নীলফামারী কিশোরগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসকসহ জনবলসংকট তীব্র আকার ধারণ করেছে। গুরুত্বপূর্ণ বহু পদ শূন্য থাকায় কাঙ্ক্ষিত চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন উপজেলাবাসী। যারা কর্মরত আছেন প্রতিদিন রোগীর চাপ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছেন তারা। জটিল সমস্যা নিয়ে আসা রোগী পাঠিয়ে দেওয়া হয় রংপুর মেডিকেলে কলেজ হাসপাতালে। ৩১ শয্যার কিশোরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি ৫০ শয্যায় উন্নীত করা হয়। শয্যা সংখ্যা বাড়লেও বাড়েনি জনবল। চিকিৎসাসেবার মান রয়ে গেছে ৩১ শয্যার মতোই। এ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসকসহ ১৪৯টি পদ রয়েছে। এর মধ্যে ৫০টিই শূন্য। মেডিকেল অফিসারের ১১টি পদের সাতটি ফাঁকা। ১০ কনসালট্যান্ট পদের ছয়টি এবং পাঁচটি সহকারী সার্জনের সবগুলো শূন্য রয়েছে। মেডিকেল টেকনোলজিস্ট পদটি চার বছর ধরে শূন্য। সরেজমিন দেখা যায়, আউটডোরে অনেকে টিকিট কেটে দাঁড়িয়ে আছেন। চিকিৎসক না থাকার কারণে দীর্ঘ হচ্ছে রোগীর লাইন। বিভিন্ন এলাকা থেকে চিকিৎসা নিতে এসে ফিরে যাচ্ছেন অনেকে। শয্যা স্বল্পতার কারণে প্রতিদিনই রোগীদের চিকিৎসা নিতে হয় মেঝেতে। হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা কলেজপাড়া এলাকার দেলোয়ার হোসেন বলেন, পর্যাপ্ত চিকিৎসক না থাকায় প্রতিদিন সেবা দিচ্ছেন ডিপ্লোমাধারীরা। তাদের অনেকেই হাসপাতালের নিয়োগপ্রাপ্ত নন। হাতেগোনা কয়েক ধরনের ওষুধ ছাড়া এখানে মিলছে না কিছুই।
কিশোরগঞ্জের নিতাই এলাকা থেকে আসা আনোয়ার হোসেন বলেন, দুই দিন টিকিট কেটেও আমি ডাক্তার দেখাতে পারিনি। কলেজছাত্র রবিউল ইসলাম বলেন, হাসপাতালের অভ্যন্তরে ময়লা-আবর্জনায় ভরা। মনে হয় যেন দেখার কেউ নেই। কিশোরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আবাসিক মেডিকেল অফিসার এ বি এম তানজিমুল হক বলেন, বহির্বিভাগে প্রতিদিন গড়ে ৬০০ রোগীকে সেবা দেওয়া হচ্ছে। আন্তবিভাগে দৈনিক ৮০ জনেরও বেশি রোগী সেবা নিচ্ছেন। এ ছাড়া জরুরি বিভাগে গড়ে ৫০-৭০ জন রোগীকে চিকিৎসা দেওয়া হয়। চিকিৎসকসহ অন্যান্য শূন্য পদে জনবল নিয়োগের জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে চাহিদা দেওয়া হয়েছে। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকতা ডাক্তার নীল রতন দেব বলেন, জনবলসংকট নিরসন হলে স্বাস্থ্যসেবার মান উন্নত হবে।