ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে পাকিস্তানকে ১৮ রানে হারালো আফগানিস্তান। শারজার ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এই জয়ের মাধ্যমে সিরিজের ফাইনালের পথে অনেকটাই এগিয়ে গেল রশিদ খানের দল।
শারজাহতে মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) ১৮ রানে জিতেছে রাশিদের দল। ১৬৯ রান তাড়ায় পাকিস্তান থেমেছে ১৫১ রানে। সিরিজে এখন পর্যন্ত চার ম্যাচের চারটিতেই জিতল আগে ব্যাট করা দল। ৩ ম্যাচে দ্বিতীয় জয়ে আফগানিস্তানের পয়েন্ট হল ৪। সমান ম্যাচে পাকিস্তানেরও পয়েন্ট ৪। দুই ম্যাচে শূন্য পয়েন্ট নিয়ে ত্রিদেশীয় সিরিজের তলানিতে স্বাগতিক সংযুক্ত আরব আমিরাত।
টস জিতে ব্যাট করতে নেমে দ্বিতীয় ওভারেই উইকেট হারায় আফগানিস্তান। এক ছক্কা মেরে সাইম আইয়ুবের বলে ডিপ স্কয়ার লেগে ধরা পড়েন রহমানউল্লাহ গুরবাজ। শুরুর ধাক্কা সামল দিয়ে দ্বিতীয় উইকেটে শত রানের জুটি গড়েন সেদিকউল্লাহ ও ইব্রাহিম। শুরুতে বেশ সময় নেন তারা। পাওয়ার প্লেতে আসে কেবল ৩৪ রান, ১০ ওভারে ৭৩। জুটির রান পঞ্চাশ স্পর্শ করে ৪১ বলে, এরপর গতি বাড়িয়ে তিন অঙ্কে যায় ৭০ বলে।
সেদিকউল্লাহকে ফিরিয়ে ১১৩ রানের জুটি ভাঙেন আশরাফ। ৪৫ বলে আফগান ওপেনার তিনটি করে ছক্কা ও চারে করেন ৬৪ রান। অলরাউন্ডারের পরের ওভারে ওমারজাইয়ের সঙ্গে বিদায় নেন ইব্রাহিম। ৪৫ বলে আট চার ও ১ ছক্কায় তিনি খেলেন ৬৫ রানের ইনিংস। আগের ম্যাচে পঞ্চাশ ছোঁয়া ইনিংস খেলা সেদিকউল্লাহ ও ইব্রাহিমের বিদায়ের পর আর বেশিদূর যেতে পারেনি আফগানিস্তান। ২৭ রানে ৪ উইকেট নিয়ে পাকিস্তানের সফলতম বোলার আশরাফ। সাইম ১৮ রানে নেন ১ উইকেট।
লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দ্বিতীয় ওভারেই সাইম আইয়ুবের উইকেট হারায় পাকিস্তান। সাহিবজাদা ফারহান ভালো শুরু করলেও ইনিংস বড় করতে পারেননি। দুই ওপেনারকেই আউট করেন আফগান পেসার ফজলহক ফারুকি। এরপর অভিজ্ঞ ফখর জামান অধিনায়ক আগা সালমানকে নিয়ে ভালোই এগিয়ে যাচ্ছিলেন। কিন্তু এই জুটি ভাঙার পর টপাটপ উইকেট হারাতে থাকে পাকিস্তান। দশ নম্বরে নামা হারিস রউফ করেছেন দলের হয়ে সর্বোচ্চ রান। তার ১৬ বলে ৪ ছক্কায় ৩৪ রানের ইনিংসটা ক্যারিয়ারসেরাও। সুফিয়ান মুকিমকে নিয়ে ৪০ রান যোগ করেছেন রউফ, যা টি- টোয়েন্টিতে শেষ উইকেট জুটিতে পাকিস্তানের সর্বোচ্চ।
নুর আহমেদ, মোহাম্মদ নবী, রশিদ খান ও ফজলহক ফারুকি- আফগানিস্তানের এই চার বোলার নিয়েছেন ২টি করে উইকেট। এই ম্যাচ দিয়েই রহস্যময় স্পিনার আল্লাহ গজরফরের টি-টোয়েন্টিতে অভিষেক হয়েছে। তবে ৩ ওভারে ২৪ রান দিয়ে তিনি ছিলেন উইকেটশূন্য।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
আফগানিস্তান: ২০ ওভারে ১৬৯/৫ (গুরবাজ ৮, সেদিকউল্লাহ ৬৪, ইব্রাহিম ৬৫, ওমারজাই ৪, জানাত ৮, নাবি ৬, রাশিদ ৮; আফ্রিদি ৪-০-২৭-০, সাইম ৪-০-১৮-১, রউফ ৩-০-৩৮-০, নাওয়াজ ২-০-২৪-০, সুফিয়ান ৩-০-৩৩-০, ফাহিম ৪-০-২৭-৪)
পাকিস্তান: ২০ ওভারে ১৫১/৯ (সাহিবজাদা ১৮, সাইম ০, ফাখার ২৫, সালমান ২০, হাসান নাওয়াজ ৯, মোহাম্মদ নাওয়াজ ১২, হারিস ১, আশরাফ ১৪, আফ্রিদি ০, রউফ ৩৪*, সুফিয়ান ৭*; গাজানফার ৩-০-২৪-০, ফারুকি ৩-০-২১-২, ওমারজাই ০-০-০-০, রাশিদ ৪-০-৩০-২, নাবি ৪-০-২০-২, নুর ৪-০-২০-২)
ফল: আফগানিস্তান ১৮ রানে জয়ী।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ