নারায়ণগঞ্জে গত বৃহস্পতিবার দিনভর থেমে থেমে বৃষ্টি হয়েছে। গতকাল সকাল থেকেও ছিল প্রতিকূল আবহাওয়া। এমন পরিস্থিতিতে কোরবানির পশু (গরু-ছাগল) নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন জেলার খামারিরা। বিক্রির পাশাপাশি গরু সুস্থ রাখা নিয়েও তারা রয়েছেন শঙ্কায়।
খামারিরা বলছেন, এভাবে টানা বৃষ্টি থাকলে গরু হাটে ওঠানোসহ নানান রকম ভোগান্তির শিকার হতে হবে তাদের। নারায়ণগঞ্জের কয়েকটি হাটে গিয়ে দেখা যায়, এখনো গরু তেমন উঠতে শুরু করেনি। হাতে গোনা কয়েকজন খামারি গরু নিয়ে এসেছেন। তাদের গরু বৃষ্টি থেকে রক্ষার জন্য ইজারাদারদের পক্ষ থেকে ছাউনি সরবরাহ করা হচ্ছে। গরুগুলো যেন উঁচুতে রাখা যায়, সেজন্য ফেলা হচ্ছে মাটি। সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর থেকে ফতুল্লার ডিআইটি হাটে ২৭টি গরু নিয়ে এসেছেন মুকুল বেপারী। তিনি বলেন, ‘বৃষ্টি এলে গরুর পাশাপাশি আমাদেরও কষ্ট হয়। গরুগুলো ভিজে অসুস্থ হওয়ার আশঙ্কা থাকে।’ ফতুল্লার সৈয়দপুর কয়লাঘাটে গরু নিয়ে আসা সোলেমান বলেন, ‘আমি ৩০টি গরু এনেছি। আসার পর থেকেই বৃষ্টি শুরু হয়েছে। গরু বৃষ্টিতে ভিজলে নানা রকম ভোগান্তি পোহাতে হয়।’ সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, ‘নারায়ণগঞ্জে এবার ৯৫টি কোরবানির পশুর হাট রয়েছে। জেলার পাঁচটি উপজেলায় ছোটবড় মিলিয়ে গবাদিপশুর খামার আছে সাড়ে ১৪ হাজার। এসব খামারে কোরবানির জন্য প্রস্তুত রয়েছে ৯৭ হাজার ৪১৭টি পশু। জেলায় কোরবানির পশুর চাহিদা রয়েছে ৯৯ হাজার ২৫২টি। নারায়ণগঞ্জে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে নদীপথে গরু আসেন খামারিরা।
ডিআইটি হাটের ইজারাদার পক্ষের রুহুল আমিন শিকদার বলেন, বৃষ্টি থেকে গরু রক্ষায় ছাউনিসহ সব রকম ব্যবস্থা করা হয়েছে।’ জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. আবদুল মান্নান মিয়া বলেন, ‘পশুর হাটগুলোতে আমাদের ভেটেরিনারি টিম রয়েছে। যে কোনো প্রয়োজনে আমরা তাদের (খামারি) পাশে থাকব।’ জেলা প্রশাসক জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন, ‘গরুর হাটে জোরদার করা হয়েছে নিরাপত্তাব্যবস্থা।