নতুন রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধনের দাবিতে আমজনতার দলের সদস্যসচিব তারেক রহমানের ‘আমরণ অনশন’ কর্মসূচিতে সংহতি প্রকাশ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেছেন, আমজনতার দলের অবশ্যই নিবন্ধন প্রাপ্য। গতকাল বিকালে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনের প্রধান ফটকে গিয়ে সংহতি প্রকাশ করেন রিজভী। এদিকে নিবন্ধনের দাবিতে গতকাল রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে মৌলিক বাংলা ও জনতার শক্তি নামে আরও দুটি দল। আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশনের সামনে আগে থেকেই অনশন করছেন আমজনতার দলের সদস্যসচিব মো. তারেক রহমান। তার পাশেই অবস্থান নিয়েছে ওই দুটি দল।
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে গত মঙ্গলবার নির্বাচন কমিশন তিনটি দলকে নিবন্ধন দেওয়ার সিদ্ধান্তের কথা জানায়। সরেজমিনে তদন্তের পর নিবন্ধন শর্ত পূরণে ব্যর্থ হওয়ায় আমজনতার দলসহ ১৯টি দল বাদ পড়ে। তার দলকে নিবন্ধন দেওয়ার দাবিতে মঙ্গলবার বিকাল থেকে অনশন করে আসছেন দলটির সদস্যসচিব মো. তারেক রহমান। গতকাল বিকালে তার দাবির সংহতি জানাতে আসেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। এ সময় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব বলেন, আমজনতার দল আবেদন করেছিল, তবে সে আবেদনটি গ্রাহ্য করা হয়নি। আমি দেখেছি, আরও গুরুত্বহীন কিছু সংগঠন, তারাও নিবন্ধিত হয়েছে। কিন্তু তারেকের দলটাকে দেওয়া হলো না কেন আমি বুঝতে পারলাম না। রুহুল কবির রিজভী জানান, ‘আমজনতার দলের সদস্যসচিব তারেক এ দেশের স্বার্থে কথা বলেছে, আগ্রাসনের বিরুদ্ধে কথা বলেছে, দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার প্রশ্নে কথা বলেছে। সে (তারেক) একটি রাজনৈতিক দল গঠন করেছে। সেটির বৈধতার জন্য নির্বাচন কমিশনে আবেদন করেছিল। সে তো কোনো গোপন রাজনৈতিক দল করতে চায়নি, আইনসম্মত রাজনৈতিক দল করতে চেয়েছে। যদি তার উদ্দেশ্য খারাপ থাকত তাহলে গোপন রাজনৈতিক দল করে রাষ্ট্রবিরোধী কার্যকলাপ করত।’ রাষ্ট্রবিরোধী কোনো কার্যকলাপ তারেক করেনি বলেও মন্তব্য করেন রিজভী। গত মঙ্গলবার অনশন শুরুর পর নির্বাচন ভবনের সামনে আরও কয়েকটি দলের নেতা-কর্মীরা সংহতি জানিয়ে অবস্থান কর্মসূচিতে নেমেছেন বুধবার গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খাঁনও সংহতি প্রকাশ করেন এবং নিবন্ধন দেওয়ার দাবি জানিয়ে প্রধান নির্বাচন কশিমনারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
এদিকে নিবন্ধনের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচিতে মৌলিক বাংলার কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য ছাদেক আহম্মেদ সজীব বলেন, নির্বাচন কমিশন ভবন এখনো আওয়ামী লীগমুক্ত হয়নি। নিবন্ধন প্রক্রিয়ায় তাদের যে উদাসীনতা, স্বজনপ্রীতি এবং স্বেচ্ছাচারিতা তা স্পষ্টই মৌলিক বাংলাকে ২০১৭ সালের ন্যায় এবারও নিবন্ধন প্রক্রিয়া থেকে ষড়যন্ত্র করে ডিপস্টেটের পরামর্শে বঞ্চিত করা হচ্ছে। আর জনতার শক্তির আহ্বায়ক ওয়াকী আবদুল্লাহ বলেন, ইসি ঠিকমতো তদন্ত না করেই আমাদের দলকে নিবন্ধনের তালিকা থেকে বাদ দিয়েছে। তাই অবস্থান কর্মসূচি পালন করছি। এ কর্মসূচি চলবে।