গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার ভরতখালী ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে পরিচালিত ‘মমতা’ প্রকল্প বন্ধ হয়ে যাওয়ায় দুশ্চিন্তায় পড়েছেন আশপাশের চরাঞ্চলসহ ছয়টি ইউনিয়নের হাজারো প্রসূতি নারী। গত ৩০ জুন থেকে মমতা প্রকল্পের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। সাশ্রয়ী ও নির্ভরযোগ্য এই স্বাস্থ্যসেবা বন্ধ হওয়ায় তাদের মাতৃত্বকালীন স্বাস্থ্যসেবা সংকটের মুখে পড়বে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।
২০২১ সালের মে মাসে সেভ দ্য চিলড্রেন-এর অর্থায়নে এবং এসকেএস ফাউন্ডেশনের বাস্তবায়নে এই কেন্দ্রে মমতা প্রকল্পের কার্যক্রম শুরু হয়। ২০২২ সালের নভেম্বর থেকে কেন্দ্রটিতে নরমাল ডেলিভারি সেবাও চালু হয়। নিয়মিতভাবে গর্ভবতী মায়েদের প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা, প্রসব-পরবর্তী সেবা ও নিরাপদ প্রসবের সুবিধা প্রদান করে আসছিল কেন্দ্রটি। জানা যায়, প্রতি মাসে এখানে গড়ে ৩১৬ জন গর্ভবতী নারী এএনসি সেবা নিতেন, ১৭৪ জন পিএনসি সেবা এবং গড়ে ৩৫টি ডেলিভারি হতো। ২০২৪ সালের ডিসেম্বর মাসে এখানে ৭২টি সফল নরমাল ডেলিভারি হয়। সাঘাটার ভরতখালী ছাড়াও জেলার ফুলছড়ি উপজেলার চরাঞ্চল ফজলুপুর, গজারিয়া, ফুলছড়ি ইউনিয়ন এবং সাঘাটা উপজেলার মুক্তিনগর, সাঘাটা, পদুমশহর ইউনিয়নের অসংখ্য মা ও শিশু এই কেন্দ্রে সেবা নিয়ে উপকৃত হয়েছেন। ৩০ জুন থেকে মমতা প্রকল্পের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। ফলে হতাশা ও অনিশ্চয়তায় ভুগছেন সেবা নিতে আসা নারী ও তাঁদের পরিবার। কেন্দ্রটির পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা ফরিদা পারভীন বলেন, ‘মমতা প্রকল্পের মাধ্যমে ভরতখালী ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে নরমাল ডেলিভারি করে আসছিলাম।’ এসকেএস ফাউন্ডেশনের উপপরিচালক খন্দকার জাহিদ সারোয়ার (সোহেল) জানান, প্রকল্পের একটা সময়সীমা থাকে। কেন্দ্রটিতে সরকারের স্বাস্থ্য বিভাগের জনবলসংকট, প্রকল্পের মেয়াদ ও দাতা সংস্থার আর্থিক সাহায্য না থাকায় কার্যক্রমটি বন্ধ হয়ে গেছে। ডিসি চৌধুরী মোয়াজ্জম আহমদ বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই। আমি খোঁজ নিয়ে দেখব।’