৮৪ বছরের পুরোনো বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলার কোলগ্রাম উচ্চবিদ্যালয়। এ বিদ্যালয়ে ঝুঁকি নিয়েই চলছে শিক্ষা কার্যক্রম। স্কুলের এমন জরাজীর্ণতার কারণে কক্ষ ছেড়ে পাশেই টিনের ছাউনি বিশিষ্ট ভবনে ক্লাস করছে শিক্ষার্থীরা। সেই সঙ্গে খেলার মাঠ, শৌচাগার, লাইব্রেরিসহ প্রয়োজনীয় বেঞ্চ সংকটের কারণে বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সিমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এসব সমস্যা সমাধানে তারা দ্রুত নতুন ভবন নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন কর্তৃপক্ষের কাছে। জানা গেছে, স্থানীয় শিক্ষানুরাগী শরিফ উদ্দিনের ঐকান্তিক প্রচেষ্ঠায় ১৯৪১ সালে প্রায় ১ একর ১৮ শতক জায়গার ওপর চামরুল ইউনিয়নে কোলগ্রাম উচ্চবিদ্যালয়টি স্থাপিত হয়। ১৯৬৫ সালে বিদ্যালয়টি নিম্ন মাধ্যমিক মঞ্জুরি লাভ করে। ১৯৬৯ সালে উচ্চবিদ্যালয়ে মঞ্জুরিপ্রাপ্ত হয়। ১৯৯৫ সালের পয়লা জুন বিদ্যালয়টি এমপিওভুক্ত হয়। ১৯৯৭ সালে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর থেকে নির্মিত দুই কক্ষ বিশিষ্ট পাকা ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় তা পরিত্যক্ত অবস্থায় রয়েছে। পাকা এই ভবনটি দীর্ঘদিন সংস্কার না করায় বিভিন্ন স্থানের প্লাস্টার উঠে গেছে। ছাদের প্লাস্টারগুলো উঠে রডগুলো কঙ্কালের মতো বেরিয়ে রয়েছে। দরজা জানালার অবস্থাও করুণ। ফলে ২০১৬ সালে এই ভবনটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়। বর্তমানে বিদ্যালয়টিতে ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা প্রায় ১৫০ জন। শিক্ষক রয়েছেন ১৩ জন। আর চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী রয়েছেন চারজন। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফেরাজ উদ্দিন মিঞা জানান, উপজেলায় অনেক নতুন নতুন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে চার তলা বিশিষ্ট ভবন পেলেও দুর্ভাগ্যবশত প্রায় ৮৩ বছরের পুরাতন এই বিদ্যালয়ে কোনো ভবন বরাদ্দ পাওয়া যায়নি।
উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা জাকির হোসেন জানান, বিদ্যালয়ের অবস্থা আমরা জেনেছি। একটি চার তলা একাডেমিক ভবন নির্মাণের প্রকল্প হাতে নেওয়ার সিদ্ধান্ত আছে।