রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (রামেক) নির্মাণাধীন নতুন আইসিইউ ইউনিটে নিম্নমানের লিফট স্থাপনে গণপূর্ত বিভাগ নানান কৌশল নিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। কাগজপত্র জালিয়াতি, একই লিফট নতুন বলে বারবার সরবরাহ করা হয়েছে। এক লিফট বসাতে কর্তৃপক্ষকে দুই দফা কমিটি গঠন করতে হয়েছে। ফলে এক বছরেও বসানো যায়নি লিফটি।
হাসপাতাল সূত্র জানায়, নির্মাণাধীন নতুন আইসিইউ ইউনিটের একটি লিফট থেকেই প্রায় ৫০ লাখ টাকা আত্মসাৎ করতে চেয়েছিলেন ঠিকাদার। জালিয়াতি ধরা পড়ার পর তাকে ওই লিফট অপসারণের জন্য চিঠি দেওয়া হয়। দরপত্র অনুযায়ী চাওয়া হয়েছিল ‘এ’ ক্যাটাগরির লিফট। কিন্তু ঠিকাদার লাগান ‘সি’ ক্যাটাগরির। দামের পার্থক্য প্রায় অর্ধকোটি টাকা। এ ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটির কাছে স্পেসিফিকেশন অনুযায়ী কাগজপত্র দেখাতে পারেননি ঠিকাদার। রাজশাহী গণপূর্ত বিভাগের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী আবদুল গোফফার বলেন, দরপত্রে এ ক্যাটাগরির লিফট চাওয়া হয়েছিল। জাপানে ‘এ’ ক্যাটাগরির ফুজি লিফট তৈরি করে। সরবরাহ করা লিফটের গায়েও ফুজির স্টিকার আছে। কিন্তু এর সপক্ষে তদন্ত কমিটির কাছে কোনো কাগজপত্র দেখাতে পারেননি ঠিকাদার। ধারণা করা হচ্ছে, চীনেও ফুজির কারখানা আছে। সেগুলো ‘সি’ ক্যাটাগরির। ‘এ’ ক্যাটাগরির দাম ১ কোটি ১৩ লাখ ৪৭ হাজার ৪৯৮ টাকা। সি ক্যাটাগরির দাম ৬০ লাখ টাকা।