চট্টগ্রাম বন্দরকেন্দ্রিক বেসরকারি ডিপোগুলো বিভিন্ন খাতে রপ্তানি ও খালি কনটেইনার হ্যান্ডলিংয়ের ওপর চার্জ বাড়িয়েছে। যা পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী গত সোমবার থেকে কার্যকর হয়েছে। শিপিং এজেন্ট, ফ্রেইট ফরোয়ার্ডার্স ও তৈরি পোশাক রপ্তানিকারকসহ ব্যবহারকারী বিভিন্ন পক্ষ আগে থেকেই চার্জ বাড়ানোর বিরোধিতা করে আসছিল। কিন্তু তাতে সিদ্ধান্ত পাল্টায়নি বেসরকারি ডিপো মালিকদের সংগঠন ‘বাংলাদেশ ইনল্যান্ড কনটেইনার ডিপোস অ্যাসোসিয়েশন’ (বিকডা)। এদিকে ট্যারিফ বা চার্জ বাড়ানোর ক্ষেত্রে আইসিডি-সিএফএস নীতিমালা অনুসরণ করা হয়নি উল্লেখ করে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিতে গত ৩১ আগস্ট নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয় সচিব বরাবর চিঠি পাঠিয়েছেন চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মো. ওমর ফারুক। এর জবাবে গতকাল নৌ-মন্ত্রণালয়ে বিকডার পক্ষ থেকে একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংগঠনটির মহাসচিব রুহুল আমিন শিকদার। এতে উল্লেখ করা হয়েছে, নীতিমালায় যে ট্যারিফ কমিটির কথা বলা আছে তার কার্যকারিতা নেই। এ কারণে ডিপোগুলো নিজেরাই চার্জ নির্ধারণ করে আসছে। চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে রপ্তানি হওয়া পণ্যের প্রায় শতভাগ এবং আমদানির ২০ শতাংশ হ্যান্ডলিং হয় বেসরকারি ডিপোর মাধ্যমে। এ ছাড়া খালি কনটেইনারও হ্যান্ডলিং করে ডিপোগুলো। বর্তমানে ২১টি বেসরকারি ডিপো রয়েছে। এর মধ্যে ১৯টি রপ্তানিপণ্য হ্যান্ডলিং করে থাকে। রপ্তানিকারকরা বন্দরের আশপাশে গড়ে ওঠা ডিপোগুলোতে পণ্য রাখেন। সেখানে কনটেইনারবোঝাই (স্টাফিং)ও শুল্কায়ন শেষে জাহাজীকরণের জন্য নিয়ে যাওয়া হয় বন্দরে। বেশ কয়েকটি ধাপে এ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। এ কাজের জন্য চার্জ আদায় করে সংশ্লিষ্ট ডিপো। জানা গেছে, কনটেইনারের নতুন প্যাকেজ চার্জ (স্টাফিং থেকে বন্দরে নেওয়া) প্রায় ৪০ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। এ ছাড়া গ্রাউন্ড, সিএফএস স্টোরেজ, বিভিন্ন ধরনের হ্যান্ডলিং ইকুইপমেন্ট, খালি কনটেইনার হ্যান্ডলিংসহ আরও কয়েকটি খাতে চার্জ বাড়ানো হয়েছে।
নৌ-মন্ত্রণালয়ে পাঠানো চট্টগ্রাম বন্দরের চিঠিতে বলা হয়েছে, বেসরকারি আইসিডি-সিএফএস নীতিমালা ২০১৬ অনুযায়ী ডিপোগুলোর ট্যারিফ নির্ধারণের জন্য নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় গঠিত ট্যারিফ কমিটি রয়েছে। এ কমিটি আদায়যোগ্য ট্যারিফ নির্ধারণ করবে যা মন্ত্রণালয় কর্তৃক অনুমোদিত হয়ে কার্যকর হবে। তাই যে কোনো ট্যারিফ বৃদ্ধির আগে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী করা বাধ্যতামূলক, যা বেসরকারি ডিপোগুলো অনুসরণ করেনি। চিঠিতে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের সমন্বয়ে সভা আহ্বান এবং বর্ধিত ট্যারিফ আদায় না করার জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিতে অনুরোধ জানানো হয়।