কুষ্টিয়া ও মুন্সিগঞ্জে দুই গৃহবধূকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে। টাঙ্গাইলে নিজ ঘরে একজনের হাত-পা বাঁধা লাশ পাওয়া গেছে। প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর-
কুষ্টিয়া : জেলায় পারিবারিক কলহের জেরে রত্না খাতুন নামে (৩০) এক গৃহবধূকে কুপিয়ে হত্যার পর স্বামী বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টা চালিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। সদর উপজেলার হরিপুর মেছোপাড়া এলাকায় রত্নার বাবার বাড়িতে গতকাল দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। নিহত রত্না ওই এলাকার আমদ মণ্ডলের মেয়ে ও একই গ্রামের টুটুলের স্ত্রী। তাদের আট বছর বয়সি এক সন্তান রয়েছে। নিহতের পরিবার জানায়, ১০ বছর আগে টুটুলের সঙ্গে রত্নার বিয়ে হয়। পারিবারিক কলহের জেরে টুটুলকে তালাক দিয়েছিলেন রত্না। এরপর দ্বিতীয় বিয়ে করেন। দ্বিতীয় স্বামীকে তালাক দিয়ে কয়েক দিন আগে প্রথম স্বামীর ঘরে ফিরেছিলেন তিনি। কুষ্টিয়া মডেল থানার ওসি মোশাররফ হোসেন জানান, বিষপানে অসুস্থ স্বামী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এ বিষয়ে তদন্ত করে আইনিব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মুন্সিগঞ্জ : স্ত্রীকে ধারালো দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। সদর উপজেলার দেওয়ানকান্দি এলাকায় শুক্রবার রাত ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। নিহতের নাম সেলিনা বেগম। অভিযুক্ত স্বামী সুজন মোল্লাকে রাতেই গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাতে সুজন মোল্লা ও সেলিনা বেগমের মধ্যে ঝগড়া হয়। একপর্যায়ে সুজন স্ত্রীকে ধারালো দা দিয়ে কুপিয়ে জখম করেন। স্থানীয়রা সদর থানায় জানালে পুলিশ এসে সেলিনার রক্তাক্ত লাশ পড়ে থাকতে দেখেন। টাঙ্গাইল : কালিহাতীতে খোদেজা বেগম (৫৮) নামে এক গৃহবধূর হাত-পা বাঁধা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিজ বাড়িতে গতকাল তার লাশ পাওয়া যায়। খোদেজা উপজেলার গোহালিয়াবাড়ীর উত্তরপাড়া গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্য আতোয়ার রহমানের স্ত্রী। স্থানীয় সূত্র জানায়, খোদেজা বাড়িতে একা বসবাস করতেন। পরিদর্শক (তদন্ত) শরিফুল ইসলাম বলেন, সিঁধ কেটে দুর্বৃত্তরা ঘরে ঢুকে হাত-পা বেঁধে খোদেজাকে হত্যা করেছে বলে ধারণা তাদের।