যশোর শহরের শংকরপুর এলাকায় কুড়িয়ে পাওয়া একটি ককটেল (বোমা) নিয়ে খেলতে গিয়ে বিস্ফোরণে চার বছরের এক শিশু নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে তার ছয় বছর বয়সী ভাই।
আজ সোমবার (১৯ মে) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে শংকরপুর গোলপাতা মসজিদ সংলগ্ন একটি বাড়িতে এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত শিশুর নাম খাদিজা এবং আহত ভাইয়ের নাম সজিব। তারা শংকরপুর এলাকার শাহাদত হোসেনের সন্তান।
স্বজনদের ভাষ্য অনুযায়ী, সকালবেলা খাদিজা ও সজিব ঘরের ভেতরে খেলছিল। হঠাৎ এক প্রচণ্ড বিস্ফোরণের শব্দে পরিবার ও আশপাশের লোকজন দৌড়ে এসে দেখতে পান দুই শিশু রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে এবং ঘরের ভেতর ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন। দ্রুত তাদের যশোর জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়।
চিকিৎসকরা খাদিজার অবস্থা গুরুতর দেখে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন। কিন্তু ঢাকায় নেওয়ার পথে, গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর পৌঁছালে দুপুর ১২টার দিকে খাদিজার মৃত্যু হয়।
স্থানীয়দের ভাষ্য মতে, খাদিজারা যে ঘরে থাকতেন তার আশপাশে দিনমজুর ও ভাঙারি ব্যবসায়ীরা বসবাস করেন। এলাকায় অসাবধানতার ফলে এ ধরনের বিস্ফোরক পদার্থ হয়তো ছড়িয়ে পড়তে পারে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে।
যশোর জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. শাকিরুল ইসলাম বলেন, “বিস্ফোরণে খাদিজার হাত ও বুকে মারাত্মক জখম হয়। সজিবের শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত আছে। তবে খাদিজার অবস্থা ছিল বেশি সংকটজনক।”
ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ সুপার রওনক জাহান এবং সেনাবাহিনীর বোমা নিষ্ক্রিয়কারী দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তারা ঘরে তল্লাশি চালাচ্ছেন, আরও বিস্ফোরক দ্রব্য আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
যশোর কোতোয়ালি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কাজী বাবুল হোসেন জানান, “পুলিশ ও সেনাবাহিনীর বোমা ডিসপোজাল ইউনিট ঘটনাস্থলে অবস্থান করছে। প্রাথমিকভাবে এটি ককটেল জাতীয় বোমা বলে ধারণা করা হচ্ছে।”
বিডি প্রতিদিন/আশিক