গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় রোজিনা ওরফে আজেনা বেগম (৪৫) নামে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। রোজিনার পরিবারের দাবি তার শরীরে অ্যানথ্রাক্সের আলামত ছিল। তবে অ্যানথ্রাক্সে মৃত্যুর বিষয়টি সঠিক নয় বলে নিশ্চিত করেছে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ।
গাইবান্ধার সিভিল সার্জন ডা. মো. রফিকুজ্জামান গতকাল জানান, ওই রোগীর প্রেশার ছিল এবং প্রেশারের কারণে হার্টে সমস্যা দেখা দেয়। এ ছাড়া ওই নারী জটিল রোগে আক্রান্ত ছিল। একই সঙ্গে তার হাতে ফোসকা ছিল। যেটাকে আমরা অ্যানথ্রাক্সের উপসর্গ বলছি। কিন্তু ওই নারী অ্যানথ্রাক্সের কারণে মারা গেছে বিষয়টি সঠিক নয়।
এটি বিভ্রান্তিমূলক। কেননা, যে অ্যানথ্রাক্সের চামড়ায় উপসর্গ হয়, সেটিতে মানুষের মৃত্যুর কোনো কারণ নেই। মূলত ওই নারী অন্যান্য জটিল রোগের কারণে মারা গেছেন।
ডা. মো. রফিকুজ্জামান বলেন, অ্যানথ্রাক্সে সাধারণত চামড়ায় উপসর্গ দেখা দেয়, কিন্তু এটি মৃত্যুর কারণ না। এ বিষয়ে বিভ্রান্তি না ছড়িয়ে সচেতনতা বাড়ানো জরুরি। এ ছাড়া আক্রান্ত পশু জবাই না করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।