নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলায় নিখোঁজের পাঁচ দিন পর কেনু মিয়া (৫৪) নামে এক কৃষকের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার (২১ জুলাই) দুপুরে উপজেলার সান্দিকোনা ইউনিয়নের টিপ্রা গ্রামের একটি হাওর থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। কেনু মিয়া ওই গ্রামের মৃত আব্দুর রাশিদের ছেলে।
পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা গেছে, জীবিকার তাগিদে কেনু মিয়ার স্ত্রী ও সন্তানরা ঢাকায় থাকেন। তিনি একাই গ্রামে থেকে অন্যের জমিতে বর্গাচাষ করতেন। গত বুধবার (১৬ জুলাই) বিকেলে হাওরের জমিতে কাজ করতে গিয়ে তিনি নিখোঁজ হন। এরপর আর বাড়ি ফেরেননি।
পরদিন সকাল থেকে চাচা আমজাদ খান বাচ্চুসহ স্বজন ও স্থানীয়রা বিভিন্ন স্থানে তাকে খুঁজতে থাকেন। নিখোঁজের বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও প্রচার করা হয়।
পাঁচ দিন পর, সোমবার দুপুরে স্থানীয়রা হাওরে কাজ করতে গিয়ে কেনু মিয়ার মরদেহ তার বর্গা নেওয়া জমিতে পড়ে থাকতে দেখেন। পরে পুলিশকে খবর দিলে কেন্দুয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে।
চাচা আমজাদ খান বাচ্চু জানান, ‘ভাতিজা ঢাকাসহ বিভিন্ন জায়গায় কাজ করতেন। স্ত্রী-সন্তানরা ঢাকায় থাকেন। বৃহস্পতিবার থেকে তাকে খুঁজে পাচ্ছিলাম না। অবশেষে আজ তার লাশ পাওয়া গেল।’
কেন্দুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, ‘মরদেহটি পচে-গলে গেছে। এটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানতে পুলিশ তদন্ত করছে।’
বিডি প্রতিদিন/জামশেদ