চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে ঋণের টাকা পরিশোধ না করায় নূরনাহার খাতুন (৪৭) নামে এক নারীকে রাতে নির্জন অফিসে আটকে রাখার অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে জীবননগর উপজেলা পল্লী উন্নয়ন বোর্ড (বিআরডিবি) কার্যালয়ের বারান্দায় তাকে আটকে রাখা হয়। বিআরডিবি জীবননগর অফিসের মাঠকর্মী আবেদা সুলতানা তাকে আটকে রাখেন- অভিযোগ করেন নূরনাহার খাতুন। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে।
জীবননগর উপজেলার বাঁকা গ্রামের মৃত ইব্রাহিম হোসেনের স্ত্রী নূরনাহার খাতুন বলেন, ২০২৪ সালে বিআরডিবি থেকে ৩ লাখ টাকা ঋণ নেন। চলতি বছরের এপ্রিল মাসে ওই ঋণ পরিশোধের মেয়াদ শেষ হয়েছে। বর্তমানে তার ২ লাখ ৩০ হাজার টাকা বকেয়া আছে। বৃহস্পতিবার তিনি ১০ হাজার টাকা পরিশোধ করার জন্য অফিসে আসেন। মাঠকর্মী আবেদা তাকে পুরো টাকা পরিশোধের জন্য চাপ দেন। কিন্তু এতে অপারগতা প্রকাশ করায় সন্ধ্যায় অফিস বন্ধের সময় তাকে বারান্দায় রেখেই অফিসের কলাপসিপল গেট তালা দিয়ে চলে যান আবেদা সুলতানা। বিআরডিবির মাঠকর্মী আবেদা সুলতানা বলেন, নূরনাহার খাতুন বকেয়া পরিশোধ না করায় অফিস আমার বেতনের একটি অংশ কেটে রাখছে। আমি তাকে অফিসে বসিয়ে পরিবারের লোকজনকে খবর দিতে বলি। যাতে পরিবারের লোকজন টাকার নিশ্চয়তা দিয়ে তাকে নিয়ে যায়। কিন্তু তিনি আমার কথায় রাজি না হয়ে নতুন করে সময় চান। এ কারণে তাকে সেখানে বসিয়ে রেখে তালা দিই, যাতে পরিবারের লোকেরা এসে বিষয়টির মীমাংসা করে।
জীবননগর উপজেলা বিআরডিবি কর্মকর্তা তারিক জামাল জানান, নূরনাহার ১০ হাজার টাকা নিয়ে অফিসে আসেন। তাকে বসিয়ে রাখতে বলেছি। কিন্তু তালাবদ্ধ অবস্থায় অন্ধকারে আছেন এটা আমার জানা ছিল না। জীবননগর থানার ওসি মো. মামুন হোসেন বিশ্বাস জানান, খবর পাওয়ার পর মহিলাকে উদ্ধার করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।