কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান হিসেবে সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিমকে নির্বাচন কমিশন (ইসি) সংলাপে ডাকায় দলটির একাংশের নেতারা প্রতিবাদ জানিয়েছেন। বেশ কিছু দাবিও জানিয়েছেন ইসির কাছে। গতকাল ক্ষুব্ধ নেতা-কর্মীরা প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসিরউদ্দিনের কাছে একটি প্রতিবাদলিপি জমা দেন। কল্যাণ পার্টির ওই অংশের চেয়ারম্যান মো. শামসুদ্দিন পারভেজ ও মহাসচিব মোহাম্মদ আবু হানিফের দেওয়া প্রতিবাদলিপিতে উল্লেখ করা হয়, ‘সংলাপে বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসর সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিমকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। যা পুরো সংলাপ আয়োজন প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার উপেক্ষা করে এ আমন্ত্রণ এমন এক রাজনৈতিক পরিবেশকে বৈধতা দেয়, যা দীর্ঘদিন ধরে স্বৈরাচারী শাসন টিকিয়ে রাখতে সহায়ক ভূমিকা পালন করেছে। এটি জনগণের প্রত্যাশা ও গণতান্ত্রিক নীতির পরিপন্থি।’
তাঁরা আরও বলেন, ‘আমরা স্পষ্ট ভাষায় জানাচ্ছি যে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করার সংগ্রামে যেসব দল বা সংগঠন স্বৈরাচারী শক্তির সহযোগী হিসেবে পরিচিত, তাদের সংলাপে অন্তর্ভুক্ত করা একটি ভুল রাজনৈতিক বার্তা দেয় এবং জনগণের আস্থা ও বিশ্বাসের পরিপন্থি।’
নির্বাচন কমিশনের কাছে দাবি : সংলাপ প্রকৃত অর্থে অন্তর্ভুক্তিমূলক ও দায়বদ্ধ করতে হবে। যেসব দল গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি, মানবাধিকার এবং জনগণের ভোটাধিকার সুরক্ষায় নির্ভরযোগ্য ভূমিকা রাখে না তাদের অযৌক্তিক অংশগ্রহণ অবিলম্বে পুনর্বিবেচনা করতে হবে। কমিশনকে নিরপেক্ষতা, স্বচ্ছতা ও গণমানুষের আস্থাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিতে হবে।
তাঁরা আরও বলেন, গণতন্ত্র নিয়ে ছলচাতুরী নয়, বরং জনগণের কণ্ঠস্বরকে সত্যিকারভাবে প্রতিনিধিত্ব করার জন্যই সংলাপ হওয়া উচিত। অন্যথায় কোনো সংলাপই জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্যতা পাবে না। আমরা এ অবিচারপূর্ণ সিদ্ধান্তের দৃঢ় প্রতিবাদ জানাই এবং গণতন্ত্র রক্ষার আন্দোলনে সব নাগরিকের সঙ্গে সম্মতি প্রকাশ করে আপনার সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আবেদন করছি।
এর আগে তাঁরা ইবরাহিমের পরিবর্তে নিজেদের হাতে কল্যাণ পার্টির নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য ইসিতে আবেদন করেন। এ বিষয়ে মো. শামসুদ্দিন পারভেজ বলেন, ‘আমরা ইসির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেও লিখিত দাবি জানিয়েছি। তবে তারা কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।’