেন।
ইসলামপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মো. মজিবর রহমান বলেন, রাস্তাটি আমার ওয়ার্ডের মধ্যে। এ রাস্তা দিয়ে অন্তত অর্ধলাখ মানুষ যাতায়াত করেন। রাস্তার পাশেই মুরগির ফার্ম, মাছের খামার, অনেক দোকান হয়েছে। অনেক মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। তবে তারা প্রতিনিয়ত ভোগান্তিতে পড়ছেন। কৃষিপণ্য পরিবহনে খরচ বেড়েছে।
রাজবাড়ী এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মো. ইউসুফ হোসেন বলেন, গণপত্যা থেকে ভেল্লাবাড়িয়ার রাস্তাটি গুরুত্বপূর্ণ। উপজেলা প্রকৌশলীর সঙ্গে কথা বলেছি। নতুন কোনো প্রকল্প এলে রাস্তাটি পাকাকরণ করা সম্ভব হবে।