পটুয়াখালী পৌরসভার সাবেক মেয়র মহিউদ্দিন আহমেদকে রাজধানী ঢাকা থেকে গ্রেফতার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) রাতে ধানমন্ডি এলাকায় ডিএমপির কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের সদস্যরা মহিউদ্দিনকে গ্রেপ্তার করে।
পরে রাত পৌনে ১২টার দিকে মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে তাকে হস্তান্তর করা হয়। পটুয়াখালী ডিবির ওসি মো. জসিম উদ্দিন গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, গ্রেফতারের সময় মহিউদ্দিন ধানমন্ডির একজন ব্যারিস্টার আশিকুর রহমানের বাসা থেকে বের হচ্ছিলেন।
পুলিশ সূত্র জানায়, সাবেক মেয়র মহিউদ্দিনের বিরুদ্ধে রয়েছে একাধিক হত্যা, দুর্নীতি ও সরকারি সম্পত্তি দখলের অভিযোগ। গত বছর (২০২৪) ২৯ আগস্ট ঢাকার সিএমএম আদালতে ছাত্র আন্দোলনে নিহত মো. সিরাজুল ইসলাম বেপারির খালাতো ভাই হাসিবুল হাসান লাবলু একটি অভিযোগ দায়ের করেন। আদালতের নির্দেশে ১ সেপ্টেম্বর বাড্ডা থানায় তা মামলা হিসেবে রুজু হয়।
এই মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রধান আসামি করে ১২০ জনকে অভিযুক্ত করা হয়। মহিউদ্দিন আহমেদ এই মামলার ১৩ নম্বর আসামি। এছাড়াও ২০২২ সালের ৬ অক্টোবর, পটুয়াখালীর বেপারিবাড়ী এলাকায় নদী রক্ষা কমিশনের উপস্থিতিতে সরকারি খাল দখল নিয়ে বিরোধে মেয়র মহিউদ্দিন আহমেদ স্থানীয় মাকসুদুর রহমানকে মারধর করেন। এর কয়েক ঘণ্টা পর পাশ্ববর্তী শ্মশান থেকে মাকসুদের লাশ উদ্ধার করা হয়।
এই ঘটনায় ১৫ সেপ্টেম্বর নিহতের ভাতিজা এনাহক হক তালুকদার পটুয়াখালী সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন, যাতে মহিউদ্দিনকে প্রধান আসামি করা হয়। মামলার তদন্তের দায়িত্বে রয়েছে সিআইডি।
শুধু হত্যা নয়, দুর্নীতির অভিযোগেও অভিযুক্ত মহিউদ্দিন। গত ৫ আগস্টের পর দুদকের ঢাকা অফিস থেকে পটুয়াখালী অফিসে তার বিরুদ্ধে দুটি দুর্নীতির মামলার তদন্ত চলছে।
সম্প্রতি ঢাকার দুদকের একটি প্রতিনিধি দল পটুয়াখালী গিয়ে মহিউদ্দিনের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি সরেজমিনে পরিদর্শন করেছে। পাশাপাশি তার বিরুদ্ধে পটুয়াখালী এলজিইডি অফিস সংক্রান্ত আরও একটি দুর্নীতির চিঠির তদন্ত চলছে।
বিডি প্রতিদিন/জামশেদ